X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

জীবন যার যার, সন্তান দুজনেরই

সাদিয়া নাসরিন
০৮ জুলাই ২০১৭, ২০:১৯আপডেট : ০৮ জুলাই ২০১৭, ২০:২৮

সাদিয়া নাসরিন বারো বছরের একটি মেয়ের নতমুখ। মেয়েটি মেঝেতে উবু হয়ে অঙ্ক করছিলো। বাসার পরিস্থিতি বেশ গুমোট। কয়েকদিন ধরেই বাবা-মা কেউ কারও সঙ্গে কথা বলে না। কিছুক্ষণ আগে বাবা এসে মাকে কী জানি বললো। তারপর মা অস্ফুট উচ্চারণে স্বগতোক্তি করলো, এবার মনে হয় ঘরটা ভেঙেই গেলো। মেয়েটি কতক্ষণ ওভাবে উবু হয়েছিল তা আর আজ মনে পড়ে না। শুধু মনে পড়ে এক মুহূর্তে দুলে উঠেছিলো মেয়েটির পুরো পৃথিবী, নিঃশব্দ চোখের জলে নিউজপ্রিন্টের অঙ্ক খাতাটা ভিজে ফুলে উঠেছিল। কেউ জানেনি সে অশ্রুর কথা। না বাবা, না মা। সেই মেয়েটি আমি।
ছোট ছেলেটার সাত বছরের জন্মদিনে অনেক খেলনা পাঠিয়েছে বাবা। শিশুটি বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। মায়ের নিষেধ ছিল। খেলনাগুলোও ফেরত দিয়ে আসতে হবে। কী সুন্দর একটা মোটর সাইকেল। ফেরত দেওয়ার দিন ছেলেটা বাবাকে বলে, ‘বাবা আর একটু চালাই, তুমি মাকে বলো না!’ এই চিত্র গত এক যুগেরও বেশি সময়ের। দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে আলাদা হওয়ার এতোগুলো বছর ধরে নিজের সন্তানদের কাছে পান না এই বাবা। শিশুকে কাঁধে চড়ানো, পায়ের ওপর পা দিয়ে হাঁটতে শেখানোর কোনও স্মৃতি তার নেই। এমনকি চোখের দেখার সুযোগটুকুও নেই। তাদের মায়ের কাছে সন্তান কেবল স্বামীর কাছ থেকে খোরপোষ আদায়ের জিম্মি। ওই ছোট ছোট জিম্মিদের মা খবরও রাখেন না যে, বাবার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত ওই ছোট্ট বুকের ভেতরে একটা ছোট্ট গর্ত কেবল বড় হতে থাকছে।
স্বামী মাদকাসক্ত, বহুগামী। নিয়ন্ত্রণহীন মারধোর করে বাচ্চাদের সামনেই। ফেরানোর অনেক চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেয়েটি। আট বছরের ছেলে আর ছয় বছরের মেয়ে আছে। বাচ্চারা বোর্ডিং স্কুলে পড়ে, বাবা কাস্টডি নিয়েছে। মা বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে না।  স্কুল ছুটি কালীন সময়ে বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানিয়ে কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছে সেই মা। কোর্ট মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে মায়ের বক্তব্য শুনছে। তখন বাবা ডায়াসের কাছে গিয়ে ছেলেটিকে শিখিয়ে দিচ্ছে তাদের মা খারাপ, মা মারধর করে, মার কাছে যাবো না ইত্যাদি বলতে। ছেলেটির একদিকে বাবার রক্তচক্ষু আর অন্যদিকে দাঁড়িয়ে মা! আহা, কতদিন মায়ের গায়ের গন্ধ পায়নি! ছোট্ট দুটি শিশুকে আদালতে দাঁড়িয়ে বলতে হবে তারা মাকে চায় অথবা চায় না! কী পৈশাচিক প্রতিশোধপরায়নতা! ওই ছোট্ট শিশুটির ছোট্ট হৃৎপিণ্ডের ধুকধুক স্পন্দনকে লুকিয়ে রেখে অনেক হিসেব নিকেশ করে তাকে বেছে নিতে হয় কোনও একজনকে। বাবা অথবা মা। ঘর ভাঙা প্রতি ঘরেই চলে এমন নিষ্ঠুর মাইন্ড ম্যানেজমেন্ট গেম! কী নির্মম!!

