এবারই প্রথম বিশ্বকাপ বিজয়ী নির্ধারিত হলো সুপার ওভারে। টাই হওয়ার পরেও যৌথভাবে বিজয়ী নির্ধারণের পথ না মাড়িয়ে কেন এমন নিয়ম? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। বিশেষ করে সুপার ওভারে টাই হওয়ার পরেও কীভাবে বেশি বাউন্ডারি বিবেচনায় আনা হলো? তবে একথা সবাই মানছেন এমন শ্বাসরূদ্ধকর ফাইনাল দেখা যায়নি কখনও।
সাবেক কিউই অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিসই যেমন গতকালকের সুপার ওভারের সমালোচনায় টুইটারে সরব ছিলেন সবচেয়ে বেশি। আইসিসিকে তামাশা উল্লেখ করে টুইট যুদ্ধে জড়িয়েছেন ধারাভাষ্যকার হারশা ভোগলের সঙ্গে। টাই হওয়াতে তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন যৌথ চ্যাম্পিয়নের পক্ষে, ‘অবশ্য ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত। এটা ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেট নয়, এমনকি এমন ম্যাচও নয় যার মাধ্যমে পরবর্তী ধাপের জন্য বিজয়ী নির্ধারণ করতে হবে। এটা হচ্ছে চমৎকার দুটি দলের মাঝে ১০০ ওভারের দুর্দান্ত এক লড়াই। যা টাই হয়েছে।’
সুপার ওভারে টাই হওয়ার পরেও বাউন্ডারি বেশি হওয়াতে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এমন নিয়মকে মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। বলছেন তা পক্ষে গেছে স্বাগতিকদেরই। আবার অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ক্রিকেটার, কোচ টম মুডি বলেছেন, ‘বুঝতে পারছি অনেকে হতাশা প্রকাশ করছে, বাউন্ডারি বিবেচনায় বিজয়ী নির্ধারণটা বিতর্কিত হিসেবে দেখছে। তবে আমি কিন্তু একটি বিষয়ে দ্বিধান্বিত। যারা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে তারা সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করবে, এটা কীভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয়।?’
সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরও যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার পক্ষে, ‘বুঝলাম না কীভাবে ফাইনাল বিজয়ী ঘোষণা করা হলো বাউন্ডারি বিবেচনায়। হাস্যকর নিয়ম আইসিসি, এটা হতে পারতো টাই। এমন শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচের জন্য আমি দুই দলকেই অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার বিবেচনায় দুই দলই বিজয়ী।’