অনলাইনভিত্তিক সংগঠনটির নাম ‘আমরা খাঁটি গরিব।’ গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করেছিল তারুণ্যনির্ভর সংগঠনটি। আমরা খাঁটি গরিব- এর হাত ধরে গত ৫ বছরে উষ্ণতা পেয়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।
২০১০ সালে কুড়িগ্রামের বকুলতলা, ২০১১ সালে লালমনিরহাটের ইটাপোতা, বুমকা ও বনগ্রাম, ২০১২ সালে পঞ্চগড়, ২০১৩ সালে রংপুরের গঙ্গাচরা উপজেলার লক্ষিটেরা ইউনিয়নের ৮টি গ্রাম, ২০১৩ সালে ডিসেম্বরে ঠাকুরগাঁও রায়পুর ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম এবং ২০১৪ সালে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নে (উড়িয়া, উদাখালী, কঞ্চিপুর) শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছিল।
এরপর স্ব স্ব জায়গা থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ঝিমিয়ে পড়েছিল গ্রুপটির কার্যক্রম। ‘কিন্তু প্রাণের সংগঠন বলে কথা। প্রাণের টানে ব্যস্ত মানুষগুলো আবার একসাথে হয়েছি, শীতার্ত মানুষদের মাঝে বিলিয়েছি উষ্ণতা’- বলেন লালমনিরহাটের নাসিরুল আলম মণ্ডল। একদম শুরু থেকেই সংগঠটির সঙ্গে আছেন তিনি।
‘এতদিন পর ফিরেও কেবল ফেসবুক প্রচারণাতে এত বিশাল সাড়া পাব, ভাবতেই পারিনি’- বলেন মণ্ডল। ফেসবুকের ফান্ড সংগ্রহের পাশাপাশি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা হাতে তৈরি বিভিন্ন অরিগামি পণ্য বিক্রি করেছেন স্কুলগুলোতে।
অফিসের ফাঁকে ফাঁকে সংগঠনের কাজ করেছেন তিথি। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কাজগুলো যত আনন্দ নিয়ে করতাম, এখনও ঠিক সেই একই আনন্দে কাজগুলো করেছি। আমরা খাঁটি গ্রুপ একটি পরিবারের নাম, আবেগের নাম। ব্যস্ততা যতই থাকুক, আবারও মাঠে নামতে পেরে আমরা সবাই খুব উচ্ছ্বসিত।’
‘আমরা খাঁটি গরিব’ যে একটি আবেগের নাম সেটা একবাক্যে স্বীকার করেন গ্রুপটির সঙ্গে জড়িত সবাই। জাহিদুল ইসলাম তো সুদূর ওমান থেকে উড়ে এসেছেন কেবল প্রিয় সংগঠনের সঙ্গে কাজ করার জন্য!
সম্প্রতি ‘আমরা খাঁটি গ্রুপ’ বাহিনী রংপুরের ময়েনপুর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর উপজেলার ৩০০ জনেরও বেশি শীতার্তকে প্রদান করেছে উষ্ণতা। ফেসবুক প্রচারণার পাশাপাশি সংগঠনের সদস্যরা নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টার শেষ বিন্দুটুকু দিয়ে সংগ্রহ করেছেন শীতবস্ত্রের জন্য ফান্ড- জানান মণ্ডল। এরপর ‘আমরা খাঁটি গ্রুপ’ যাবে পাহাড়িদের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে।