X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

‘আমি স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে কম বয়সী সিইও’

হিটলার এ. হালিম
০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:০১আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:১৪

দেওয়ান কানন

উচ্চমাধ্যমিক থেকে আমার আত্ননির্ভরশীল হওয়ার ইচ্ছা ছিলো। ওই বয়সে অনেকেই টিউশনি বা অন্যকোনও অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে জড়িত থাকে। আমি চাইতাম এসবের চেয়ে আলাদা কিছু করতে। এমন কিছু যা অন্যদের ওপরেও একটি ‘পজিটিভ’ প্রভাব রাখবে। আমার বাবার তখন আমদানির ব্যবসা ছিলো। দেশটা ছিল চীন। চীনে যোগাযোগের কাজে আমি বাবাকে সহায়তা করতাম। সেই সুবাদে চীনে আমার কিছু বন্ধু হয়ে যায়। ওদের সঙ্গে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আলোচনা করতে করতেই শুরু। পরে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে তাদের কয়েকটি পণ্য নিয়ে আমিই কাজ শুরু করি না। শুরুটা এভাবেই। কথাগুলো বললেন, দেশের কনিষ্ঠতম প্রধান নির্বাহী দেওয়ান কানন। তিনি এসইবিএল ( সোলার ইলেক্ট্রো বিডি লিমিটেড) নামের প্রতিষ্ঠানের প্রধান, যে প্রতিষ্ঠান হালের জনপ্রিয় বিশ্বখ্যাত মোবাইলফোন শাওমির বাংলাদেশের অনুমোদিত পরিবেশক। 

ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিল প্রকৌশলী হওয়ার। সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটতেই কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে প্যাশনটা পরিবর্তন হওয়া শুরু হয় উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময়। বলতে পারেন বিজনেস আমার প্যাশন আর স্বপ্ন আমার প্রকৌশল। ব্যবসায়ের বিষয়টা একটু অন্যরকম। আপনি নিজেই একটা কিছু শুরু করলেন, তাকে বড় করলেন, সেখান থেকে কোনও অর্জন এলে এটা ভালো অনুভূতির জন্ম দেয়। অনুপ্রেরণা দেয় আরও বড় কিছু করার।

জানালেন, ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিল প্রকৌশলী হওয়ার। সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটতেই কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে প্যাশনটা পরিবর্তন হওয়া শুরু হয় উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকে। বললেন, বলতে পারেন বিজনেস আমার প্যাশন আর স্বপ্ন আমার প্রকৌশল। ব্যবসায়ের বিষয়টা একটু অন্যরকম। আপনি নিজেই একটা কিছু শুরু করলেন, তাকে বড় করলেন, সেখান থেকে কোনও অর্জন এলে এটা ভালো অনুভূতির জন্ম দেয়। অনুপ্রেরণা দেয় আরও বড় কিছু করার।

টেকনোলজি পণ্যের মধ্যে ট্যাবলেট পিসি দিয়েই আমার ব্যবসার শুরু হয়। আইনলের ট্যাবলেট পিসি দিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। শুরুটা খুবই চমৎকার ছিলো। তরুণরা বিষয়টিকে খুবই ভালোভাবে নিয়েছিলো। তাদের অনলাইন ডিলারশিপও আমরা পেয়ে যাই সেই বছরেই। এর বছর দুই পরে শাওমি যখন বিশ্বব্যাপী ভালো করতে শুরু করলো তখন আমি শাওমির পণ্যগুলো নিয়ে গবেষণা করতে শুরু করি। তখন থেকেই শাওমির পণ্যের প্রতি আমার একটা অন্যরকম ভালোবাসা জন্মায়, আমি ‘রেডমি ওয়ান-এস’ ব্যবহার করা শুরু করি নিজে। স্মার্টফোন নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিলো। শাওমি’কে পেতে যতটুকু একাগ্রতার প্রয়োজন, তার পুরোটুকুই দিয়েছি। এর ফলও পেয়েছি।

দেওয়ান কানন

শাওমির বাজার সম্পর্কে দেওয়ান কানন বলেন, শাওমি খুব অল্পসময়ের মধ্যে বিশ্বে স্মারটফোন জায়ান্ট হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী শাওমির ‘মি মিক্স’ মডেল্টি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। তরুন প্রজন্মের পছন্দের শীর্ষে শাওমি’র অবস্থান। বাংলাদেশে আমরা যাত্রা শুরু করি গ্রামীণফোনের সাথে। আর দেশব্যাপী ডিস্ট্রিবিউশন শুরু করি দুই মাস আগে। কঠোর পরিশ্রম আর টিমওয়ার্কের ফলশ্রুতিতে এর মধ্যেই আমরা ৫০টি জেলায় পৌঁছে গেছি। ডিলারদের কাছ থেকেও ফিডব্যাক ভালো পাচ্ছি। বলা চলে ভালোভাবেই শুরু হয়েছে। আমরা যে সমস্যাটির মুখোমুখি হচ্ছি তা হচ্ছে অবৈধ পথে আসা সেট নিয়ে। যারা লাগেজে সেট নিয়ে আসছে তাদের তো ট্যাক্স দিতে হয় না। ফলে তারা বেশ কম দামে সেট দিতে পারছে। যে দামে আমরা যারা বৈধভাবে ব্যবসা করছি তাদের জন্য দেওয়া কষ্টকর। ফলে আমাদের ব্যবসা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আশা করি সরকার বিষয়টির দিকে নজর দেবে।

শাওমির ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, শাওমি আসলে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতো। তারা তাদের অপারেটিং সিস্টেমের ফিডব্যাক নেওয়ার জন্য কিছু ডিভাইস তৈরি করে। যা পরে মোবাইল ডিভাইসের কোম্পানিতে রূপ নেয়। শাওমির অপারেটিং সিস্টেম ‘এমআইউআই’ সাধারণ অ্যান্ড্রয়েডের মধ্যে অন্য জগত। আর হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে শাওমি সবসময় বিশ্বের সেরা কোম্পানিগুলোর যন্ত্রাংশ দিয়ে ডিভাইস তৈরি করেছে। শাওমি কখনও মানে ছাড় দেয় না। বাজারের সেরাটাই তারা নিজেদের ডিভাইসে ব্যবহার করে। দুটো কারণে শাওমির পণ্য এতো জনপ্রিয়, একটি হচ্ছে তুলনামূলক কম দামে মানসম্পন্ন সেট, অপরটি হচ্ছে ইউনিক ইউজার ইন্টারফেস।

আমরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ ও পার্টটাইম চাকরির কিছু সুযোগ তৈরি করতে চাই

তিনি জানান, শাওমি হচ্ছে ফ্যানবেইজড ব্র্যান্ড। শাওমির ফ্যানরাই বাংলাদেশে শাওমির জন্য কাজ করুক। শাওমির ফ্যানদের মি বাংলাদেশ -এ স্বাগতম। আমরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ ও পার্টটাইম চাকরির কিছু সুযোগ তৈরি করতে চাই। আমাদের বাজার তৈরি মাত্র শুরু। আর বাজার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুযোগও তৈরি হবে অনেক। আমাদের মি ফ্যানক্লাব আছে। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে মি ফ্যানদের শাওমির সঙ্গে জুড়ে রাখা আর তারা বিভিন্নভাবে নিজেদের শাওমির সঙ্গে যুক্ত রাখতে পারে।

দেওয়ান কানন আরও বলেন, আমি স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে কম বয়সী সিইও। তবে আমার মনে হয় বয়সটা আসলে তেমন কোনও সমস্যা নয় যদি আপনার ইচ্ছাশক্তি আর প্রয়োগের সঠিক পরিকল্পনা থাকে।

/এইচএএইচ/

অারও পড়তে পারেন: মাহবুবুল হক শাকিলের ফেসবুক আইডি এখন ‘রিমেম্বারিং’

 

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন স্থগিত
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন স্থগিত
জলাবদ্ধতা নিরসনে কাউন্সিলরদের মাঠে থাকার নির্দেশ মেয়র তাপসের
জলাবদ্ধতা নিরসনে কাউন্সিলরদের মাঠে থাকার নির্দেশ মেয়র তাপসের
ক্ষতচিহ্নিত হাড়মাংস অথবা নিছকই আত্মজনের কথা
ক্ষতচিহ্নিত হাড়মাংস অথবা নিছকই আত্মজনের কথা
রংপুরে খেজুর বিক্রি নিয়ে চলছে তেলেসমাতি কারবার
মান নিয়ে প্রশ্ন, নেই প্রতিকাররংপুরে খেজুর বিক্রি নিয়ে চলছে তেলেসমাতি কারবার
সর্বাধিক পঠিত
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন: মেজর হাফিজ
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন: মেজর হাফিজ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
‘বিএনএমের সদস্য’ সাকিব আ.লীগের এমপি: যা বললেন ওবায়দুল কাদের
‘বিএনএমের সদস্য’ সাকিব আ.লীগের এমপি: যা বললেন ওবায়দুল কাদের
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার