ভালবাসার অবিশ্বাস্য নিদর্শন। জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানাতে ছয় হুমায়ূনভক্ত ঢাকা থেকে হেঁটে নুহাশ পল্লীতে গিয়েছেন। হিমুর অনুকরণে তাদের পরনে ছিল হলুদ পাঞ্জাবি, খালি পা। ৫৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে তারা সময় নিয়েছেন ১২ ঘণ্টা। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তারা নুহাশ পল্লীতে পৌঁছান।
হুমায়ূনের সৃষ্ট জনপ্রিয় চরিত্র হিমু। এই হিমুর আদর্শে বিশ্বাসী একদল তরুণ গড়ে তুলেছেন সংগঠন, নাম হিমু পরিবহন। হিমু খালি পায়ে হাঁটতো। তাই হিমু পরিবহনের ছয় তরুণ আজ শুক্রবার সকাল ছয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে হাঁটা শুরু করেন। প্রথম যাত্রাবিরতি নেন ফার্মগেটে। দ্বিতীয় যাত্রাবিরতি আজমপুরে। সেখানেই দুপুরের খাবার সেরে নেন। খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে আবার হাঁটা শুরু করেন। কয়েকবার বিরতি নিয়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তারা পৌঁছান নুহাশ পল্লীতে। তাদের এই হাঁটা নিছক পাগলামি ছিল না। চলতি পথে তারা ক্যান্সার সচেতনামূলক লিফলেটও বিলি করেছেন। দলে ছিলেন নজরুল, মাঝি, তানভির, নাভিদ, সোহেল এবং ইদ্রিস আলী। সবচেয়ে বয়জ্যেষ্ঠ নজরুল। তার বয়স ত্রিশের কোঠায়। তরুণতম সদস্য নাভিদ একটি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
নুহাশ পল্লীতে পৌঁছানোর পর হিমু পরিবহনের অন্য সদস্যরা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে।
হিমু পরিবহনের আসলাম জানালেন, এই হণ্টন কর্মসূচির বাইরেও তাদের কিছু কাজ ছিল। গতকাল তারা ৫ জন ক্যান্সার রোগীর কেমো থেরাপির খরচ দিয়েছেন। ক্যান্সার আক্রান্ত ১২ জনকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দিনব্যাপী হিমু পরিবহনের অন্য সদস্যরা নুহাশ পল্লীতে ছিলেন।
পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ছয় তরুণ আজ শুক্রবার রাতেই বাসে চড়ে ঢাকায় ফিরবেন।
/এইআর/এফএ/