X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’

ফজলুল বারী
২৮ মে ২০১৬, ১৪:৫১আপডেট : ২৮ মে ২০১৬, ১৫:৪৯

Fazlul Bariআমি যে হাইস্কুলে পড়েছি এর নাম কুলাউড়া নবীন চন্দ্র বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। আমি যে কলেজে পড়েছি এর নাম সিলেট মুরারি চাঁদ মহাবিদ্যালয় তথা এমসি কলেজ। আসলে এ অঞ্চলে এক সময় হিন্দু জমিদার-বিদ্যা উৎসাহী ব্যক্তিরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ এসব প্রতিষ্ঠা করতেন। হাজী মুহসিনের মতো মুসলিম দানশীল ব্যক্তিদের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। মুসলমান টাকাপয়সাওয়ালাদের মসজিদ-মক্তব-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় ঝোঁক ছিল। পাকিস্তান হবার পর হিন্দুদের প্রতিষ্ঠিত অনেক স্কুল-কলেজের নাম পালটে সেগুলোর মুসলমানিকরণ করা হয়। যেমন ঢাকায় এখন যেটি কামরুন্নেসা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেটি মনোরোমা মাসীমার প্রতিষ্ঠিত, তার নামে ছিল।
কিন্তু সিলেট অঞ্চলের তৎকালীন সমাজ অনেক অসাম্প্রদায়িক থাকার কারণে নবীন চন্দ্র বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় বা মুরারি চাঁদ মহাবিদ্যালয়ের নামে হাত পড়েনি। আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নাম ছিল বাবু প্রাণেশ কর। গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষকদের অনেকেই ছিলেন হিন্দু ধর্মালম্বী। যেমন করবী স্যার, আদিত্য স্যার, ননী স্যার, সীতেশ স্যার, নাড়ু স্যার, চন্দন স্যার প্রমুখ। স্কুলে আমার সজল, মৃণাল, আশীষ, দীপকসহ অনেক হিন্দু বন্ধু ছিল। আমানউল্লাহ স্যার, আরকানউল্লাহ স্যার, মাসুক স্যারসহ অনেক মুসলিম শিক্ষক এবং  মুহিব, মুহিত, লাভলু, ফয়সল, নাসির, নীলু, মন্টু, মকসুদসহ অনেক মুসলিম বন্ধুও ছিল স্কুল জীবনে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এদের কে হিন্দু কে মুসলিম এসব নিয়ে শৈশবে ভাবিনি বা ভাবতে শিখিনি কোনওদিন। শৈশবের দেখা হিন্দু শিক্ষক-বন্ধুদের বেশিরভাগ ছিলেন খুব মেধাবী। সে জন্যে তাদেরকে খুব সমীহ করতাম।
আমাদের এসব শৈশবের শিক্ষক-ছাত্রদের মধ্যে খুব চমৎকার একটি সামাজিক সম্পর্কও ছিল। ঈদে তারা আমাদের বাড়ি আসতেন। পূজায় আমরা তাদের বাড়ি যেতাম। কোরবানির ঈদে বা বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে আমাদের এসব হিন্দু অতিথিদের জন্যে মুরগির মাংস-মাছ এসব আলাদা করে রান্না হতো। তাদের বাড়িতেও আমাদের মত মুসলমান অতিথিদের জন্যে আলাদা বিশেষ খাবারের আয়োজন থাকতো। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের এলাকার বেশিরভাগ হিন্দু বাড়ি সম্পত্তিতে রাজাকাররা আগুন ধরিয়ে দেয়। লুট করে। মন্দিরগুলোর প্রতিমা ভেঙে সেগুলো ধূলিস্মাৎ করা হয়। কিন্তু অন্য কোনও সময়ে হিন্দু মন্দিরে হামলা বা প্রতিমা ভাঙার কোনও ঘটনার কথা আমরা শুনিনি।

আরও পড়তে পারেন: রোজার পর আসছে কওমিপন্থীদের নতুন জোট!

আমি যখন পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমণে বেরোই তখন অনেক হিন্দু বাড়িতেও ছিলাম। হবিগঞ্জের সুঘর গ্রামে প্রিয় অমিয় চক্রবর্তী তথা অমিয় দা’র বাড়ির আতিথেয়তার কথা ভুলতে পারিনা। অমিয়দা সহ আমরা চারজন একসঙ্গে সিলেট থেকে ঢাকা পর্যন্ত হেঁটেছি। সে’বার ঢাকা এসেছিলাম অমিয়দার ভাইয়ের বাসায়। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক বইয়ের দোকানে এক দাদার সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি তার বাড়িতে নিয়ে যান। সে বাড়িতে আমি ছিলাম কয়েকদিন। তাদের মাকে আমি মা ডাকতাম। বাড়ির দিদি-বৌদিরা যে কি আন্তরিক ছিলেন তা বলে বোঝাতে পারবোনা। এই যে একজন পর্যটক চেনা নেই জানা নেই ক’দিন ধরে তাদের বাড়িতে থাকছে-খাচ্ছে, তারা নানা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, সে হিন্দু না মুসলমান এসব ভাবনা তাদের মধ্যে কখনও ছিলোনা।

ঢাকায় সাংবাদিকতায় জড়ানোর পর আমি মগবাজারের দিলু রোডে বিচিন্তা অফিসে থাকতাম। এরপর নিউ ইস্কাটন রোডে। ওই সময় মানস ঘোষ নামের এক কিশোরের সঙ্গে একদিন ফোনে যোগাযোগ হয়। বিচিন্তার পাঠক ছিল পুরনো ঢাকার পোগোজ স্কুলের ছাত্র মানস। সেদিন তাদের বাসায় ফোন লেগেছে। খুশিতে ভয়ে ভয়ে ফোন করেছে সে বিচিন্তা অফিসে। আর ফোনটি ধরেছি আমি। এরপর মানসদের পাতলা খান লেনের বাসায়ও চলে যাই একদিন। মানস, তার ভাই তুশীষ, দেবাশীষ তিনজনই হয়ে যায় আমার বন্ধু। তাদের বাবা মনীষ ঘোষ, মা, বোন পম্পা সবাই হয়ে যান আমার বাবা-মা-বোন। ঢাকায় খাওয়াদাওয়ার জন্যেও বাড়িটিতে যাতায়াত প্রায় নিয়মিত হয়। এরশাদের শেষের দিকে গণ আন্দোলনকে পন্ড করতে জাতীয় পার্টির পান্ডাদের দিয়ে পুরনো ঢাকায় হিন্দু বাড়ি সম্পত্তিতে হামলা করানো হয়। খুব দুশ্চিন্তা হয় মানসদের পরিবারের জন্যে। কার্ফুর মধ্যে হেঁটে হেঁটে চলে গেলাম পাতলাখান লেনের বাসায়। সেখানে গিয়ে দেখি লুটেরাদের ভয়ে গুটিশুটি মেরে পড়ে আছে গোটা পরিবার! বাবা আটকা পড়েছেন তার নবাবপুরের কারখানায়। সে জন্যেও তারা খুব উদ্বেগের মধ্যে আছেন। তাদের অভয় দিয়ে গলির ভেতর দিয়ে হেঁটেহেঁটে চলে গেলাম নবাবপুরে। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে আসলাম বাসায়। আমার ‘নমস্কার বাংলাদেশ’ বইতে গল্পটি আছে।

আমার ছোটবোন ইডেনে ভর্তি হয়ে সিলেট থেকে ঢাকা এসেছে। হোস্টেলে সিট পাবার আগ পর্যন্ত তার একটা থাকার জায়গা দরকার। মানসের মা-বাবা তা শুনেই বললেন, কেন সে আমাদের বাসায় থাকবে। আমার বোনও হয়ে গেল সে পরিবারের একজন। মানসদের বাবা-মা’কে সেও বাবা-মা ডাকতো।  সেই মা এখন আর বেঁচে নেই। মানস, তুশীষ, দেবাশীষ, পম্পা সবাই বিয়ে করে সংসারী হয়েছে। বাবার এখন অবসর জীবন। সেই মানসদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগটি এখনও আছে। মানস ঘোষ এখন ঢাকার মিডিয়ার তারকা সাংবাদিকদের একজন।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণার কাজে আমি একবার একমাস কলকাতায় আরেকবার একমাস আগরতলায় কাটিয়েছি। একাত্তরের কলকাতা, একাত্তরের আগরতলা’ নামে আমার দুটি বই আছে। এই দুটি বইয়ের কাজে কলকাতায়-আগরতলায় আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সে অঞ্চলগুলোয় সহায়ক অনেক মানুষের ইন্টারভ্যু করেছিলাম। তাদের নানা তথ্য, একাত্তরের নানান ডকুমেন্ট ঘাটতে গিয়ে আমি অবাক হয়ে দেখেছি বাংলাদেশ অন্তপ্রাণ এত মানুষ সেইসব অঞ্চলে! যাদের প্রায় সবাই হিন্দু। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আর রাজাকারদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল! ত্রিপুরার জনসংখ্যা তখন ছিল ১৪ লাখ। ১৬ লাখ শরণার্থী তখন শুধু ত্রিপুরাতেই আশ্রয় নিয়েছিল। ত্রিপুরার এমন কোনও বাড়ি বাকি ছিলোনা যেখানে আশ্রয় পায়নি কোনও না কোনও শরণার্থী! কে হিন্দু কে মুসলমান এটা তখন কেউ ভাবেনি। এসব গবেষণার কাজে আমি ওই অঞ্চলগুলোর অনেক হিন্দু বাড়িতে অতিথি হয়েছি, খেয়েছি-থেকেছি।  ভারতের হিন্দুরা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা অনেক কৃপণ স্বভাবের হয়, এমন একটি ধারনা অথবা গল্প চালু আছে বাংলাদেশে। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা ভিন্ন। ভালো-মন্দ, আন্তরিক-কৃপণ সব জায়গাতেই আছে। আমি ভারতের এতো হিন্দু বাড়ির আন্তরিক আতিথেয়তা পেয়েছি যা ভোলার নয়।

আরও পড়তে পারেন: পাঠ্যসূচি বাতিল না করলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ: চরমোনাই পীর

মুক্তিযুদ্ধের সেই বাংলাদেশ আজ উল্টো কেমন হয়ে গেলো! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়। তাদের বেশিরভাগের বাড়িঘর সম্পদ ধংস হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময়। পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ছিল ধর্মভিত্তিক মুসলমানদের দেশ। সাতচল্লিশের ভারত বিভাগের সময় এ অঞ্চলের হিন্দুদের বেশিরভাগ ভারতে চলে যান। যারা যাননি, থেকে যান তারা যাননি দেশের মায়ায়, জন্মভূমির টানে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশ্রুতি ছিল আমরা এমন একটা দেশ গড়বো যেখানে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষ থাকবে সমান মর্যাদায়। কিন্তু পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশটিকে আবার আমূল পালটে ফেলা হয়! বাংলাদেশ সংবিধানের ধর্ম নিরপেক্ষ চরিত্র পালটে দিয়ে সামরিক উর্দি পরে ক্ষমতায় বসে জিয়া এতে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেন। স্বৈরাচারী এরশাদ তার বিরুদ্ধে চলমান গণআন্দোলনকে বিপদগামী করার নিয়তে ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম করেন। বাংলাদেশ এর মাঝে ভেতর থেকে এমন পাল্টে গেছে যে, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মুখে বাহাত্তরের সংবিধানের কথা বললেও সংবিধানের এসব এক ধর্মীকরণ পাল্টানোর সাহস করেনি!

অতএব বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মাবল্বী ছাড়া হিন্দুসহ আর বাদবাকি সব ধর্মের মানুষজন কার্যত এখন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক! মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এখানে পথ হারিয়েছে! পাকিস্তান আমলে এ অঞ্চলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরা এখানে যা ছিলেন এখনও তাই। সব ধর্মের মানুষজন সমান থাকবে বলে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে গিয়ে নিঃস্ব-ক্ষতিগ্রস্ত করে তাদের সঙ্গে আবার এখানে প্রতারণা করা হয়েছে। সংখ্যাগুরুর দাপটে আক্রোশে পড়ে এখানে সারাবছরই নীরব দেশত্যাগ চলে সংখ্যালঘুদের। বিশেষ করে হিন্দুদের। কারণ সংখ্যালঘুর জমি বাড়ির দিকে লোভ সবার! তিনি শেখ হাসিনার বেয়াই অথবা যেই হোননা কেন। কিন্তু এখন যারা দেশত্যাগ করে  ভারতে যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগ ভারতেও ভালো থাকতে পারেন না। তাদের সেখানে বাঙ্গাল’ বলে গালি দেওয়া হয়। এখানে তাদের জন্ম, সারাক্ষণ এ দেশ-জন্মভূমি নিয়ে মানসিক পীড়নের মধ্যে থাকেন। কিন্তু একবার যারা চলে যাচ্ছেন তারা আর ফিরতেও পারেন না! দেশের মায়ার কথা বেশি মনে পড়লে মাঝে মাঝে সীমান্তে আসেন। জন্মভূমির দিকে তাকিয়ে হাত উঠিয়ে নমস্কার করে চোখ মুছতে মুছতে চলে যান! এটিই আমার ‘নমস্কার বাংলাদেশ’ গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়।

এখন অনলাইনের বিকাশ, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ার বৈপ্লবিক বিকাশের কারণে জানা-বোঝা যায় বাংলাদেশের কী পরিমাণ মানুষ মনেপ্রাণে সাম্প্রদায়িক এবং হিন্দু বিদ্বেষী! দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো, তাদের বেশিরভাগ মুসলমান নেতাকর্মী সমর্থকদের প্রতিদিনের আচরণে প্রতিক্রিয়ায় বোঝার উপায় নেই জন্মসূত্রে এখানকার হিন্দুরাও যে বাংলাদেশের নাগরিক এবং এই রাষ্ট্রটি তাদেরও। ইদানিং নানা ঘটনায় এ বিষয়টি উৎকটভাবে প্রকাশ পায়। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের নিগ্রহের ঘটনার নানা প্রতিক্রিয়ায় আবারও প্রকাশ পেয়েছে হিন্দুরা এখানে এখনও কত অসহায়! আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা একটি পরিবারের দলত্যাগী এক সদস্য সেলিম ওসমানের ঔদ্ধত্য দুর্বিনীত আচার আচরণের সমর্থনে দাঁড়িয়ে গেছে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী! যারা মুক্তিযুদ্ধের সময়ও হিন্দুদের বিরোধিতার নামে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে! এখন মুখে বাংলাদেশের বিরোধিতা করতে না পারলেও অন্তর থেকে হিন্দুসহ বাংলাদেশের আর সব ধর্মের মানুষের বিনাশ চায়। এদের সমর্থনে ফেসবুকে এত তরুণ-যুবারা তৎপর যে, সব দেখেশুনে একটাই প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশটা আসলে যাচ্ছে কোথায়? বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশে ফেরাতে চাইলে এই অশুভদের রুখতেই হবে।

 লেখক: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে জড়ো হবেন ১০ লাখ দর্শনার্থী
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে জড়ো হবেন ১০ লাখ দর্শনার্থী
নামাজ চলাকালে মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক
নামাজ চলাকালে মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