নতুন মেয়াদে চুক্তি করতে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছে। সেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা প্রত্যেকেই নিজেদের মতামত দিয়েছে। এখন নতুন মেয়াদে চার বছরের জন্য বাইলজ চূড়ান্ত হওয়ার পালা। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেটা চূড়ান্ত হবে। শুধু তাই নয়, এক মাসের মধ্যে খেলোয়াড়দের ড্রাফটও চূড়ান্ত হবে, যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে।
আগামী চার বছরের জন্য সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করবে বিসিবি। গত দুই সপ্তাহে ৬ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছে গভর্নিং কাউন্সিল। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূলত নতুন নিয়ম অনুযায়ী বিপিএল শুরুতে বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির আপত্তি ছিল। যে কারণে প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করতে হয়েছে গভর্নিং কাউন্সিলকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মতামত জানার পর সেগুলো সাজিয়ে নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এটা নিশ্চিত করেছেন কাউন্সিলের সদস্য জালাল ইউনুস, ‘আমরা প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বৈঠক করেছি, তাদের কথা শুনেছি। তাদের প্রস্তাবগুলো নিয়ে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। বৈঠকের বিষয়গুলো তাকে অবহিত করেছি। আমরা খুব দ্রুতই বিপিএলের বাইলজ চূড়ান্ত করতে পারবো আশা করছি। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে এটা পাঠাবো।’
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পরামর্শ বিবেচনা করা হবে কিনা প্রশ্নে জালাল ইউনুসের জবাব, ‘আমরা তাদের কথাগুলো শুনেছি। এগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যৌক্তিক হলে অবশ্যই আমরা তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবো। আশা করি খুব দ্রুতই বাইলজ তৈরি হয়ে যাবে।’
গত আসরে সাতটি দল নিয়ে বিপিএল হলেও এবার কয়টি দল অংশ নেবে, সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগের আসরে খেলা চট্টগ্রাম ভাইকিংস তাদের মালিকানা ছেড়ে দিয়েছে। যদিও তাদের মালিকানা পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে অন্তত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, এর বাইরে আরও একটি দলকে যুক্ত করে আটটি দল নিয়ে বিপিএল আয়োজন করতে চাইছে বিসিবি।
এ ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচটি ইওআই পেয়েছি। খুব দ্রুত আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবো।’