বিশ্বের ডিজিটাল কনটেন্টের সব থেকে সম্মানজনক পুরস্কার ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড (ডাব্লিউএসএ)’ -এর জন্য মনোনয়ন আহ্বান করা হয়েছে। মনোনয়ন জমার শেষ তারিখ ১৫ জুলাই।
এবার ৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে। ক্যাটাগরিগুলো হলো গভর্নমেন্ট অ্যান্ড সিটিজেন এনগেজমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড ওয়েল বিয়িং, লার্নিং অ্যান্ড এডুকেশন, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড গ্রিন এনার্জি, কালচার অ্যান্ড ট্যুরিজম, স্মার্ট সেটেলমেন্ট অ্যান্ড আরবানাইজেশন, বিজনেস অ্যান্ড কমার্স, ইনক্লুশন অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট। এসব ক্যাটাগরিতে মোবাইল ও ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতা কোম্পানি ও ব্যক্তি অংশ নিতে পারবে।
প্রাপ্ত মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর আগামী আগস্টে জুরি বোর্ড ১২০টি প্রকল্প মনোনীত করবেন। জুরি বোর্ডে ইতালি, ব্রাজিল, তুরস্ক, ভারত, অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক, মিসর, জার্মানি, বাংলাদেশ, গুয়েতেমালা, কেনিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, কুয়েতসহ বিশ্বের ৫০ দেশের শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন। সেপ্টেম্বরে আবুধাবীতে তিনদিনের একটি কর্মসূচির মাধ্যমে গ্র্যান্ড জুরির সদস্যরা ৪০টি প্রকল্প মনোনয়ন দেবেন।
অক্টোবরে ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড-এর বোর্ডে অনুমোদনের পর নভেম্বরে জাতিসংঘের ওয়াল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডাব্লিউএসআইএস)-এর সহযোগিতায় ডাব্লিউএসএ গ্লোবাল কংগ্রেসে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এতে ১৭৮টি দেশের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতারা অংশ নেবেন। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের উন্নয়নে অবদানের জন্য ২০০৩ সাল থেকে অস্ট্রিয়াভিত্তিক এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যক্তি ও সংগঠনকে সন্মানসূচক এই পুরস্কার দিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশে ডাব্লিউএসএর জুরি বোর্ড সদস্য ও ন্যাশনাল এক্সপার্ট এমসিসির লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আশ্রাফ আবির বলেন, ডাব্লিউএসএ ডিজিটাল কনটেন্টের উচ্চপর্যায়ের বৈশ্বিক মূল্যায়নকারী সংস্থা যেখানে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণরা তাদের উদ্ভাবনী পণ্যকে বৈশ্বিক পর্যায়ের নিয়ে যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে মোবাইল ও ডিজিটাল কনটেন্ট প্রস্তুতকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানকে বৈশ্বিক এই আয়োজনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
www.wsis-award.org এই ওয়েবসাইটে বিস্তারিত জানা যাবে।
/এইচএএইচ/