পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেতু এবং সেতু এলাকায় মানসম্মত মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে শুক্রবার (২৪ জুন) সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর গৃহীত পদক্ষেপ ও নেটওয়ার্কের মান যাচাইয়ের জন্য তিনি ওই এলাকায় যান।
শুক্রবার বিটিআরসি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় বিটিআরসির চেয়ারম্যান মাওয়া প্রান্তে সার্ভিস এরিয়া-১ এর কাছে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক যৌথভাবে স্থাপিত একটি স্থায়ী সাইট এবং মাওয়া প্রান্তে গ্রামীণফোন ও টেলিটক স্থাপিত অস্থায়ী সাইট তথা সেল অন হুইল (কাউ)পরিদর্শন করেন।
পরবর্তী সময়ে সেতুর ওপরে এবং জাজিরা প্রান্তে নেটওয়ার্কের মান যাচাই করেন পরিদর্শক দল। এ সময় অপারেটররা বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে তাদের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অপারেটররা মাওয়া ও জাজিরার উভয়প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা সবার জন্য মানসম্মত মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে বিদ্যমান সাইট ও অস্থায়ী সাইটে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি, সর্বোচ্চ পরিমাণে তরঙ্গ, ২টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অ্যান্টেনা, এবং টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি প্রযুক্তির সক্ষমতা ও ট্রান্সমিশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু ও সংলগ্ন এলাকার নেটওয়ার্কের পাশাপাশি বাবুবাজার-ভাঙ্গা হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকার মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে মোবাইল অপারেটররা তাদের সাইটের ট্রান্সমিশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। বাবুবাজার-ভাঙ্গা হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকায় গ্রামীণফোনের ৫০টি সাইটের ট্রান্সমিশন ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়া টেলিটক এনটিটিএন অপারেটরের কাছ থেকে ট্রান্সমিশনের উদ্দেশ্যে আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ গ্রহণ করেছে। পদ্মা সেতু ও সংলগ্ন এলাকায় নেটওয়ার্কের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সব মোবাইল অপারেটর বিশেষ মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রামীনফোনের অ্যাপ মাই জিপি ব্যবহার করে অপারেটরটির গ্রাহকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিনা খরচে যেকোনও জায়গা থেকে সরাসরি উপভোগ করতে পারবেন।