লিখছি দাম্পত্য টানাপোড়নে শিশু নিপীড়ন নিয়ে। কোত্থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। লেখার আগে বাবা মায়ের দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়নে ভয় আর নিরাপত্তাহীনতায় ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে যাওয়া অগণিত শিশুর মুখের ভাষা পড়ার চেষ্টা করছি আমার নিজের অভিজ্ঞতার আয়নায়, ইনবক্সে আসা অসংখ্য মর্মবিদারী ঘটনা থেকে।

আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি। কনফেস করতে দ্বিধা নেই, আমাদের দাম্পত্য সংকট সংঘাতে আমাদের সন্তানরা এই আমার হাতেই বারবার বিপন্ন হয়েছে। মাতৃত্বের ১৩ বছরে যতো বার আমি আমার বাচ্চাদের মেরেছি, ওদের বাবার ওপর রাগ করে মেরেছি। যখন দেখতাম ওদের বাবার সমস্ত মনোযোগ বাচ্চাদের জন্য, তখন তাকে কষ্ট দেওয়ার একমাত্র উপায় মনে হতো বাচ্চাদের কষ্ট দেওয়া। শুধুমাত্র তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কতদিন বাচ্চাদের সামনে জগ গ্লাস ভেঙেছি, ঘুম ভাঙিয়ে জাগিয়ে রেখেছি, স্কুল বন্ধ করে দিয়েছি ! কী ভয়ঙ্কর ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে আমার ছোট দুই বাচ্চা!! আহারে!!

তবু শেষ পর্যন্ত আমি নিজেকে এপ্রিশিয়েট করতে পারি এক সুন্দর সকালে আমি নিজের মুখোমুখি দাঁড়াতে পেরেছিলাম বলে। সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার মানসিক সংকটকে। সেই সংকটকে ডিনাই না করে একাই কাউন্সেলিংয়ে গেলাম। ম্যারিটাল সাইকোলোজি ও বিহেভিয়ার থেরাপি নিয়ে কাজ করলাম নিজের সঙ্গে। বাচ্চাদেরও নিয়ে গেলাম চাইল্ড সাইকোলোজিস্টের কাছে। বাচ্চাদের সঙ্গে ইন্টারেকশন করতে শিখলাম। নিজেকে কনসেন্ট্রেট করতে শিখলাম। বাচ্চারা খুব দ্রুত ট্রমা থেকে বের হয়ে আসলো। বাচ্চাদের দাম্পত্য ঝড়ের বাইরে রাখার জন্য কিভাবে সম্মানজনক নেগোসিয়েশন করতে হয়, কিভাবে চরম পরিস্থিতিতেও বাচ্চাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে হয় তা শিখলাম ধীরে ধীরে।

এই পুরো প্রক্রিয়ার ভেতরে যে মহা মূল্যবান শিক্ষাটুকু আমি অর্জন করলাম তা হলো, আমরা দুজন আলাদা মানুষ, আমাদের জীবনও আলাদা। কিন্তু সন্তান আমাদের দুজনের। যতদিন একসঙ্গে থাকবো সন্তানের সর্বোচ্চ ভালোটুকু নিশ্চিত করে থাকবো। আলাদা হলেও সন্তানের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করেই হবো। তাই দাম্পত্য সংকটের যে কোনও পরিস্থিতিতে আমি বাচ্চাদের ভালনারেবিলিটিটুকু মাথায় রাখি। যতো বড়ো ঝগড়াই হোক না কেন, বাবার কাছ থেকে বাচ্চাদের দূরে সরাই না। তুমুল ঝগড়ার পরেও বাবাকে বাসায় ফিরতে দেখলে ওদের চোখে যে আত্মবিশ্বাস আমি দেখি তা আমার কাছে অমূল্য।

