ফাইনাল মাথায় রেখে সেমিফাইনালের আক্রমণভাগে কিছুটা বদল এনেছিলেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। সাদিও মানে ও ফিরমিনো ছিলেন বেঞ্চে। অসুস্থতায় ছিলেন না ভার্জিল ফন ডাইক। চেনা ছন্দে কিছুটা ঘাটতি ছিল। শেষ পর্যন্ত বদলি নেমে লিভারপুলের ভাগ্য পাল্টে দিলেন ফিরমিনো। ২-১ গোলে মেক্সিকোর মন্টেরেইকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা, যেখানে তাদের জন্য অপেক্ষায় ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো।
ইয়ুর্গেন ক্লপ ম্যাচ শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, ‘তারা সত্যিই কঠিন লড়াই করেছে। ম্যাচের আগে আমাদের কিছু সমস্যা ছিল এবং খেলার সময়ও। কিন্তু আমি মনে করি ছেলেরা ভালোই খেলেছে।’ দেহান লভরেন ও জোয়েল মাতিপ ছিলেন চোটে আক্রান্ত। মিডফিল্ডার জর্ডান হেন্ডারসনকে রক্ষণে জো গোমেজের পাশে দায়িত্বদেন কোচ। আক্রমণে মোহাম্মদ সালাহর সঙ্গে ছিলেন জারদান শাকিরি ও ডিভোক ওরিগি। ফাইনাল মাথায় নিয়ে একটু বদলে যাওয়া লিভারপুলকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলেছিল মন্টেরেই। তাদের গোছানো পারফরম্যান্স ও দারুণ কাউন্টার অ্যাটাকে প্রতিপক্ষ গোলকিপার আলিসনকে সতর্ক থাকতে হয়েছে।
প্রথম গোল উদযাপন করে লিভারপুল। ১২তম মিনিটে সালাহ মন্টেরেই ডিফেন্স ভেদ করে রিভার্স পাস দেন, ন্যাবি কেইটার আত্মবিশ্বাসী শটে লক্ষ্যভেদ করে অল রেডরা। অবশ্য লিড মাত্র দুই মিনিট ধরে রাখতে পেরেছিল লিভারপুল। বক্সের মধ্যে জেসুস গ্যালার্দোর শট প্রতিহত হলেও বল পায়ে পান রোজেলিও ফিউন্স মোরি। তিনি লিভারপুলের জালে বল পাঠিয়ে সমতা ফেরান।
দুই গোলকিপারের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে আলিসনকে। লিভারপুল গোলকিপার বিরতির আগে ডোরলান পাবনকে রুখে দেন দুইবার। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তখনই ফিরমিনোকে নামান ক্লপ। ৮৫ মিনিটে ওরিগির বদলি নামার ষষ্ঠ মিনিটে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের নিচু ক্রসে কাছের পোস্ট থেকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান।
শনিবারের ফাইনাল হতে যাচ্ছে ১৯৮১ সালের ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের পুনরাবৃত্তি। টোকিওতে ওই টুর্নামেন্টে জিকোর ফ্ল্যামেঙ্গো ৩-০ গোলে হারায় লিভারপুলকে।