X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় তরুণদেরও থাকতে হবে’

তারুণ্য ডেস্ক
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৫১আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৫৩

ন্যাশনাল ইয়ুথ কংগ্রেস ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্রাচার্য। তিঁনি বলেন যে বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১২০ কোটি তরুণ। অর্থাৎ বিশ্বের নাগরিকদের প্রতি ছয়জনে একজন তরুণ। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশও  তরুণ। শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মহৎ আদর্শ চর্চার মাধ্যমে এ তারুণ্য শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সমন্বয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল হেল্প হাব (ইউএইচএইচ) এর আয়োজনে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল উয়ুথ কংগ্রেস ২০১৭: লিডারশিপ ফর এ্যাচিভিং এসডিজি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, যে এসডিজির মূল সারাংশ হল লাইভ অন ওয়ান বিহাইন্ড তথা সবার জন্য সম-উন্নয়ন। সম উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ইনক্লুসিভ সমাজব্যবস্থা যেখানে অংশীজনদের প্রত্যেকে নিজের অধিকার রক্ষার বিষয়ে বিশেষ অধিকার ভোগ করবে।

এ ক্ষেত্রে তিনি বলেন যে আমরা মুখে সম অধিকারের কথা বললেও কাজে তা করি না। যেমন আমরা তরুণ বলতে শুধু একটি বিশেষ শ্রেণিকে বোঝাই। তৈরি পোষাক খাতে নিয়োজিত  কর্মীদের আমরা বাধ্য হয়ে তরুণ শ্রেণির অংশ মনে করলেও ‘গৃহকর্মী’ তরুণদের এখনও আমরা তরুণ শ্রেণি বলে স্বীকার করতে চাই না। এ বৈষম্যমূলক মানসিকতা আমাদের এসডিজি অর্জনে বড় বাঁধা সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের ১৭তম লক্ষ্য হল “লক্ষ্য অর্জনে অংশীদারিত্ব”। অর্থাৎ ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই আমরা একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে পারি। এসডিজির পঞ্চম গোল হল লিঙ্গ সমতা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে লিঙ্গ সমতা এখনও অর্জন হয়নি। নারীর প্রতি পুরুষালী দৃষ্টিভঙ্গি সমাজে এখনো বিদ্যমান। এসডিজির চতুর্থ লক্ষ্য হচ্ছে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও ১৬তম লক্ষ্য হলো শান্তি ও ন্যায় বিচার। আমরা মান সম্পন্ন শিক্ষা ও শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে পারি। এসডিজির দশম গোল হল বৈষম্য হ্রাস ও ১২তম লক্ষ্য হচ্ছে পরিমিত ভোগ। এগুলো অর্জনের মাধ্যমে আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় লক্ষ্য যথা দারিদ্র নির্মূল ও ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ে তুলতে পারি।

ইউএইচএইচ এর সভাপতি মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু হুসাইন মোহাম্মদ আহসান। বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ন পরিচালক রুকুনুজ্জামান, ঢাকা ব্যাংকের কমিউনিকেশন প্রধান আনওয়ার ইহতেশাম খন্দকার, পিডিএফ-এর প্রধান নির্বাহী মিজানুর রহমান কিরণ, অহনিশ ফিল্মের কর্ণধার এইচ আল বান্না ও ক্রিটিকাল লিঙ্কের সহ প্রতিষ্ঠাতা রাহাত হোসেন। ইউএইচএইচ সভাপতি মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের সম্ভাবনাময় বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠিকে মানব সম্পদে রুপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছে ইউএইচএইচ। ইউএইচএইচ আগামী পাঁচ বছরে পঞ্চাশ হাজার সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থসেবা দিয়ে সুস্থ জাতি গঠনে অংশগ্রহণ করে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চায়।বাংলা ট্রিবিউন পুরো আয়োজনটির মিডিয়া পার্টনার ছিল।

/এফএএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আট বছর পর জাবিতে ডিন নির্বাচন
আট বছর পর জাবিতে ডিন নির্বাচন
তামাকে বিষ, তবুও ঝুঁকছেন কৃষক 
তামাকে বিষ, তবুও ঝুঁকছেন কৃষক 
এফএ কাপে হাল্যান্ডকে নিয়ে সংশয়ে সিটি
এফএ কাপে হাল্যান্ডকে নিয়ে সংশয়ে সিটি
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা বিলে ভোট আজ
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা বিলে ভোট আজ
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা