সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে দুর্দান্ত খেলেছেন তরুণ মিডফিল্ডার মো. তৈয়ব আলী। দেশের পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী ঊষা ক্রীড়া চক্রের জার্সিতে মূল একাদশের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। মধ্যমাঠে দারুণ পারফর্ম করে বেশ কয়েকটি ম্যাচে দলকেও জিতিয়েছেন। লিগে গোল করেছেন ৬টি। সতীর্থদের গোলেও রেখেছেন ভূমিকা। এমন চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সের পুরস্কার হাতে-নাতে পেয়েছেন নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ধরাইল গ্রামের ছেলে তৈয়ব। আগামী ১৩ জুন থেকে ২৩ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকি টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক এই আসর সামনে রেখে ৩৪ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)। যাতে মিডফিল্ডার রয়েছেন ৮ জন। সেই ৮ জনের একজন হলেন তৈয়ব।
প্রথমবার বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত তৈয়ব। প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘লিগে আমি যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। ঊষার জার্সিতে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি সেই চেষ্টায় আমি শতভাগ সফল। তা না হলে জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে আমাকে ডাকা হতো না। আমি এখন ৩৪ জনের দলে আছি। এবার আমার লক্ষ্য সেরা ১৮-তে জায়গা করে নেওয়া। আশাকরি সেটা আমি পারবো।’
হকিতে অল্পদিনেই নিজের জন্য আলাদা এক জায়গা তৈরি করেছেন তৈয়ব। মাঠের খেলায় মেধা-যোগ্যতার স্বাক্ষর তো রেখেছেনই; সঙ্গে নম্র-ভদ্র, সুশৃ্ঙ্খল আচরণে ইতোমধ্যে কোচ-অফিসিয়ালদের মনও জয় করেছেন। লিগে ঊষাতে থাকাকালীন কোচ আশিকুজ্জামানকে প্রায়শই তৈয়বের প্রশংসা করতে শোনা গেছে। সেই আশিক এবার সিঙ্গাপুর ট্যুরে কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন। তৈয়বের মতো একজন শিষ্য পেয়ে খুশি কোচ। তৈয়বও আশিক স্যার, রাজিব স্যারদের অধীনে খেলার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত।
জুনিয়র এএইচএফ কাপ সামনে রেখে হকি ফেডারেশন থেকে আগামী ৬ মে খেলোয়াড়দের রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া তৈয়বও সেদিন দলের সঙ্গে রিপোর্ট করবেন বলে বিকেএসপি থেকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। লিগ শেষ হওয়ার পর বিকেএসপিতে নিয়মিত অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন। এখন রোমান-সারোয়ারদের মতো লাল-সবুজ জার্সিতে দীর্ঘদিন খেলতে চান তিনি। এনে দিতে চান সাফল্যও।