লম্বা সময় পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম প্রত্যাবর্তনটা দারুণভাবে রাঙিয়ে নিয়েছেন। শুক্রবার রাজশাহীর হয়ে এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৭৫ রানের ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করে প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে ঢাকার বিপক্ষে রাজশাহী করেছে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের এই ম্যাচে মুশফিকের আলোকিত পারফরম্যান্সে লড়াই করার মতো অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী। এর আগে ঢাকা তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৪০ রানে।
দ্বিতীয় দিনে ঢাকাকে গুটিয়ে দেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়ে রাজশাহী। মাত্র ১৪ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে তারা ম্যাচে ফেরে মুশফিক-জহুরুল ইসলামের জুটিতে। অধিনায়ক জহুরুলের সঙ্গে এই উইকেটরক্ষক চতুর্থ উইকেট গড়েন ১২১ রানের জুটি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩২তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে মুশফিক খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। শুভাগত হোমের বলে রকিবুল হাসানের তালুবন্দী হওয়ার আগে ১১৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। ১৬১ মিনিট ক্রিজে থাকা এই ব্যাটসম্যান নাজমুল ইসলামের ৩৩তম ওভারে পরপর দুই বলে মারেন দুই ছক্কা।
তার চমৎকার ইনিংসটির সঙ্গে ফিফটি পূরণ করেছেন জহুরুল। ৫৭ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। জাতীয় দলের আরেক ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান অবশ্য ব্যর্থ। ১১ রান করে নাজমুল ইসলামের শিকার হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। জুনায়েদ সিদ্দিকী করেন ২ রান। জহুরুলের সঙ্গে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন ১৪ রানে অপরাজিত থাকা ফরহাদ রেজা।
ঢাকার সবচেয়ে সফল বোলার সুমন খান। ৪০ রান দিয়ে এই পেসারের শিকার ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহাদত হোসেন, সালাউদ্দিন শাকিল, নাজমুল ইসলাম ও শুভাগত।
এর আগে তাইবুর রহমানের হার না মানা ৮৮ রানে ২৪০ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয় ঢাকার। রাজশাহী স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৯২ রানে নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট পেয়েছেন শফিউল ইসলাম।
প্রথম স্তরের আরেক খেলায় মুখোমুখি হয়েছে রংপুর ও খুলনা। খুলনার শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুর দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১৬৯ রানে। নাঈম ইসলাম করেছেন ৪৮ রান। ৪০ রানে অপরাজিত আছেন তানভীর হায়দার। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন খুলনার আল-আমিন হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক।