‘স্থানীয় অভিজ্ঞতা, বৈশ্বিক ব্যবসায়’ এই বিষয়কে প্রতিপাদ্য ধরে ঢাকায় শুরু হয়েছে দু’দিন ব্যাপী বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও সম্মেলন। সম্মেলনে এবার স্থানীয় বাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নিজেদের দেশের বাজার ধরতে না পারলে বৈশ্বিক বাজার আমাদের কাজ দেবে কেন? তারা তো আমরা অভিজ্ঞ কি না তা জানতে চাইবে। জানতে চাইলে আমরা যে কাজ পারি তা কোন উদাহরণ দিয়ে দেখাব।ফলে স্থানীয় বাজার উন্নয়নের কোনও বিকল্প নেই।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে শুরু হয়েছে বিপিও সামিট বাংলাদেশ-২০১৬ শীর্ষক সম্মেলন। সম্মেলন শেষ হবে শুক্রবার। শেষ দিনে সন্ধ্যায় সম্মেলন স্থলে বিপিও সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে ধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে দেশের বিপিও খাতের সফল উদ্যোক্তাদের পুরস্কৃত করা হবে।
সম্মেলনের আয়োজক সরকারের আইসিটি বিভাগ, আইসিটি অধিদফতর ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বললেন, বিশ্বের বাজারে ভালো অবস্থান তৈরি করতে হলে দেশীয় বাজারে ভালো করার কোনও বিকল্প নেই। তাই এখনই যদি এ বিষয়ে সচেতন না হই তাহলে সফটওয়্যার, সেবা ও দক্ষ জনবলের কথা বলে দেশের প্রচুর টাকা বিদেশে চলে যাবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না। আমরা আমাদের সক্ষমতা দিয়ে দেশীয় বাজারকে একটা শক্ত ভিত্তি দেব। এবারের সম্মেলনে এই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
সম্মেলনে বক্তা হিসেবে যোগ দেওয়া প্রফেশনালদের নেটওয়ার্কিং মাধ্যম লিংকডইনের মেশিন লার্নিং সায়েন্টিস্ট ড. বদরুল মুনির সারওয়ার বলেন, তরুণদের বলব ইংরেজিটা ভালোভাবে জানতে হবে। কোডিং ও অ্যালগোরিদমে তো পারদর্শিতা অপরিহার্য। সব সময় চোখ কান খোলা রাখতে হবে। জানতে হবে বিশ্বের কোথায় কি ঘটছে। তবেই না এগিয়ে যাওয়ার সূত্র পাওয়া যাবে। বিপিও, বিগ ডেটা যাই বলি না কেন, এগুলো জানতেই হবে।
ড. বদরুল মুনির সারওয়ার বলেন, একটি বিষয়কেই ফোকাস করতে হবে। হাইলাইট করতে হবে। স্থানীয় বাজার উন্নয়ন, তরুণদের দিক নির্দেশনা দেওয়া এসবই মনে হচ্ছে এবারের বিপিও সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য।
/এইচএএইচ/
অারও পড়তে পারেন: ‘বিজনেস ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার জানতে হবে, বুঝতে হবে ডেটার ভ্যালু’