অভিজ্ঞতা মানুষকে অনেক কিছু রিভিউ করতে শেখায়। আজ তাই আমাদেরও নিজেদের রিভিউ করার সময় এসেছে সন্তানদের দাম্পত্য সংকটের বলি বানিয়ে সন্তানের কোন স্বার্থে কলহের সংসার ধরে রাখি আমরা। সন্তানের সামনে নিজেরা মারামারি করে, মায়ের কাছ থেকে সন্তানকে কেড়ে নিয়ে, বাবার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে, নিজদের ইগোর জন্য সন্তানকে আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে সন্তানের কোন কল্যাণের কথা বলি? সন্তানের সামনে মাকে যখন বেশ্যা ডেকে বাবা, পিটিয়ে রক্তাক্ত করে, মা যখন নিজে সন্তানকে শিখিয়ে দেয় বাবাকে ‘নটিবাজ’ ডাকতে, সন্তানের হাতে ঝাড়ু তুলে দেয় বাবাকে মারার জন্য, তখন শিশুটির যে মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয় হয়, তা সন্তানের কোন ভালো করে, ভেবে দেখার সময় এসেছে।

 যেহেতু লেখাটা শুরু করেছি দাম্পত্যের টানাপোড়ন থেকে শিশুদের বাইরে রাখা নিয়ে, সেহেতু নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা এবং আমার গত পাঁচ বছরের শিশু মনস্তত্ব নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু পরামর্শ দিতে পারি। 

আপনাদের সংসারে কোনও ঝগড়া-দ্বন্দ্ব নেই এমন অবাস্তব ধারণা সন্তানদের দেওয়ার কোনও দরকার নেই। বরং একসাথে বাস করতে গেলে দুজন মানুষের মাঝে যে ব্যক্তিত্বের সংঘাত হতে পারে সেই বাস্তবতা নিয়ে তাদের সাথে কথা বলুন। মনে রাখবেন, কত বেশি ঝগড়া হচ্ছে সেটা কিন্তু সম্পর্কের খুব বড় নিয়ামক নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হলো কত সম্মানজনক ভাবে তা মিটিয়ে ফেলতে পারছেন। আমার অভিজ্ঞতা বলছে, সুন্দরভাবে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে পারলে শিশুদের জন্য এটা খুবই ইতিবাচক হয়। তারা বাস্তব জীবন সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা পায় এবং এটাও শিখতে পারে যে, কোনও দ্বন্দ্বই শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা যায়।

কোনও অবস্থাতেই বাচ্চাদের সামনে বাবা কিংবা মা সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলবেন না। আমার সংসারে যতো বড়ো ঝড়ই উঠুক না কেন, আমি মনে রাখি এই মানুষটা আমার সন্তানের পিতা। সন্তানের সামনে বসে পিতার নামে কুৎসা গাইনা আমি কখনোই। সন্তানদের এলাউ করি না বাবা সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করতে। আমি বিশ্বাস করি, স্বামী খারাপ হতে পারে, পিতা কখনও নয়। অন্তত ওদের পিতাতো নয়ই। এই শিক্ষাটা আমি আমার মায়ের কাছে পেয়েছি। আম্মা এবং আব্বা দুজনই নিজেদের ঝড় ঝাপটার মধ্যে কোনোদিন আমাদের যুক্ত করেননি। কেউ কারও সম্পর্কে একটা অসম্মানজনক শব্দও বলতে আমাদের এলাউ করেননি, আজও করেন না। মনে রাখবেন, আজকে আপনি যদি বাচ্চাকে তার বাবা কিংবা মাকে অসম্মান করতে শেখান সে কিন্তু একদিন বুমেরাং হয়ে আপনার দিকেই তেড়ে আসবে, আসবেই।

সন্তানের কাছ থেকে মাকে কিংবা বাবাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার আপনার নেই। আপনি তা করতে পারেন না। ভুলে যাবেন না, মা-বাবা দুজনের সান্নিধ্য পাওয়া শিশুর প্রথম অধিকার। আপনার ইগোর জন্য সন্তানকে ‘হয় বাবা, নয় মা’ এই অপশন দিয়ে ছোট্ট বাচ্চাটাকে একটি ভয়ঙ্কর মানসিক অবস্থার মধ্যে ফেলে দেওয়ার আগে নিজে ভাবুন, কেউ যদি আপনাকে দুটো সন্তানের একজনকে বেছে নিতে বলে আপনি কী করবেন?

