রেকর্ড গড়া কিংবা ভাঙার সংখ্যা গণনা করতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার কথা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। সংখ্যাটা তার পক্ষে বলারও অসম্ভব হয়ে গেছে। অবশ্য রেকর্ড নিয়ে আগ্রহও নেই সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের। ক্যারিয়ারের ৭০০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করার পর তিনি জানিয়েছেন, রেকর্ডই তাকে খুঁজে বেড়ায়।
সোমবার রাতে ইউরো বাছাইয়ে ইউক্রেনের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে পর্তুগাল। দলীয় পারফরম্যান্সে হতাশার রাত কাটলেও ব্যক্তিগত অর্জনে আরেকটি প্রাপ্তি যোগ হয়েছে রোনালদোর। ইউক্রেনের জালে একবার বল জড়িয়ে পেয়েছেন তিনি ক্যারিয়ারের ৭০০তম গোলের দেখা। নতুন আরেকটি রেকর্ডের খাতায় নাম তোলার পরও জুভেন্টাস তারকা নির্ভার।
দেশের জার্সিতে ৯৫তম গোলের দেখা পাওয়া রোনালদো বলেছেন, ‘রেকর্ড এমনিতেই চলে আসে। আমি রেকর্ডকে নয়, বরং রেকর্ডই আমাকে খুঁজে নেয়।’ অবশ্য সব প্রাপ্তিতে সতীর্থ সহ দলের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল হয়নি পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর, ‘কেউ একা এই সংখ্যায় আসতে পারে না। সতীর্থ, সহকর্মী, কোচ ও প্রত্যেকে যারা আমাকে সাহায্য করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ।’
ব্যক্তিগত অর্জনে প্রাপ্তি যোগ হলেও দলীয় পারফরম্যান্সে হতাশার রাত কেটেছে রোনালদোর। ইউক্রেনের বিপক্ষে হারের হতাশায় ৭০০ গোলের মাইলফলক উদযাপনটা মধুর হয়নি। রোনালদোর বক্তব্য, ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের সুন্দর মুহূর্ত। কিন্তু তিক্ত স্বাদও পেতে হয়েছে, কারণ আমরা জিততে পারিনি। আমরা ভালো খেলেছি, কিন্তু জিততে পারিনি। সাধ্যের সবটাই করেছি, ভালো সুযোগও তৈরি করেছিলাম।’
চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো। ১২৭ গোল করা পর্তুগিজ যুবরাজ ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার এক মৌসুমেরও সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৭)। একই সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ ও পর্তুগালের সবচেয়ে বেশির গোলের রেকর্ডটাও তার দখলে।
জাতীয় দলের হয়ে ৯৫ গোলের সঙ্গে বাকিগুলো এসেছে রোনালদোর খেলা চার ক্লাব থেকে। পেশাদারি ক্যারিয়ার শুরু করা স্পোর্তিং লিসবনের হয়ে ৩১ ম্যাচে তার গোল ৫টি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২৯২ ম্যাচে ১১৮ গোল, রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে ৪৩৮ ম্যাচে ৪৫০ গোল, আর জুভেন্টাসের হয়ে ৫১ ম্যাচে করেছেন ৩২ গোল।