পোস্ট পেইড বা প্রি-পেইড মোবাইলফোনে ব্যালেন্স ও ক্রেডিট (ঋণ) থাকাবস্থায় বর্তমানে ‘নম্বর না বদলে অপারেটর পরিবর্তন’ (এমএনপি)সেবা চালু করা যায় না। ব্যালেন্স থাকলে টাকা আগে শেষ করে বা পোস্ট পেইডের ক্ষেত্রে বকেয়া পরিশোধ করার পরই এমএনপি চালু করা যায়। তবে আগামী নভেম্বর থেকে এই সমস্যা থাকছে না। মোবাইলফোন গ্রাহকরা ব্যালেন্স রেখে বা ঋণ নিয়েই অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন। সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘জিপে-তে আছে অথবা সিমের মধ্যে টাকা আছে, সেক্ষেত্রে এমএনপি সুবিধা নেওয়া যায় না। এই বিষয়গুলো রয়েছে। এগুলো বড় সমস্যা। ব্যালেন্স শেষ না করে বা ঋণের টাকা পরিশোধ না করে এমএনপি করা যাচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি। ১ নভেম্বর থেকে এই অবস্টাকলগুলো সম্ভবত আর থাকছে না। যার মোবাইল যে অবস্থায় রয়েছে, সেই অবস্থাতেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে।’
এমএনপিসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা একটা বিষয় খেয়াল করেছি যে এটা (এমএনপি) বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন নয় কিন্তু মানুষের আগ্রহটা ব্যাপক। মানুষ সুনির্দিষ্টভাবে কোয়ালিটি অব সার্ভিস চায়। ফলে সেই সেবা নিশ্চিত করার একটা উদ্যোগ এই এমএনপি।’ তিনি মনে করেন, ‘ভালো সেবা যে অপারেটর দেবে, গ্রাহক এমএনপির মাধ্যমে সেই অপারেটরে চলে যাবে।’
প্রসঙ্গত, এমএনপির জন্য বর্তমানে ১৫৭ দশমিক ৫০ টাকা চার্জ দিতে হয়। এর মধ্যে ৫০ টাকা এমএনপি অপারেটরের চার্জ। মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১৫ শতাংশ হারে ৭ দশমিক ৫০ টাকা। অবশিষ্ট ১০০ টাকা সিম প্রতিস্থাপন কর। সিম প্রতিস্থাপন কর আর থাকছে না। অর্থ মন্ত্রণালয় এই কর উঠিয়ে নিতে পারে। বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘সিম প্রতিস্থাপন করের বিষয়টা আমরা ট্যাকেল করছি অন্যভাবে। আশা করছি, ওখানে যে করটা আছে, তা তুলে ফেলতে পারবো। অর্থমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। এখন বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’