তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, পলিসি সাপোর্ট, সক্ষমতা তৈরি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন একটি আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের দ্বারপ্রান্তে। এ তিনটি খাতে অগ্রগতির কারণেই কোভিড-১৯ মহামারিকালে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অনলাইনে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি মিলনায়তনে এলআইসিটি প্রকল্প ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আইটি-আইটিইএস খাতের ব্যবস্থাপনা পেশাজীবীদের জন্য ‘অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেশন ফর ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল (এসিএমপি) ৪.০ গ্রীষ্মকালীন ২০২০’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, ‘পলিসি সাপোর্টের কারণেই আজ দেশে আইসিটি শিল্পের প্রসার ঘটছে। দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন। সক্ষমতা তৈরি করা হচ্ছে দেশেই, যার প্রমাণ আজকের এই এসিএমপি ৪.০ কোর্সে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ। বিদেশ গিয়ে এই প্রশিক্ষণ নিতে ১০ গুণ বেশি খরচ হতো, কিন্তু সেই প্রশিক্ষণ আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় দেশেই করা সম্ভব হচ্ছে।’
আইবিএ’র পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম ও আইটি-আইটিইএস পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ প্রমুখ।
এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় ২০১৭ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে তিন মাসব্যাপী এসিএমপি ৪.০ কোর্স চালু করা হয়। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে এ পর্যন্ত ৮৪৩ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী ২০৭ জনকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।