বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক, দৈনিক সংবাদের ক্রীড়া সম্পাদক, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) অন্যতম সিনিয়র সদস্য অজয় বড়ুয়া গত ১২ জুলাই লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শনিবার সকালে প্রয়াত সাংবাদিককে নিয়ে স্মরণসভার আয়োজন করেছে বিএসজেএ।
বিএসজেএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ক্রীড়ালেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) স্পোর্টস মেডিসিন সাব কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা: জাকির আহমদ, টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ কারেন, বিএসজেএ সভাপতি মোতাহের হোসেন মাসুম, বিএসজেএ সাধারণ সম্পাদক রায়হান মুঘনি, কাশীনাথ বসাক, মোস্তফা কামাল, পারভেজ আলম চৌধুরী, রাকিবুল হাসান প্রমুখ।
মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেছেন, ‘দৈনিক বাংলায় আমার লেখা পড়ে অজয় তার জীবনের প্রথম রিপোর্ট লিখেছে। এটা অজয় আজীবনই বলেছে।’ সংবাদের ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে অজয় বড়ুয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘সংবাদে দেশীয় ক্রীড়াঙ্গনের খবর সব সময় প্রাধান্য পেত। এর ফলে অনেক খেলোয়াড়-সংগঠক তৈরি হয়েছে।’
জালাল আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, ‘অজয় বড়ুয়া ছিলেন একজন নিপাট ভদ্রলোক। আমার চোখে তিনি বৌদ্ধ ধর্মের অহিংস নীতির সার্থক উপস্থাপক। আজীবন ক্রীড়াঙ্গনকে ভালোবেসে গেছেন তিনি।’
মঞ্জুরুল হক বলেছেন, ‘অজয় বড়ুয়ার বৈশিষ্ট্য ছিল নির্মোহ ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকতা। আজীবন দৈনিক সংবাদে কাজ করে তিনি সেটাই প্রমাণ করেছেন।’
খন্দকার মুনীরুজ্জামান বলেছেন, ‘দৈনিক সংবাদে অজয়দার অভাব অপূরণীয়। শুধু সংবাদ নয়, দেশের ক্রীড়াঙ্গন এবং গণমাধ্যম তার অভাব বোধ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একই ব্যাচে ছিলাম। দুজনে ছাত্র ইউনিয়নও করেছি।’