অসুস্থ হয়ে ইংলিশ শিবিরের প্রায় হাসপাতালের চেহারা। একের পর এক ক্রিকেটার ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে মাঠের লড়াইয়ে দারুণ উজ্জীবিত ইংল্যান্ড। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে কঠিন লক্ষ্যের সামনে দাঁড়িয়েও তারা অবিচল। ৩৭৬ রানের লক্ষ্যে নেমে তৃতীয় দিনশেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ১ উইকেটে ১২১ রান। হাতে ৯ উইকেট নিয়ে আরও ২৫৫ রান চাই অতিথিদের।
সুপারস্পোর্ট পার্কে আগের দিন উইকেট পড়েছিল ১৫টি, পেসারদের তোপে নাভিশ্বাস উঠেছিল ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু শনিবার ব্যাটের দাপটে বোলাররাই দিশেহারা। ৪ উইকেটে ৭২ রানে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ২৭২ রানে। অভিষিক্ত রাসি ফন ডার ডুসেন ৫১, ‘নাইটওয়াচম্যান’ আইনরিখ নর্কিয়া ৪০, বিদায়ী সিরিজ খেলতে নামা ভারনন ফিল্যান্ডার ৪৬ আর উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক করেছেন ৩৪ রান।
৫ উইকেট পেলেও জোফরা আর্চারের খরচ ১০২ রান। সপ্তম টেস্টে এটা তার তৃতীয় ৫ উইকেট শিকার।
সেঞ্চুরিয়নে ২৫১ রানের চেয়ে বেশি করে কোনও দল জিততে পারেনি। তবে তার চেয়েও ১২৫ রান বেশি করার লক্ষ্য পেলেও ঘাবড়ে যাননি রোরি বার্নস ও ডমিনিক সিবলি। দুজনে গড়েছেন ৯২ রানের ওপেনিং জুটি । কেশব মহারাজের বাঁহাতি স্পিনে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৯ রান করেছেন সিবলি। তবে বার্নস খেলে যাচ্ছেন আস্থার সঙ্গে, দিনশেষে ৭৭ রানে অপরাজিত। অন্যপ্রান্তে ১০ রান নিয়ে আছেন জো ডেনলি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮৪ (ডি কক ৯৫, ফিল্যান্ডার ৩৫; ব্রড ৪/৫৮, কারেন ৪/৫৮) ও ২৭২ (ফন ডার ডুসেন ৫১, ফিল্যান্ডার ৪৬; আর্চার ৫/১০২)
ইংল্যান্ড: ১৮১ (ডেনলি ৫০, স্টোকস ৩৫; ফিল্যান্ডার ৪/১৬) ও ১২১/১ (বার্নস ৭৭*, সিবলি ২৯, ডেনলি ১০*; মহারাজ ১/১৬)