X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

শুরু হচ্ছে হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

রুশো রহমান
০৫ মার্চ ২০১৭, ১৮:২১আপডেট : ০৫ মার্চ ২০১৭, ১৮:২১

প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হচ্ছে স্কুল পর্যায় থেকে প্রোগ্রামিংয়ে উৎসাহিত করতে আবারও শুরু হচ্ছে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। দেশের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে ন্যাশনাল হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৭। এবার ১৬টি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ৩টি উপজেলায়ও এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আমরা এ বছর হাইস্কুলে প্রোগ্রামিংয়ের এর পাশাপাশি মেয়েদের জন্য ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এবং শিশুদের জন্য জাতীয় শিশু কোডিং উৎসবের আয়োজন রাখছি। তিনি আরও বলেন, এসব আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো, স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে ছোটবেলা থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান বিশেষ করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন বিষয়, প্রয়োগ ও দক্ষতা বৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে আগামী দিনে যাতে তারা বিশ্বমানের প্রোগ্রামার হতে পারে, সেজন্য শক্ত ভিত্তি তৈরি করে দেওয়া।
পলক আরও বলেন, আমাদের আয়োজনে এবার প্রচারণামূলক অ্যাক্টিভেশন, মেন্টরস ট্রেনিং, অনলাইন মেন্টরশিপ ও ফোরাম, ১৬টি আঞ্চলিক প্রোগ্রামিং ও কুইজ প্রতিযোগিতা, ৩টি উপজেলা পর্যায়ে প্রোগ্রামিং ও কুইজ প্রতিযোগিতা, ৪টি অনলাইন প্র্যাকটিস কনটেস্ট, সারাদেশে স্থাপিত ২ হাজার ১টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে অনলাইন কনটেস্ট, জাতীয় প্রোগ্রামিং ও কুইজ প্রতিযোগিতা, জাতীয় প্রোগামিং ক্যাম্প, বাংলাদেশ ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড (আইওআই) ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। আইওআই ক্যাম্প থেকে নির্বাচিত ৪ শিক্ষার্থী এ বছর ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সুবির কিশোর চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার, আইসিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার বিচারক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমানসহ আরও অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিযোগিতার বিচার কাজের জন্য দেশে তৈরি আন্তর্জাতিক জাজ ইঞ্জিন কোডমার্শাল (www.codemarshal.org) ব্যবহার করা হচ্ছে। www.nhspc.org  নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। সক্রিয় আছে প্রতিযোগিতার ফেসবুক পেজ (www.facebook.com/nhspcbd)  এবং ফেসবুক গ্রুপ https://www.facebook.com/groups/NHSPC


আরও জানানো হয়, আগামী ৯ মার্চ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যশোর অঞ্চলের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই আয়োজনের পর্দা উঠবে এবং আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ন্যাশনাল হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পর্দা নামবে। জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় মোট প্রতিযোগিতা হবে ১৯টি। এর মধ্যে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা ১৬টি ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতা হবে ৩টি। আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার অঞ্চল হলো রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগাম, বরিশাল, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, পাবনা, পটুয়াখালী, টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, যশোর ও ময়মনসিংহ




এদিকে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা ভেন্যু হলো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (কুমিল্লা সেনানিবাস), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।আরও উপজেলাগুলো হলো আনোয়ারা-চট্টগ্রাম, সিংড়া-নাটোর ও নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর।
মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এবং শিশুদের জন্য জাতীয় শিশু কোডিং উৎসব হবে এবার। কুইজ প্রতিযোগিতার ৩টি ক্যাটাগরি হলো জুনিয়র (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি), সেকেন্ডারি (নবম-এসএসসি পরীক্ষার্থী) এবং হায়ার সেকেন্ডারি (একাদশ-এইচএসসি পরিক্ষার্থী, পলিটেকনিকের চতুর্থ সেমিস্টার পর্যন্ত। আর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে দুটি ক্যাটাগরিতে। একটি হলো জুনিয়র (ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি)। অপরটি হলো সিনিয়র (দশম থেকে দ্বাদশ ও সমমানের শিক্ষার্থী পলিটেকনিকের চতুর্থ সেমিস্টার পর্যন্ত)
/এইচএএইচ/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নড়াইলে ‘সুলতান মেলা’ উপলক্ষে আর্ট ক্যাম্প
নড়াইলে ‘সুলতান মেলা’ উপলক্ষে আর্ট ক্যাম্প
লোকসভা নির্বাচন: রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসী
লোকসভা নির্বাচন: রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্মরণে কাল নাগরিক সভা
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্মরণে কাল নাগরিক সভা
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!