X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রয়োজন: মোস্তাফা জব্বার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৪১আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৩

মোস্তাফা জব্বার (ফাইল ছবি) ইলেকট্রনিক্স বর্জ্যকে (ই-বর্জ্য) সম্পদে রূপান্তর করে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো নজির স্থাপন করেছে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘আমরাও সে পথে চলতে পারি। তবে, এজন্য ব্যবসায়িক পরিকল্পনার প্রয়োজন, যাতে বর্জ্য ঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায়। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং টেলিকম রিপোর্টারদের সংগঠন টিআরএনবি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো কত দামে কেনা যায়, সে তালিকাও করুন। যে সরবরাহ করবে, তার জন্য এবং টোকাইয়ের জন্য মার্জিন দাম নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে সরাসরি ইনসেনটিভ প্রয়োজন হবে না। দিনে দিনে ই-বর্জ্য কমানো যাবে না, আমাদের ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল পণ্যের ব্যবহার আরও বাড়বে। পুরনো প্রযুক্তি বাদ দিয়ে নতুন প্রযুক্তিতে যেতে হবে। গত ১০ বছরে দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবহার যে হারে বেড়েছে, তা গত ৩০ বছরের চেয়ে বেশি। কোনও ভাঙ্গারির দোকানদার যদি একটি জিনিস একশ টাকায় বিক্রি করতে পারে, তাহলে সেটি ৫০ টাকায় কিনতে পারবে। তার জন্য ইনসেনটিভ লাগবে না। এটা একটা সহজ সমাধান।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ই-বর্জ্য নীতিমালা পরিবেশ মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে গেছে।’ এটি ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের (এসওএফ) অর্থ এই খাতে ব্যবহারের দাবি প্রসঙ্গে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এই ফান্ডের টাকা এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবো কিনা- সেটি পরীক্ষা করে দেখবো।’

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, ‘ই-বর্জ্যের ভয়াবহতা মারাত্মক। যে পরিমাণ টাকা দিয়ে ডিভাইস কিনি, তার দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা দিয়েও ব্যবস্থাপনা করা যাবে না। সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল দুর্গম এলাকায় টেলিকম সেবা দেওয়ার জন্য বলা আছে। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে এই তহবিলের আওতায় আনতে হবে। আমরা লাইসেন্স দেওয়ার আগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তৎপর হই।’ এজন্য এই আইনের সংশোধনের আহ্বান জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।  

রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ই-বর্জ্যকে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম একটি কারণ হিসেবে দেখা হয়। অটিজম ও মানসিক বিকাশ না হওয়ার কারণও এটি। ই-বর্জ্য বাচ্চাদের মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ছে। মায়েদের স্তনের ক্ষতি হচ্ছে। এজন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আলাদা আলাদা ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে।’

২০১৫ সালে রবি স্বল্প পরিসরে ই-বর্জ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে জানিয়ে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ  বলেন, ‘এটা নিয়ে ব্যাপক আকারে কাজ করা দরকার। এজন্য নীতিমালা দরকার।’

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সভাপতি মো. রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, ‘প্রতিবছর প্রায় চার কোটি মোবাইল ফোন আমদানি হচ্ছে। এক বছর পরপর মানুষ মোবাইল পরিবর্তন করে। এক্ষেত্রে ই-বর্জ্য তৈরি হয়। এগুলো বেশি দামে কিনলে গ্রাহকেরাও বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাবে। এক মাসের মধ্যে ঢাকার পাঁচটি স্পটে ই-বর্জ্য সংগ্রহ শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সংগ্রহের পয়েন্ট করা হবে। এজন্য বিটিআরসির সহযোগিতা প্রয়োজন।’ 

পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ বলেন, ‘পরিবেশ আইনের আলোকে ইলেকট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এটি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। ভেটিংয়েরে পর জারি হবে।’ 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘২০১৬ সালে ১ লাখ ৪২ হাজার মেট্রিক টন ই-বর্জ্য বের হয়েছে। ২০২১ সালের ১ হাজার ১৬৯.৯৮ টন মোবাইল ই-বর্জ্য বের হবে।’ 

 

/সিএ/এনআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্মোহ মূল্যায়নের খোঁজে জাসদ
নির্মোহ মূল্যায়নের খোঁজে জাসদ
সাফজয়ী ভাইয়ের সঙ্গে লড়াই, নেই কোনও ছাড়
সাফজয়ী ভাইয়ের সঙ্গে লড়াই, নেই কোনও ছাড়
বিয়ে না করানোয় মাকে হত্যা
বিয়ে না করানোয় মাকে হত্যা
ব্রাজিলের জার্সিতে এই বছরই শেষ মার্তার
ব্রাজিলের জার্সিতে এই বছরই শেষ মার্তার
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী