X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘কইন্যা’ নিয়ে পথ চলছেন নিশাত

লীনা দিলরুবা শারমিন
০৮ মার্চ ২০১৭, ২০:৩১আপডেট : ০৮ মার্চ ২০১৭, ২০:৪৬

কইন্যা

শাড়ি পরতে ভালোবাসেন আর অনলাইনে কেনাকাটা করেন, এমন প্রায় প্রত্যেকের কাছেই পরিচিত নাম ‘কইন্যা’।  এক লাখের বেশি ফলোয়ারসহ এই ফেসবুক ভিত্তিক শাড়ি কেনাবেঁচার পেইজটি তুমুল জনপ্রিয়। প্রতিনিয়ত চলছে নতুন নতুন শাড়ির আনাগোনা, আর কেনাবেচা। এই ব্যস্ত অনলাইন শপিং আউটলেট কইন্যার যিনি অধিকারী তার নাম, তাসমিনা তাবাসসুম নিশাত।

কইন্যার শুরুর গল্প প্রসঙ্গে নিশাত বলেন, তিনি আর তার  বন্ধু বাধন মিলে নিজেদের মতো করে কিছু করার তাগিদ থেকে কাজটা শুরু হয়েছিল। নিশাত বলেন, “একেবারে ছোট্ট করেমাত্র ১২৫০ টাকায় আমরা ব্যাবসা'টা শুরু করি।সেটা খুব আগের কথাও কিন্তু না। এই ২০১৩-তে। গজ কাপড় আর লেইস কিনে শাড়ি বানিয়েছিলাম একটা।পরিচিত এক বড়বোন শাড়িটা কিনেছিলেন। সেই টাকায় পরে বানিয়েছিলাম দুটো শাড়ি। এক বড় ভাইয়ের বিয়ে ছিল। তার শাড়ি দুটো পছন্দ হয়। কিনে নেন। তার কিছুদিন পর রোজার ঈদ। সেবার ঈদের জন্য ৫টা শাড়ি করেছিলাম। পরিচিতরা আর বন্ধুরা কিনে নেয় শাড়িগুলো।”

তারপর এক কাছের বন্ধুর থেকে পরামর্শ পান গহনা বানানোর। দুই বন্ধু মিলে বিভিন্ন দেশের কয়েন সংগ্রহ করে সেসব দিয়ে গহনা বানাতেন তখন। এরপর দুজন মিলেই ফেইসবুকে একটা পেইজ খোলেন। নাম, ‘দ্বৈত’। চলতে থাকে শাড়ি গয়না বানানো। সঙ্গে একটা দুটো কুর্তি, কাফতান...। শুরুটা এভাবেই। তারপর শুরু করি তাঁতের শাড়ির ব্যাবসা, যেটার শুরুটা কইন্যা নামে। এরপর আর পেছন ফেরা নয়। শুরুতে তেমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি, কারণ শুরুটা ছিল পড়ালেখা করার সময়ে। আর বিশ্ববিদ্যালয় শেষ হবার আগেই ব্যবসাটা ততদিনে মোটামুটি দাঁড়িয়ে গেছে।পড়াশোনা শেষ করে পুরোপুরি ব্যাবসায় মনোযোগ দেন নিশাত।

এখন কইন্যা ক্রেতার চোখেই অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। কাজে বাধা

নিশাত বলেন, “কাজ করতে গেলে বাধা তো আসবেই। সেখানে নারী পুরুষ বলে বাধার তারতম্য আছে কিনা তা জানা নেই, কিংবা অনুভবও করিনি কখনও। আমাদের যে সমাজ ব্যবস্থা তাতে করে ইউনিভার্সিটি শেষ করে কোনও ছেলে বা মেয়ে ছোট্ট ব্যাবসার দিকে ঝুঁকবে তা মেনে নেবার মানসিকতা এখনও বোধহয় আমাদের তৈরি হয়নি। সেখান থেকে তো কিছু সমস্যা হয়ই। কিন্তু মেয়ে হবার কারণে আমি আলাদা করে তেমন কোনও সমস্যার সম্মুখীন হইনি। বরং কাছের মানুষদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি অনেক। বিশেষ করে আমার মায়ের। তবে ব্যবসার কলেবর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন সংকটও তৈরি হচ্ছে প্রতিদিন। আর সংকটের সমাধানের মধ্য দিয়েই তো এগিয়ে যাওয়া। যেকোনও সফল কাজ কিংবা উদ্যোগের পেছনেই একটা গল্প থাকে, সেই গল্প শ্রম ও নিষ্ঠার। নিষ্ঠার সঙ্গে যে কোনও বিষয়ে লেগে থাকলেই সফলতা নিশ্চিত। তবে মনোযোগ দিয়ে কাজে লেগে থাকতে হবে, বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করবার সাহস রাখতে হবে।

কইন্যা

 পরিশেষে

নিষ্ঠার সঙ্গে যে কোনও বিষয়ে লেগে থাকলেই সফলতা নিশ্চিত।তবে মনোযোগ দিয়ে কাজে লেগে থাকতে হবে,বাধা বিপিত্তকে অতিক্রম করবার সাহস রাখতে হবে মনে।কে কী বললো বা ভাবলো সেটা নিয়ে না ভেবে কাজটা নিয়ে ভাবা উচিৎ। কারণ দিন শেষে কাজটাই আপনাকে আলাদা একটা পরিচয় দেবে বলেই বিশ্বাস করেন নিশাত। পাশে রয়েছে বর ও বন্ধু বাধন মাহমুদ। দুজন মিলেই উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে যেতে চান। আর দেশি পণ্য নিয়ে মানুষের খুব খুব কাছে থাকতে চান তিনি। 

/এফএএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’