X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নের উদ্যোগ

হিটলার এ. হালিম
৩১ মে ২০১৭, ০৩:১৮আপডেট : ৩১ মে ২০১৭, ০৩:৩১

 

কল সেন্টারে কাজ করছেন এক নারী। (ছবি: সংগৃহীত) দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নারীদের স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পে শিক্ষার্থী, ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা, পেশাজীবী, গ্রামের বেকার নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বনির্ভর হতে পারবেন। সম্প্রতি একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) এই প্রকল্পটি পাসও হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের বৃহত্তর ২১টি জেলার ২১টি উপজেলায় ফ্রিল্যান্সার নারীদের উদ্যোক্তা, আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার ও কল সেন্টার এজেন্ট তৈরির জন্য ৩টি লেভেলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোর শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও অন্যান্য সরকারি ল্যাবে। 

প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের নাম শুরুতে ছিল শি পাওয়ার। পরবর্তী সময়ে নাম পাল্টে রাখা হয় প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন। তবে নাম পাল্টালেও প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে কোনও পরিবর্তন আসেনি বলে জানা গেছে।  

মূলত নারীকে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করে তুলতে লার্নিং আর্নিং, বাড়ি বসে বড়লোক, মোবাইল প্রশিক্ষণের (মোবাইল ভ্যানগুলো প্রশিক্ষণ দেয় ঘুরে ঘুরে) মতো বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এটাও সে ধরনের একটি প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ নারীকে তথ্যপ্রযুক্তিতে আরও দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে ‍তুলবে। একইসঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেকে অন্যতম প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে তুলবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। 

দেশের মোট মোবাইলফোন ব্যবহারকারীর ৪৭ ভাগ এবং মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৩৮ ভাগ নারী হওয়ায় সরকার নারীর ক্ষমতায়নে তথ্যপ্রযুক্তিকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আইসিটি ইকো-সিস্টেমে নারীর অংশগ্রহণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করে আইসিটি বিভাগ।

 এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার নারী উদ্যোক্তা তৈরি, নারী আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার তৈরি এবং ২ হাজার ৫০০ কলসেন্টার এজেন্ট তৈরি করা হবে। এছাড়া কম্পিউটারের ট্রাবল-স্যুটিংয়ের কাজও শেখানো হবে। তিনি মনে করেন, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তা এসডিজি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। 

প্রকল্পের নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮২ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে একজন ফ্রিল্যান্সার নারীকে কিভাবে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা যায়, নারী কিভাবে আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করতে পারে এবং কল সেন্টার এজেন্ট হলে কিভাবে কলসেন্টার সামলাতে হয়, সেসব বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।  

/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা