বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবিএ’র সভাপতি আমিনুল হাকিম।
সোমবার সকালে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে বিটিআরসি থেকে মেইলে জানানো হয়েছে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখতে। ইন্টারনেটে ধীর গতি রাখার যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেটা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফিরে এসেছে। ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।’
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশের সব আইএসপি ও মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা পাঠায়। এতে বলা হয়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখতে হবে।
তবে রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি ধীর ছিল। আইএসপি ও মোবাইল অপারেটরগুলোতে ২৫ কেবিপিএস (কিলোবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করায় কার্যত ইন্টারনেট বন্ধই ছিল। এসময় কোনও ওয়েবসাইটে ঢোকা যায়নি। কিছু সার্চ দিলেও ওয়েবপেজগুলো কেবল ‘লোডিং’ দেখাচ্ছিল।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জানান, রবিবার রাত ১০টার পর আধাঘণ্টার জন্য তারা ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারেননি। বিশেষ করে এই সময় সমস্যায় পড়েছেন ইন্টারনেটনির্ভর বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইন্টারনেট কার্যত বন্ধ থাকায় অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। শাহেদ রিমন নামে একজন লেখেন, ‘কবে না জানি আবার ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইনের পরিবর্তে সুপার গ্লু খাইয়ে দেয়।’
আজাদ আবুল কালাম নামে এক এনজিও কর্মী লেখেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে ইন্টারনেট বন্ধ! এইবার কাজ না হলে পরে কিন্তু ছাপাখানাই বন্ধ হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে থেকে মোট আড়াই ঘণ্টা সময় ইন্টারনেটে ধীর গতি রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা পর পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত) ইন্টারনেট ধীর গতিতে চলবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকে দেশের সব আইআইজিকে (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ধীর গতিতে ইন্টারনেট চালানোর সিদ্ধান্ত পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়নে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবার গতি ধীর ছিল। আইএসপি ও মোবাইল অপারেটরগুলোতে ২৫ কেবিপিএস (কিলোবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ সরবরাহের কারণে কার্যত বন্ধই ছিল ইন্টারনেট। এ সময় কোনও ওয়েবসাইটে ঢোকা যায়নি। কিছু সার্চ দিলেও ওয়েবপেজগুলো কেবল ‘লোডিং’ দেখাচ্ছিল।
আরও পড়ুন:
ইন্টারনেট ‘ধীর গতিতে’ রাখার নির্দেশ: ক্ষতি দেখছেন উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীরা