X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

দুবাই এয়ারপোর্টে বাংলাদেশের শুটারদের ২৫ ঘণ্টার ‘বন্দিদশা’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৩আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৬

ব্রাজিলের রিও ডি জেনোরিওতে প্যারিস অলিম্পিকের জন্য কোটা প্লেসের লড়াইয়ে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের শুটাররা তেমন ভালো করতে পারেননি। তবে দেশে ফিরে আসার সময় তাদের দুর্বিষহ এক অভিজ্ঞতা হয়েছে। দুবাইয়ে আকস্মিক বন্যায় সবকিছু ভজঘট লাগলে সেখানকার এয়ারপোর্টে প্রায় ২৫ ঘণ্টা ‘বন্দিদশা’ সময় কেটেছে রবিউল-শায়রাদের।

১৮ এপ্রিল রিও ডি জেনোরিও থেকে দুবাই হয়ে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল শুটারদের। ট্র‍্যানজিটের সময় ছিল দেড় ঘণ্টা। দুবাইতে বন্যার কারণে সব ফ্লাইটের সূচি এদিক-সেদিক হয়ে যায়। তাই দুবাইতে নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা পর রবিউলদের বিমান অবতরণ করে। এরপর যেন ঢাকাগামী বিমানের বোর্ডিং পাসের জন্য তাদের রীতিমতো ‘যুদ্ধ’ করতে হয়েছে। সূচি এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় সেখানেই ২৫ ঘণ্টা সময় কেটেছে সবার।

এই সময়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিতে হয়েছে। বাংলাদেশ দলে খেলেছেন রবিউল ইসলাম, জিদান হোসেন, শায়রা আরেফিন ও জারিফা খানম চৌধুরী। কোচ ছিলেন ইরানের জায়ের রেজাই ও কর্মকর্তা ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক ওয়াইজ।

ইরানের কোচ দুবাই থেকে দেশে ফিরে গেছেন তেমন ভোগান্তি ছাড়াই। তবে বাংলাদেশর শুটার ও কর্মকর্তারা পড়েছিলেন বিপাকে। বোর্ডিং পাসের জন্য লম্বা লাইন ধরে ছিলেন অন্যদের সঙ্গে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোনও সময় দাঁড়িয়ে কিংবা সেখানে শুয়ে বসে কাটাতে হয়েছে। তারপরও কেউ লাইন ছেড়ে আসেননি। যাতে করে বোর্ডিং পাস পেতে আর বিলম্ব না হয়। এক পর্যায়ে দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে বিমানে কাল দেশে ফিরেছেন সবাই। রিও থেকে ৬০ ঘণ্টা পর ঢাকায় তারা।

মোস্তাক ওয়াইজ আজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘ভাই আমাদের কারও এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি। এ এক ভয়ানক সময় কেটেছে। দুবাইতে এমনিতে বন্যার কারণে সবকিছুর খারাপ অবস্থা। এয়ারপোর্টে লোকজন গিজ গিজ করছে। দাঁড়ানোর জায়গা বলতে গেলে নেই। আমরা বোর্ডিং পাসের জন্য কোনোরকম জায়গা ধরে রেখে অবশেষে তা পেয়ে বিমানে উঠতে পেরেছি। সবমিলিয়ে আমাদের দুবাইতে ২৫ ঘণ্টা বন্দি থাকতে হয়েছে। শুধু আমরা নই, শত শত যাত্রীকে আমাদের মতো অবস্থার শিকার হতে হয়েছে। দেশেই ফিরে কুল-বিএসপিএর স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে চলে এসেছি।’

এই সময়ে নারী শুটাররা এয়ারপোর্টের মসজিদে কিছু সময়ের জন্য ঘুমানোর সুযোগও পেয়েছে। তবে মোস্তাকের কথায়, ‘দুজন নারী শুটার ছিলেন আমাদের সঙ্গে। তাদেরকে তো ঘণ্টার পর ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখা যায় না। এয়ারপোর্টের মসজিদে ওদেরকে ঘণ্টা দুয়েক ঘুমানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও বুঝতে পারছেন যে, মসজিদে তো বেশি সময় থাকা যায় না। এছাড়া খাওয়া দাওয়াসহ সবকিছুতেই কম বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। আসলে সবাইকে নিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে অবশেষে দীর্ঘ যাত্রা করে দেশে ফিরতে পেরেছি। এমন অভিজ্ঞতা আমাদের কারও হয়নি।’

এয়ারপোর্টে এমন নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হলেও মোস্তাক জানাচ্ছেন সবাইকে মানসিকভাবে সাহস দেওয়া হয়েছে। যাতে করে কেউ ভীত না হয়। মোস্তাকের ভাষায়,‘আপনারা দেখবেন আমরা ছবি তুলেছে সেখানে হাসি মুখে। যাতে করে আমরা কেউই মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ি। নিজেদের থেকেই দৃঢ় থাকার চেষ্টা করেছি। কেন না দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে থাকলে হয়তো অন্যরা হতাশ হতে পারতো। যাই হোক দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে ভালো লাগছে।’

/টিএ/এফএইচএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী