X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সেই মিরাজ এখন জাতীয় নায়ক

হেদায়েৎ হোসেন, খুলনা
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৭:৪৩আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৭:৫৩

হাজারও মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বীরের বেশে জন্মস্থান খুলনায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন যুব বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি এখন খালিশপুরের হাউজিংয়ের নর্থ জোনের বি ব্লকের ৭ নম্বর প্লটের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন। এখানে টিনের চালার ঘরে তাদের বসবাস। খুলনার খালিশপুরে নিজ বাসার সামনে মিরাজ
মিরাজের বাবা মো. জালাল হোসেন পেশায় গাড়িচালক। মা মিনারা বেগম গৃহিনী। মিরাজের একমাত্র বোন রুমানা আক্তার মিম্মা। যুব বিশ্বকাপ শেষে মঙ্গলবার বিকালে মিরাজ খুলনার এই বাড়িতে এসেছেন। এখানেই জন্ম তার। এখানের আলো বাতাসেই তার বেড়ে ওঠা।

ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট পাগল ছিলেন মিরাজ। স্কুল ফাঁকি দিয়ে খেলতেন ক্রিকেট। বিএল কলেজ মাঠ থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার ফুটপাত, গলির ফাঁকা স্থান সবখানেই ক্রিকেটে মেতে উঠতেন তিনি।

এ নিয়ে দরিদ্র বাবা-মায়ের কাছ থেকে কত বকা খেয়েছেন তার শেষ নেই। কিন্তু থেমে যাননি তিনি। সেই মিরাজ আজ বিশ্ব ক্রিকেটে যুবাদের সেরা। তাকে নিয়ে খুলনার মানুষ এতটাই আত্মহারা, যে নিজের গর্বিত বাবা-মাকেও সময় দিতে পারছেন না তিনি। নিজের বাসার সামনে মিরাজ

বৃহস্পতিবার সকালে আলাপ করতে বাসায় গেলে মিরাজের বাবা নিজেই বেশ আগ্রহের সঙ্গে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে আনেন। মিরাজ আলাপচারিতায় তার ভাবনাগুলো তুলে ধরেন সাবলীলভাবে।

প্রশ্ন: এখন আপনার পরিকল্পনা কী?

মিরাজ: আপাতত বিশ্রাম নেব। ডান কাঁধে একটু ব্যথা আছে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে যাওয়ার কথা ভাবছি না। সুস্থ হয়ে ঢাকায় ফিরে বিসিবির একাডেমি দলের সঙ্গে অনুশীলন করার চেষ্টা থাকবে। এরপর এ টিমে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেট, প্রিমিয়ার লিগে খেলার মাধ্যমে নিজেকে আরও ভালভাবে তুলে ধরার চিন্তা রয়েছে।

প্রশ্ন : ছোট বেলার অনুভূতিগুলো এখন ভাবলে কেমন লাগে ?

মিরাজ : ক্রিকেট খেলার প্রতি চরম আগ্রহ থেকেই বিভিন্ন মাঠে, পাড়ার ভাইদের খেলার সময় গিয়ে হই-হুল্লোড় করতাম। ভাল খেলতে পারতাম না। তাই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতাম না। তবে, তাদের খেলা দেখে আনন্দ করতে ভাল লাগত।

বাবার সঙ্গে মিরাজ

প্রশ্ন : পরিবার থেকে সহায়তা কেমন পেয়েছেন?

মিরাজ: দরিদ্র পরিবার। অভাব অনটন লেগেই থাকত। ক্রিকেট খেলায় ছিল আমার আগ্রহ। কিন্তু বাবা চাইতেন খেলার চেয়ে পড়ায় মনোযোগ রাখতে। তাই স্কুলের নামে বাসা থেকে বের হয়ে বই নিয়েই বিভিন্ন মাঠে ক্রিকেট খেলা দেখতাম। পরে নিজেও খেলতে লাগলাম। কিন্তু বাবা বিষয়টি জানার পর বকতেন। তখন খেলার প্রতি বাঁধা আসার কারণে জেদ আরও বেড়ে যেতে থাকে। চরম আগ্রহ নিয়ে ক্রিকেট খেলা শিখতে শুরু করি বিএল কলেজ মাঠে থাকা কোচ আল মাহমুদের কাছে। অনূর্ধ্ব ১৪ দলের বাছাইয়ে অংশ নিয়ে স্থান পাওয়ার পরই বদলে যেতে থাকে সব চিত্র। মিরাজের খালিশপুরের বাসা

প্রশ্ন : যুব ক্রিকেটের সেরা হয়ে এলাকায় আসার পর সময় কেমন কাটছে?

মিরাজ: খুলনায় আসার পর প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুসহ মহল্লার মানুষের সঙ্গেই বেশি সময় কেটেছে। বাবা-মার সঙ্গে একান্তে কথা বলার সুযোগও তেমন পাইনি। তবে তারা বেশ খুশি। দুুদিন পর এখন কিছুটা চাপ কমেছে। কমপক্ষে আরও দু সপ্তাহ খুলনায় থাকতে চাই।

/এমআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লাল কৃষ্ণচূড়া, বেগুনি জারুলে ছুঁয়ে যায় তপ্ত হৃদয়
লাল কৃষ্ণচূড়া, বেগুনি জারুলে ছুঁয়ে যায় তপ্ত হৃদয়
টিভিতে আজকের খেলা (২৭ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৭ এপ্রিল, ২০২৪)
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা