X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

অতি নাটকীয়তা এবং গল্প থেকে ‘প্রশ্ন- সন্দেহ’

গোলাম মোর্তোজা
২২ মার্চ ২০১৭, ১৪:৫৩আপডেট : ২২ মার্চ ২০১৭, ১৪:৫৬

গোলাম মোর্তোজা জঙ্গি সন্ত্রাস যে এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে বা চরম আকার ধারণ করেনি, তার প্রধান কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতা। তাদের অনেক সাফল্য দৃশ্যমান। বিশেষ করে হলি আর্টিজান ট্র্যাজিডির পর কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ, সীতাকুণ্ড... অভিযানগুলো অবশ্যই প্রশংসনীয়। প্রশংসার পাশাপাশি আলোচনা বা সমালোচনায় মাঝেমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে সামনে আসছে কিছু প্রশ্ন, কিছু সন্দেহ। অভিযান নিয়ে সন্দেহ, জঙ্গি গ্রেফতার, নিহত হওয়া নিয়ে সন্দেহ। সন্দেহগুলো তৈরি হচ্ছে কেন? কারা তৈরি করছে প্রশ্ন বা সন্দেহ?
জঙ্গি বা জঙ্গিবাদের মতাদর্শ যারা ধারণ করে, তারা প্রশ্ন বা সন্দেহ তৈরি করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতেই পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি মানুষের সন্দেহ তৈরি করা গেলে সুবিধা জঙ্গিদের। সুতরাং সন্দেহ বা প্রশ্ন তৈরি করায় তাদের একটা ভূমিকা থাকতেই পারে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিজেরা যা করছে, তার কিছু বিষয় প্রশ্ন বা সন্দেহ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে কিনা? স্বীকার করি বা না করি, বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আজকের এই লেখাটি সামগ্রিক নয়, সন্দেহ বা প্রশ্ন ওঠা বিষয়ক দিকটি নিয়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সামগ্রিক অভিযান, সাফল্য নিয়ে আলোচনা করছি না। আলোচনা করছি সন্দেহ বা প্রশ্ন ওঠা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সন্দেহ বা প্রশ্ন তোলা উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য যাতে ভবিষ্যতে সন্দেহ বা প্রশ্ন না ওঠে, সে বিষয়ে সতর্ক হওয়া।
১. আশকোনায় র‌্যাবের প্রস্তাবিত ক্যাম্পে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার বিষয়টি একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে, আতঙ্কিত না হয়ে উপায় নেই। আত্মঘাতী হামলা, তাও আবার এলিট বাহিনী র‌্যাবের ক্যাম্পে! হামলাকারী কী করে প্রাচীর ঘেরা সুরক্ষিত ক্যাম্পে ঢুকলো, প্রশ্ন মানুষের মনে আসবেই। এর জবাবও থাকার কথা। যত সুরক্ষিতই হোক কোনও আত্মঘাতী জঙ্গির পক্ষে কোনও না কোনোভাবে ঢুকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। পাকিস্তানে জঙ্গিরা তো ক্যান্টনমেন্টেও আক্রমণ করে। আশার কথা, বাংলাদেশে জঙ্গিদের শক্তি এখনও অতটা নয়। আশকোনা ক্যাম্পে নিহত জঙ্গির আঙুলের ছাপ, জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা গেলো তার নাম জুয়েল। এই জুয়েলই একটি পত্রিকা অফিসে স্বশরীরে হাজির হয়ে বললেন, ‘আমি মরিনি। আমি জঙ্গি না’।

নিহত জুয়েলের আঙুলের ছাপ মিলে গেছে এই জীবিত জুয়েলের আঙুলের ছাপের সঙ্গে। র‌্যাবের দাবি নিয়ে যতটা প্রশ্ন উঠেছে, তার চেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয় পরিচয়পত্রের একজনের আঙুলের ছাপের সঙ্গে আরেকজনের ছাপ মিলছে কিভাবে? সমস্যা বা গলদটা কোথায়?

প্রশ্ন বা গলদ যেখানেই থাকুক, স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করলে তা জানা অসম্ভব নয়। প্রশ্ন এবং সন্দেহ সেখানেই যে, স্বচ্ছ তদন্ত হবে কিনা, করা হবে কিনা!

২. আশকোনা ক্যাম্পে হামলার পর জানা গিয়েছিল আত্মঘাতী হামলাকারী একজনই। তারপর জানা গেলো হামলাকারী দলে সাত-আটজন ছিল। এই জানাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। অস্বভাবিক হলো, হানিফ নামে একজনকে গ্রেফতার করা নিয়ে।

র‌্যাব-১ এর লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেমের বক্তব্য, ‘আত্মঘাতী হামলার দিন মুনমুন কাবাবের পাশে কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিল। র‌্যাবের গাড়ি দেখে পালানোর সময় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব অফিসে নেওয়ার পরই বুকে ব্যাথা শুরু হলে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’

সবকিছুকে এলোমেলো করে দিল এর পরের প্রসঙ্গ। হানিফের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলো, জুয়েলকে আগেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। থানায় তারা জিডিও করেছিলেন। হানিফের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা জানালেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হানিফ ও সোহেল বরিশালে চরমোনাই পীরের মাহফিলে গিয়েছিলেন। দু’জনই লঞ্চে ঢাকায় ফিরেছেন ২৭ ফেব্রুয়ারি। নামেন কাঁচপুর সেতুর কাছে। তাদের আনতে গিয়েছিলেন প্রাইভেট কার নিয়ে চালক জুয়েল। জুয়েল দেখেছেন সাত-আটজন নিজেদেরকে ডিবি পরিচয় দিয়ে হানিফ ও সোহেলকে হাইয়াম মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। জুয়েলের গাড়িতে কয়েকজন উঠে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে গাড়ি চালাতে বলে। পূর্বাচলের কাছে তাকে ফেলে গাড়ি নিয়ে চলে যায়।

ঘটনার এখানেই শেষ নয়। ১৫ মার্চ সকালে র‌্যাব-১ এর একটি গাড়ি ও সাদা রঙের একটি হাইয়াস মাইক্রোবাস হানিফের বাসায় যায়। র‌্যাবের গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকে রায়েরবাজার শাহআলী গলির মুখে। সাদা হাইয়াস মাইক্রোবাস বাড়ির সামনে দাঁড়ায়। মাইক্রোবাস থেকে হানিফকে সঙ্গে নিয়ে চার পাঁচজন বাসার ভেতরে ঢোকে। তারা হানিফের স্ত্রীকে বলে, আপনার স্বামী একটি অন্যায় কাজে সহযোগিতা করেছে। হানিফের ব্র্যাক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেকবই এনে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেকে সই নিয়ে নেয়। বাসায় যারা ঢুকেছিলেন, তাদের একজন র‌্যাবের পোশাক পরা ছিল। বুকে নেমপ্লেটে তার নাম লেখা ছিল ইকবাল। হানিফকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার বাসার নিচে থাকা একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।

হানিফকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করা হয় ৪ মার্চ। ১৫ মার্চ হানিফকে নিয়ে বাসায় এসে, চেক এবং মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। ১৭ মার্চ র‌্যাবের আশকোনা ক্যাম্পে হামলার পর হানিফের মৃত্যুর সংবাদ জানা যায়।

গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এখন জিডির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হানিফের লাশ পাওয়া গেলেও সোহেলের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। সোহেলের মা আকুতি নিয়ে ছেলে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

এই কথাগুলো গণমাধ্যমকে বলেছেন, হানিফের স্ত্রী মোছা. কুলসুম বেগম, হানিফের ভাই মো. হালিম মৃধা, হানিফের বেয়াই রেজাউল ইসলাম।

হানিফের পরিবারের এবং র‌্যাবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু প্রশ্ন কিছু সন্দেহ।

ক. প্রথম প্রশ্ন বা সন্দেহ, আত্মঘাতী হামলার পর কাছাকাছি কোথাও সাত-আটজন জঙ্গির দাঁড়িয়ে থাকার কথা নয়। তারা যদি আত্মঘাতী হামলাকারীর সঙ্গী হয়ে থাকে, র‌্যাবের গাড়িতে আত্মঘাতী আক্রমণই করার কথা। দৌড়ে পালানোর কথা নয়। বোমা-ককটেল-গ্রেনেড নিক্ষেপ ছাড়া, গুলি করা ছাড়া, আত্মঘাতী হামলাকারী দলের সাত-আটজন দৌড়ে পালাবে, বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। তারপরও তারা দৌড়ে পালাতে পারে। সবকিছু তো আর জঙ্গিবাদের ব্যাকরণ অনুযায়ী হবে না।

খ. হানিফকে নিয়ে র‌্যাব- ১ এর গাড়ি এবং সাদা মাইক্রোবাসে কারা এসেছিল? র‌্যাবের পোষাক পড়া ইকবাল কে? হানিফের সই নেওয়া চেকের টাকা কত তারিখে, কয়টা কত মিনিটে, কোন শাখা থেকে কে তুলল? ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় তো কিছু প্রমাণ থাকার কথা। র‌্যাবের বিরুদ্ধে এত গুরুতর অভিযোগ আসার পর, বিষয়টি কী তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, হবে?

গ. ৪ মার্চে করা জিডি, যার কপি হানিফের পরিবারের কাছে আছে, থানায় তা না থাকার রহস্য কী?

২. হানিফকে তুলে নেওয়া, আবার বাড়িতে নিয়ে আসা, গ্রেফতার- মৃত্যুর সঙ্গে নাম এসেছে ডিবি এবং র‌্যাবের। এখনও ডিবির বক্তব্য জানা যায়নি। র‌্যাব দাবি করেছে, এই ঘটনার সঙ্গে র‌্যাবের কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে প্রশ্ন আসে, সম্পর্ক আছে কার? হানিফের পরিবার কী তবে অসত্য বলছেন? তারা থানায় জিডি না করেই বলছেন জিডি করেছি? তারা র‌্যাবের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অসত্য অভিযোগ করবেন, জিডি না করেই জিডির কপি দেখাবেন, এত সাহস হানিফের পরিবারের? কেউ বিশ্বাস করবেন বলে মনে হয় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কাউকে তুলে নেবেন কেন? প্রয়োজন মনে করলে যে কাউকে তো তারা গ্রেফতার করতে পারেন। তুলে নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। হ্যাঁ, এভাবেই বিশ্বাস করার কথা। বাস্তবে এই ঘটনাগুলো কেন ঘটে-

ক. অর্থের বিনিময়ে নারায়ণগঞ্জে সাত জনকে অপহরণ - হত্যা করলো র‌্যাব, রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এলিট বাহিনী।

খ.  গাইবান্ধার সাঁওতাল পল্লীতে মানুষের ঘরে আগুন দিল পুলিশ। অনেক আন্দোলন, ভিডিও চিত্র, আদালত এগিয়ে আসায় বাধ্য হয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে সনাক্ত করলেও এসপিকে খাগড়াছড়িতে বদলি করা হলো। মানুষের ঘরে আগুন দেওয়ার শাস্তি বদলি!

গ. বন্দুক যুদ্ধ বা ক্রসফায়ারে ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ হত্যা বছরের পর বছর ধরে চলছে।

ঘ. তিন মাস, ছয় মাস বা বছর আগে গ্রেফতার করা নিরীহ অনেক মানুষকে ' জঙ্গি' বা 'হত্যকারী' হিসেবে ' আজ গ্রেফতার'র গল্প দিন দিন বাড়ছেই।

ঙ. হলি আর্টিজানের জঙ্গিদের রিপন, বিকাশ, ডন... নামে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ছিল বড় বেশি দৃষ্টিকটু।

৩. এমন উদাহরণ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বই লেখা যায়। সেদিকে যাচ্ছি না। বলছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযান বা কর্মকাণ্ড নিয়ে 'প্রশ্ন বা সন্দেহ' তারা নিজেরাই তৈরি করেন। প্রশ্ন হলো, তা কেন এসব করছেন? কারণ হতে পারে কয়েকটি-

ক. নিজেদের সাফল্য প্রমাণ করার জন্যে অতি উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন ।

খ. এক বাহিনী আরেক বাহিনীকে কোনঠাসা করে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।

৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাজ মানুষের জীবনযাপন শান্তিপূর্ণ করা। জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালানো তাদের কাজেরই অংশ। তারা এই কাজ করবেন, সেই শর্তেই চাকরি নিয়েছেন। এই কারণেই জনগণ তাদের বেতন- ভাতা, সুযোগ- সুবিধা দিচ্ছেন। ভালো কাজ করলে মানুষ প্রশংসাও করেন। প্রশংসা পাওয়ার জন্যে অতি নাটকীয়তা করতে গিয়েই 'প্রশ্ন -সন্দেহ- গল্প' তৈরি হচ্ছে। হানিফরা অধিকাংশ সময় বন্দুক যুদ্ধে, কখনও বুকে ব্যাথায় পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হচ্ছেন।'

‘আমরা করিনি, আমরা জড়িত নই’ বললে মানুষ বিশ্বাস করেন না। নারায়ণগঞ্জের প্রমাণ, সাঁওতাল পল্লীর আগুন, ডা. ইকবাল অপহরণের ভিডিও চিত্র মানুষের চোখে ভেসে ওঠে। এক বাহিনীর তদন্তে জানা যাবে হত্যাকারী বিএনপি নেতা, আরেক বাহিনী বলবে হত্যাকারী নব্য জেএমবি। অমুক প্রধান জঙ্গি, না সে তৃতীয় সারির নেতা। দুই বাহিনী প্রধানের এই তর্ক যুদ্ধে মানুষ কাকে বিশ্বাস করবেন? আপনারা যাই ভাবুন, মানুষ কাউকে বিশ্বাস করছেন না, পুরো বাহিনীকে অবিশ্বাস করছেন।

মানুষের মন থেকে এই ধারণা দূর করার উদ্যোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকেই নিতে হবে। অতি নাটকীয়তা পরিহার করে, একজনকে হারিয়ে নিজে বিজয়ী হওয়ার অসুস্থ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে, বাহিনীগুলো যদি পারস্পরিক স্বমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করেন, সুফল মিলতে পারে। আর যদি বর্তমান ধারা চলতে থাকে, প্রশ্ন উঠবে-সন্দেহ বাড়বে। সত্যি ঘটনাও মানুষ সৃজনশীল গল্প মনে করবেন, বিশ্বাস করবেন না।

লেখক: সম্পাদক, সাপ্তাহিক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