X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০
সাক্ষাৎকারে আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বললেও সরকার ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট বসিয়ে রেখেছে’

হিটলার এ .হালিম
২৭ মে ২০১৬, ২০:৪৫আপডেট : ২৯ মে ২০১৬, ১৭:০৪

এম এ হাকিম

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এম এ হাকিম (মো. আমিনুল হাকিম প্রগতি) বলেছেন, অতীতের তুলনায় দেশে ইন্টারনেটের দাম অনেক কমেছে, বেড়েছে গতি। এখনও ইন্টারনেটের দাম আরও কমানো সম্ভব।তবে এর সঙ্গে জড়িত পক্ষগুলোর দামও কমাতে হবে। তিনি মনে করেন, ইন্টারনেট ট্রান্সমিশন (সঞ্চালন) খরচ বেশি হওয়ায় ইন্টারনেটের দাম কমানো যাচ্ছে না। ঢাকার বাইরে ব্রডব্যান্ডের ব্যবহারকারীরও বাড়ছে না।

এম এ হাকিম ইন্টারনেটের ওপর সরকারের আরোপিত ভ্যাট নীতি বিষয়ে বলেন, প্রথম থেকেই আমরা ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি। আজ পর্যন্ত এমন কোনও বাজেট নেই যে বাজেটের আগে আমরা সরকারকে অনুরোধ করিনি। কিন্তু কোনও এক কারণে এই ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে না। এটা সরকারের মতাদর্শ বিরোধী। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বললেও সরকার ইন্টারনেটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসিয়ে রেখেছে।

প্রথম থেকেই আমরা ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি। আজ পর্যন্ত এমন কোনও বাজেট নেই যে বাজেটের আগে আমরা সরকারকে অনুরোধ করিনি। কিন্তু কোনও এক কারণে এই ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে না। এটা সরকারের মতাদর্শ বিরোধী। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বললেও সরকার ইন্টারনেটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসিয়ে রেখেছে।

 বাংলা ট্রিবিউন: ইন্টারনেটের দাম কেন কমে না?

 এম এ হাকিম: ২০১৬ সালে এসে দেখা যাচ্ছে যারা বাসাবাড়ির ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা ৩ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে ১০-১৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। সাদা চোখে দেখলে মনে হবে ইন্টনেটের দাম কমেনি। কারণ আপনি ২০০০ সালেও ইন্টারনেটের জন্য ৩ হাজার ৪০০ টাকা খরচ করতেন এখনও সেই সমান খরচই হচ্ছে। সেই ‘পয়েন্ট অব ভিউ’ থেকে চিন্তা করলে ইন্টারনেটের দাম কমেনি। কিন্তু ২০০০ সালে আপনি ৬৪ কেবিপিএস গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন এখন আপনি করেন ১০-১৫ এমবিপিএস।

ডায়াল-আপের পরে এলো ডিএসএল মডেম। ২০০১ সালের দিকে ডেডিকেটেড ১২৮ কেবিপিএসের জন্য চার্জ করা হতো ৫৫-৬০ হাজার টাকা। সেই টাকায় এখন কমপক্ষে ১০০ এমবিপিএস গতির সংযোগ পাওয়া যাবে। সেই তুলনায় ইন্টারনেটের দাম কমেছে।

 লাইফ স্টাইলের কথা চিন্তা করলে নিকট অতীতেও আমরা ইউটিউবে ভিডিও দেখতাম না। এখন আমরা কথায় কথায় ইউটিউবে ভিডিও দেখছি। ওই সময়ে ফেসবুকও ছিল না। এখন প্রায় ৬০ শতাংশ বা তারও বেশি তরুণ প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহার করছেন। ব্যান্ডউইথ না বাড়লে প্রযুক্তিভিত্তিক লাইফস্টাইল পরিবর্তন হতো না। তারপরও এখনও ইন্টারনেটের দাম কমানো যাবে।

বাংলা ট্রিবিউন: দেশে ইন্টারনেট সেবাদানের চ্যালেঞ্জগুলো কী? চ্যালেঞ্জগুলো কী ইন্টারনেটের দামের ওপর প্রভাব ফেলছে?

এম এ হাকিম: ইন্টারনেটের টোটাল ডোমেইনে ৪টা স্টেকহোল্ডার রয়েছে। এদের মধ্যে একজন আইটিসি (যে ইন্টারন্যাশনাল ব্যান্ডউইথ নিয়ে আসে), এরপর সেটা দিচ্ছে আইআইজির কাছে। আইআইজি এখানে কিছু সার্ভিস অ্যাড করে সেটাকে আইএসপিকে দিচ্ছে। আইএসপি দিচ্ছে এনটিটিএনকে। এই ৪টা স্টেকহোল্ডার এই ইন্টারনেট ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে একেবারে সরাসরি জড়িত। এর মধ্যে এনটিটিএন ও আইটিসি অপারেটররা কোনও ভ্যালু অ্যাড করে না, শুধু ট্রান্সমিশনটা (সঞ্চালন) দেয়। এনটিটিএন স্থানীয় ট্রান্সমিশনটা নিশ্চিত করে। আইটিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যান্ডউইথ বহন করে। সেবা দিচ্ছে কেবল আইআইজি আর আইএসপি।

এই স্টেক-হোল্ডিং মালিকানার ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় লাইসেন্সের ওভার-ল্যাপিং হচ্ছে। কিছু কোম্পানি আছে যাদের দুই বা ততোধিক লাইসেন্স রয়েছে। কিছু আইআইজি কোম্পানি রয়েছে যাদের আইএসপি ও এনটিটিন লাইসেন্স রয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ওভার-ল্যাপিংয়ের কারণে মার্কেটে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হয়নি। ধরুন, আমি আইএসপি, একজন ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট সেবা দিতে চাই। এখন সেখানে আরেকজন আমার প্রতিযোগী রয়েছে যার আইআইজি বা আইটিসি আছে। এখানে স্বাভাবিকভাবে সে একটি সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে। এই অসম প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আমি দাম কমিয়ে দিলাম। দাম কমিয়ে যখন দেখলাম আর ব্যবসা চালাতে পারছি না তখন আমি সার্ভিসের কোয়ালিটি খারাপ করে দিলাম।

এমন অসম প্রতিযোগিতা থেকে ছোট কোম্পানিগুলো তখন না পেরে নানা খারাপ কাজ করে। সরকারকে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) দেওয়াতে গড়িমসি করে, বিটিআরসির সঙ্গে লভ্যাংশ শেয়ার করে না। বিটিআরসির লাইসেন্স হালনাগাদ করে না। এমনকি বিটিআরসির লাইসেন্স নিতেও উৎসাহ বোধ করে না। যাচ্ছেতাইভাবে নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে। ফলে দেখা যাবে যখন অনলাইনভিত্তিক জাতীয় পর্যায়ে কোনও বড় নিরাপত্তা সমস্যা দেখা যায় তখন এই ধরনের কোম্পানিগুলো সরকারকে কোনও তথ্য সহায়তা দিতে পারবে না। কারণ তাদের ওই পর্যায়ের যন্ত্রপাতি ও সুবিধা নেই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যখন তথ্য চাইবে তখন কিন্তু এই কোম্পানিগুলো কোনও তথ্য বা লগ সরবরাহ করতে পারবে না।

 লাইফ স্টাইলের কথা চিন্তা করলে নিকট অতীতেও আমরা ইউটিউবে ভিডিও দেখতাম না। এখন আমরা কথায় কথায় ইউটিউবে ভিডিও দেখছি। ওই সময়ে ফেসবুকও ছিল না। এখন প্রায় ৬০ শতাংশ বা তারও বেশি তরুণ প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহার করছেন। ব্যান্ডউইথ না বাড়লে প্রযুক্তিভিত্তিক লাইফস্টাইল পরিবর্তন হতো না। তারপরও এখনও ইন্টারনেটের দাম কমানো যাবে।

