ঘরোয়া ক্রিকেটে দুই বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আইসিসি জানালো, ছেলে ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক ও প্রথম শ্রেণির যে কোনও ফরম্যাটে মাথায় আঘাত পেলে সেই খেলোয়াড়দের বদলি হিসেবে অন্য একজনকে মাঠে নামানো যাবে।
নতুন নিয়মটি ক্রিকেটের শীর্ষ সংস্থার খেলা নিরূপণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১ আগস্ট ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ সিরিজ থেকে এটি কার্যকর হবে।
মাথায় আঘাত পাওয়ার পর খেলোয়াড়ের অবস্থা কতটা গুরুতর, সেটা নির্ধারণ করবেন দলের মেডিকেল প্রতিনিধি। আর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে যিনি নামবেন, তিনি ব্যাট ও বল করতে পারবেন। কিন্তু তাকে হতে হবে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যাওয়া খেলোয়াড়ের মতো, ম্যাচ রেফারির অনুমোদন পেতে হবে তাকে।
লন্ডনে বার্ষিক সম্মেলন শেষে আইসিসি এক বিবৃতি দেয়, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে দুই বছরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিশ্বব্যাপী প্রথম শ্রেণি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়দের বদলি নামানোর অনুমোদন দিচ্ছে আইসিসি।’
২০১৬-১৭ মৌসুম থেকে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে এর পরীক্ষা শুরু হয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স’ অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) আইসিসির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
ক্রিকেটারদের মাথায় আঘাত পাওয়া কমবেশি হয়ে আসছে। তবে ২০১৪ সালে প্রথম শ্রেণির এক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ব্যাটসম্যান ফিল হিউজ মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেলে এনিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। তাছাড়া এ বিশ্বকাপেই ঘটেছিল মাথায় আঘাত পাওয়ার ঘটনা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করার সময় একটি বাউন্সার লাগে হাসমতউল্লাহ শহীদীর মাথায়। আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান চিকিৎসকের পরামর্শ না শুনে খেলে গেছেন। এরপর মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের বদলি নামানোর জোর দাবি ওঠে।