টিভিএস ফেডারেশন কাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই দারুণ ফুটবল খেলছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নকআউট পর্বেও তাদের দাপট দেখলো সমর্থকেরা। ২০১৫ সালের পর আবারও সেমিফাইনালে সাদা-কালোরা। সোমবার দিনের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে। আগামী ২ জানুয়ারি প্রথম সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আবাহনীকে হারিয়ে সেখানে জায়গা করে নেওয়া রহমতগঞ্জ।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল মোহামেডানের আধিপত্য। প্রেসিং ফুটবল, সঙ্গে পরিকল্পিত আক্রমণ এগিয়ে দেয় সাদা-কালোদের। তবে চট্টগ্রাম আবাহনী গোল খেয়েছে রক্ষণভাগের ব্যর্থতায়। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও তারা কোনও গোল পায়নি।
ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় আবাহনীই। রাকিব হোসেনের বাড়ানো বলে আলতো টোকা দিতে পারলেই গোল পেতেন চিনেদু ম্যাথিউ, কিন্তু পারেননি।
২৫ মিনিটে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন শাহেদ হোসেন। পাঁচ মিনিট পর দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সোলেমানে দিয়াবাতে।
৩৮ মিনিটে চার্লস দিদিয়েরের শট ফিরিয়ে দিয়ে মোহামেডানকে এগিয়ে রাখেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল।
বিরতির পর দুই দল আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলেছে। ৭৫ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর দিদিয়েরের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। পরের মিনিটে দিয়াবাতের শট প্রতিহত হয় পোস্টে।
ম্যাচ হেরে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফুল হক হতাশ, ‘আসলে ম্যাচে নামার আগে খেলোয়াড়েরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়ে। এছাড়া আগের ম্যাচে বসুন্ধরাকে হারিয়ে তারা বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিল।আমার খেলোয়াড়েরা ধরেই নিয়েছিল তারা সেমিফাইনালে যাচ্ছে। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে হেরে যায় দল। আর মোহামেডান আশাতীত ভালো খেলেছে।’
মোহামেডানের অস্ট্রেলিয়ান কোচ শন লেন সেমিফাইনালে যেতে পেরে খুশি, ‘ছেলেরা দারুণ খেলেছে, প্রতিপক্ষকে সেভাবে খেলতে দেয়নি।’
লেনের দৃষ্টিসীমায় এখন ফাইনাল, ‘সেমিফাইনালে উঠে এখন দায়িত্ব বেড়ে গেলো। আমরা ফাইনালের স্বপ্ন দেখছি। আশা করছি আমরা জিততে পারবো। আমাদের সেই শক্তি আছে।’