এই সমস্যা সমাধান করতে দুই ধরনের লাইসেন্স করা যেতে পারে। উপরের ৪ স্টেক হোল্ডারের ধরন দুই রকম, ট্রান্সমিশন ও সার্ভিস। আইটিসি আর এনটিটিএন হচ্ছে ট্রান্সমিশনের কাজ করে। আর আইআইজি ও আইএসপি সার্ভিস দিয়ে থাকে। সার্ভিসের দু’জনকে যদি একটি লাইসেন্সের আওতায় আনা যায় তাহলে কিন্তু কোম্পানিগুলোর খরচ কমবে। কম জনবলে আপনি কোয়ালিটি সার্ভিস দিতে পারবেন। একইভাবে ট্রান্সমিশনের দুটো স্টেক হোল্ডারকেও একই লাইসেন্সের আওতায় আনলে সেখানেও খরচ কমে আসবে। যদি খরচ কমে আসে তাহলে লাভবান হবে সেই ইন্টারনেট গ্রাহকরাই। এটা স্বাভাবিক যে, যদি একজন গ্রাহকের কাছ থেকে ৪ জন ১০ শতাংশ করে লাভ নেবে তখন গ্রাহকের ওপর বেশি চাপ পড়বেই। সেটা যদি দু’জন হয় তাহলে চাপ অর্ধেক কমে যায়।

এম এ হাকিম (১) বাংলাদেশের প্রতিটি খাতে ফ্লোর প্রাইস ও সিলিং প্রাইস বলা আছে। যেমন টেলিযোগাযোগ খাতে সর্বনিম্ম ও সর্বোচ্চ কলরেটের একটি সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। কিন্তু ইন্টারনেট খাতের ৪ স্টেক হোল্ডারের একটিরও কোনও ফ্লোর বা সিলিং নির্দিষ্ট করা নেই। এই কারণে বিনিয়োগকারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গত ৫ বছর ধরে এই নিম্ন ও উচ্চসীমা বেধে দেবে বলে আসছে কিন্তু সরকার কখনোই বলেনি ঠিক কবে নাগাদ তারা এটা করবে। এটা না থাকার কারণে সরকার কিন্তু ক্ষতির মধ্যে পড়ছে। যেমন সর্বনিম্ন সীমা থাকলে সরকার সেই রেট ধরে লভ্যাংশ চাইতে পারে। এখানে সর্বনিম্ন সীমা না থাকায় সেটা হচ্ছে না। যার ফলে নানানভাবে আমরাও ক্ষতির মধ্যে পড়ছি।
বাংলাদেশে এনটিটিএন অপারেটর ২টি। (যদিও সরকার বলে ৫টি। এরমধ্যে বিটিসিএল, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও পিসিজি সর্বসাধারণের জন্য কাজ করছে না। সরকার লাইসেন্স ৫টি দিয়ে রেখেছে তবে এই তিনজনের কেউই মার্কেটে নেই। মার্কেটে আছে ২টি কোম্পানি।) ২টি কোম্পানি থাকায় তারা নিজের ইচ্ছামতো ব্যবসা করতে পারছে। আমরা বারবার বলেছি, এনটিটিএনের জন্য একটা ফ্লোর ও একটি সিলিং দেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এ কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে লাইফ স্টাইলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যান্ডউইথের দাম অনেক কমে যায় তাও কিন্তু আমি আপনাকে কম দামে ইন্টারনেট দিতে পারব না, শুধু ট্রান্সমিশনের উচ্চখরচের কারণে। 

বাংলা ট্রিবিউন: সরকার শুধু ব্যান্ডউইথের দাম কমায়। এর সঙ্গে আরও যেসব বিষয় জড়িত সেসব কেন আলোচনায় আসে না?

এম এ হাকিম: ব্যান্ডউইথের দাম কমলেও ইন্টারনেটের দাম কেন কমছে না সেটা কিছুটা এমন যে ধরুন, আমি ১০ জিবিপিএস ইন্টারনেট নিয়ে সেটা ভোক্তাদের মধ্যে দিতে চাই। এখন আমার এই ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্টের জন্য মেশিনারিজ লাগবে ১০ কোটি টাকার। তেমনিভাবে যাদের আইটিসি আছে তাদের ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্টের জন্য ১০০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আছে। সরকার যখন ব্যান্ডউইথের দাম কমায় তখন আমরা ভোক্তাপর্যায়ে আমরা আরও ব্যান্ডউইথ বাড়িয়ে দিই। তার জন্য পুরনো যন্ত্রপাতির সঙ্গে আপগ্রেড করা দরকার হয়। ধরা যাক, সেখানে আমার খরচ হলো আরও ৩-৪ কোটি টাকা। বাড়লো ব্যাংকের সুদ। একইভাবে খরচ বাড়লো আইটিসিরও। এরপরে ভোক্তা পর্যায়ে ট্রান্সমিশনের জন্য এনটিটিএনের খরচও কমলো না। মজার বিষয় হচ্ছে, আমি যদি ৩ হাজার টাকার একটি ইন্টারনেট লাইন দিতে চাই সেখানে আমার ব্যান্ডউইথে খুব বেশি হলে ৭-৮ শতাংশ খরচ হয়। বাকি সব খরচ ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট ও ট্রান্সমিশনের। লোকাল ট্রান্সমিশন খরচ, যন্ত্রপাতি খরচ, কর্মীদের বেতন, ঘরভাড়া সবকিছুই এখানে সংযুক্ত। এখন ৩ হাজার টাকার ইন্টারনেটে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম হচ্ছে ২১০ টাকা। সেটা কমিয়ে যদি ১০০ টাকা করা হলে খালি চোখে মনে হবে ৫০-৬০ শতাংশ কমে গেছে। আসলে কি সেটা হচ্ছে? ৩ হাজার টাকা তো আর ১ হাজার ৫০০ হয়নি হয়েছে ২ হাজার ৯০০ টাকা।

বাংলা ট্রিবিউন: এক ক্যাবলের মাধ্যমে ৩ সেবা কবে না নাগাদ পাওয়া যাবে?

এম এ হাকিম: সাধারণভাবে বললে প্রতিটি আইএসপি ট্রিপল-প্লে সার্ভিস বা ভয়েস-ডাটা-ভিডিও সার্ভিসের দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সরকার থেকে লাইসেন্সটা দিলেই এটা চালু হবে। অনেকেই আছে যারা ট্রিপল-প্লে সার্ভিস চালু করেছে যাদের সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে। বাকিদের শুধু অনুমতি দরকার। অবকাঠানো তৈরি আছে।

বাংলাদেশে এনটিটিএন অপারেটর ২টি। (যদিও সরকার বলে ৫টি। এরমধ্যে বিটিসিএল, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও পিসিজি সর্বসাধারণের জন্য কাজ করছে না। সরকার লাইসেন্স ৫টি দিয়ে রেখেছে তবে এই তিনজনের কেউই মার্কেটে নেই। মার্কেটে আছে ২টি কোম্পানি।) ২টি কোম্পানি থাকায় তারা নিজের ইচ্ছামতো ব্যবসা করতে পারছে। আমরা বারবার বলেছি, এনটিটিএনের জন্য একটা ফ্লোর ও একটি সিলিং দেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এ কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে লাইফ স্টাইলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যান্ডউইথের দাম অনেক কমে যায় তাও কিন্তু আমি আপনাকে কম দামে ইন্টারনেট দিতে পারব না, শুধু ট্রান্সমিশনের উচ্চখরচের কারণে।

বাংলা ট্রিবিউন: ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা কিন্তু বাড়ছে না। মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহারকারী দ্রুত বাড়ছে।

এম এ হাকিম: সেবা খরচের কারণে সেটাও হচ্ছে না। ধরা যাক, ঢাকার একটা ছেলে ও গ্রামের একটা ছেলের ক্রয়ক্ষমতা একরকম নয়। ক্রয়ক্ষমতা গ্রামের মানুষের কম কিন্তু ট্রান্সমিশন খরচের কারণে গ্রামে যেতে যেতে সেটার দাম বেড়ে ডাবল হয়ে যাচ্ছে। খরচ বেড়ে যাওয়ার জন্য গ্রামের দিকে ব্রডব্যান্ডের গ্রাহক তৈরি হচ্ছে না। গ্রাহক তৈরি না হওয়ার ফলে কোনও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সেখানে ব্যবসা করতে যাচ্ছে না।

সরকার বলছে যে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার অনেক ভালো। বাংলাদেশে এখন মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে ২৪০ জিবিপিএস এর মতো। ২৪০ জিবিপিএস এর মধ্যে টেলিকম খাতে যায় ৯০ জিবিপিএস। ৯০ জিবিপিএস দিয়ে তারা সাড়ে ৫ কোটি লোককে সেবা দিচ্ছে। আমরা ব্রডব্যান্ড ব্যবসায়ীরা ১৫০ জিবিপিএস দিয়ে ৩০ লাখ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছি। তারমানে প্রকৃত ইন্টারনেট ব্যবহার করছে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীরাই।

বাংলা ট্রিবিউন: ঝুলন্ত ক্যাবল অপসারণের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে।

এম এ হাকিম: আমরা প্রতি শুক্রবার নিজ দায়িত্বে ঝুলন্ত তার (ওভারহেড ক্যাবল) নামিয়ে নিচ্ছি। তবে আমার হয় না, সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনও দেশের উদাহরণ দেখাতে পারবে না যে সে দেশে এক ইঞ্চি ঝুলন্ত তার নেই। ইউরোপ, আমেরিকাতেও ঝুলন্ত তার আছে। এনটিটিএন-এর গাইডলাইনও ঝুলন্ত তারকে সাপোর্ট করে।

বাংলা ট্রিবিউন: ক্যাবল ইন্টারনেট সেবার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই।

এম. এ. হাকিম এম এ হাকিম: ক্যাবল ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ ভালো। ২০০৫ সালের আগে আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ লাগত ১ জিবিপিএস বা তারও কম। সেটা এখন ২৪০-২৫০ হয়ে গেছে। ১৪০-১৫০ জিবিপিএস ব্যবহার করছে সেই ক্যাবল অপারেটররাই। বাকিগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারছি না অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে। দেশে ইনফ্রাস্ট্রাকচার যখন বেড়ে যাবে তখন ক্যাবলের গ্রাহক আরও বাড়বে।
অনলাইনে এখন দেখলে দেখতে পাবেন যেসব অ্যাপ্লিকেশন আসছে তার সবই হাই-ব্যান্ডউইথ অ্যাপ। এসব কারণে যত বেশি ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে গ্রাহক পর্যায় থেকে ততো ক্যাবল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে যখন ১০০ ভাগ ডিজিটালাইজেশন হবে তখন ক্যাবলের ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়বে। আপনি মোবাইল ইন্টারনেট দিয়ে ভূমি অধিদফতরের ডকুমেন্ট পড়তে পারবেন না। হাই-ব্যান্ডউইথ অ্যাপ্লিকেশন ও হাই-ব্যান্ডউইথ সাইট কিন্তু আপনি সহজে একসেস করতে পারবেন না। 

বাংলা ট্রিবিউন: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এম এ হাকিম: সমসাময়িক বিষয়টি তুলে ধরার জন্য বাংলা ট্রিবিউনকেও ধন্যবাদ।
/এইচএএইচ/

আরও পড়তে পারেন: বিশ্বের শীর্ষ ৫ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড



সম্পর্কিত
বাংলা ট্রিবিউনকে ওয়াসিকা আয়শা খান‘নারীরা যে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়ে চলেছেন, এর নেপথ্যে শেখ হাসিনা’
‘মেয়েদের নিয়ে কেউই ঝুঁকি নিতে চায় না’
নারী দিবস উপলক্ষে একান্ত সাক্ষাৎকারে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী১৫ বছরে নারী শক্তির জাগরণ হয়েছে
সর্বশেষ খবর
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!