X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্চাভিলাষী সিদ্ধান্তের মূল্য চুকাতে হলো

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু
১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০২:১২আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৪২

 

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু পিচ অনেকক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেও তার আচরণ দুই অর্ধে কেমন হবে তা বোঝা একদিনের ম্যাচেও কঠিন হয়ে যায়। তা আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করি টিভির কল্যাণে ঘরে বসেই। বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যৎ বাণীর উল্টো চিত্রও মাঝে মধ্যেই দেখতে পাই।

টস জিতে মুমিনুলের ব্যাট করার সিদ্ধান্তের পেছনে বড় কী যুক্তি থাকতে পারে? ভারতের পেস ইউনিটকে সামাল দেওয়ার জন্য তার ব্যাটসম্যানদের ওপর ছিল অগাধ আস্থা এবং এই পিচে পেস বোলারদের তেমন সহায়তা থাকবে না। বরং চতুর্থ ইনিংসে যাতে স্পিনারদের মোকাবিলা করতে না হয় তার জন্য টস জিতে তিনি ও টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। চা বিরতির সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অলআউট হয়ে যাই। ভারত দলকে আমি ২টি সেশনে এত ক্যাচ স্লিপে কবে ড্রপ হতে দেখেছি মনে করতে পারছি না। অর্থাৎ চারটি ক্যাচ ফসকে যাওয়ার পরও আমাদের এমন করুণ পরিণতি।

ভারত তিনটি পেস বোলার নিয়ে খেলছে এবং আমরা তামিম ও সাকিবকে ছাড়া খেলছি। খেলাটা টেস্ট ম্যাচ, মোটেও ১২০ বলের টি-টোয়েন্টি নয়। এমন পরিস্থিতিতে যে পিচে পেস বোলারদের জন্য প্রাণ ও বাউন্স আছে। তেমন একটা পিচে আমরা কি করে ভারতকে এই অ্যাডভানটেজটা দিলাম। আজ আমাদের আগে বল করা উচিত ছিল। যদিও আমাদের দলে ছিল মাত্র দুই পেসার। তার পরও সকালের মুভমেন্টটা তারা ব্যবহার করতে পারতেন। এ ধরনের প্রাণবন্ত পিচে নতুন বলের সঠিক ব্যবহার কেমন করে করতে হয় তা অনুধাবন করতে পারতেন ও আমাদের ব্যাটসম্যানরা তাহলে দ্বিতীয় দিনের পুরনো পিচে ব্যাট করার সুযোগ পেত। পিচের আচরণটা আঁচ করার একটা সুযোগ পেত। দিনের শেষ সেশনে আমাদের পেসাররা সকালের মতো অত মুভমেন্ট পায়নি। তবে দুটো সুযোগের সৃষ্টি করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। অবশ্য যার একটি ইমরুলের হাত থেকে মাটিতে পড়ে যায়। আমাদের বোলারদের গতি বা বাউন্স কোনটাই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিব্রত করতে পারেনি।

সকালে ব্যাট হাতে ইমরুল ও সাদমানের কাছ থেকে আরও লড়াকু ব্যাটিং প্রত্যাশা করেছিলাম। তবে একথাও ঠিক দারুণ ক্লাসিক পেস বোলিং তাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে। মুমিনুল বড় বাজে আউট হয়েছেন। আউটের ধরন থেকে কখনোই মনে হয়নি তিনি এতক্ষণ উইকেটে টিকে ছিলেন। ভাগ্যগুণে পাওয়া সুযোগ মুশফিক কাজে লাগাতে পারলেন না। পুরনো বলকেও যে এত চমৎকার ভাবে দুই দিকে ঘুরানো যায় তার একজন দর্শক হিসেবে মুশফিক মোহাম্মদ সামিকে মোকাবেলা করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন। এমন চমৎকার সেটআপ ও দারুণ রিভার্স সুইংয়ের জন্য মুশফিকের এই উইকেটটি তার যোগ্য পুরস্কার ছিল। বাংলাদেশ ইনিংসের সবচেয়ে দৃষ্টিকটু আউট ছিল রিয়াদের বোল্ড আউটটি। আমার মনে হয় তিনি যখন রিপ্লে দেখবেন তিনি তখন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না তার নিজের শট সিলেকশনকে। বাকি কাউকে লড়াই করার উদ্যোগী না দেখতে পাওয়াটা ছিল বেদনাদায়ক। দল হিসেবে টেস্টে ভারত দারুণ ফেভারিট কোন সন্দেহ নেই। তবে তামিম ও সাকিব ছাড়া আজ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্তকে অনেক উচ্চাভিলাষী মনে হয়েছে।

/এফআইআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লোকসভা নির্বাচন: রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসী
লোকসভা নির্বাচন: রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্মরণে কাল নাগরিক সভা
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্মরণে কাল নাগরিক সভা
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?