যে কোনও ঝগড়ার সময় শিশুরা নিজেদেরকে দায়ী মনে করে। তারা ভাবে, তাদের কোনও আচরণের কারণেই বাবা-মা এরকম করছে। তাই ঝগড়া হলে বাচ্চার সাথে প্রচুর কথা বলুন, সময় কাটান। বুঝিয়ে বলুন, এতে তাদের কোনও দোষ নেই। আর বাবা-মার এরকম ঝগড়া হয়ই, বন্ধুদের সাথে যেমন হয়। এটা খুবই সাময়িক। যদি আলাদা হয়েও যান, সন্তানকে এই নির্ভরতাটুকু দিন যে, আপনারা দুজন মানুষ আলাদা থাকছেন, কিন্তু বাবা-মা হিসেবে আপনারা দুজনেই তাদের সাথে আছেন। শিশুর ভিতরে এই ‘সেন্স অব সিকিউরিটি’ তৈরি করার দায়িত্ব আপনাদেরই। দুজনেই সন্তানকে ছুঁয়ে থাকুন যেন আপনাদের আলাদা হয়ে যাওয়া তাকে ইন্সিকিউর না করে। সন্তানকে আস্থা দিন, নির্ভয় করুন।

নিজেদের ঝগড়া বিবাদে দয়া করে বাচ্চাদের মিডিয়েটর হিসেবে ব্যবহার করবেন না। নিজেদের কথা নিজেরাই বলুন। নিজের ভালনারেবিলিটি বুঝিয়ে সন্তানকে বিচারকও বানাবেন না। বাচ্চাদের কাছে নিজেদের ইম্মেচিউরিটি যতো কম প্রকাশ করবেন ততোই তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ভালো হবে। মনে রাখবেন, শিশুরা বুঝে অনেক বেশি, প্রকাশ করে কম।

সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করুন। তবে তা কোনোভাবেই নিজের ব্যক্তিত্ব আর স্বাতন্ত্র্য বিসর্জন দিয়ে নয়। আপোষ সমঝোতা যাই করুন না কেন, দুজনকেই করতে হবে। একপক্ষীয় আপোষ সন্তানের সামনে খারাপ উদাহরণই তৈরি করে। আবার ভাবুন, নিজেদের মধ্যে পরষ্পরের জন্য সম্মানজনক জায়গা আছে কিনা। যদি না থাকে, তাহলে শুধু বাচ্চার দোহাই দিয়ে একসাথে থেকে বাচ্চার সামনে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে শান্তিপূর্ণভাবে আলাদা হয়ে যান। আলাদা হয়ে যাওয়ার আগে দুজন বসেই সন্তানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করুন। সন্তানের সর্বোত্তম স্বার্থেই তা করতে হবে।

মনে রাখবেন, কোনও শিশুরই দাম্পত্য কলহের ভয়ঙ্কর আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায় বড় হওয়া উচিত নয়। তাতে কিন্তু আপনার সন্তানেরই ক্ষতি হয়। একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান দিই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে দেশের প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ শিশু দাম্পত্য কলহ এবং হতাশার কারণে মাদকের পথে পা বাড়িয়েছে।

সবশেষে বলি, দাম্পত্য কিংবা একত্রবাস, যাই হোক না কেন, টানাপোড়ন, সংঘাত, সংকট সব সম্পর্কের চরম বাস্তবতা। এখানে লকোচুরির কিছু নেই। দুজন মানুষ একসাথে থাকতে গেলে ব্যক্তিত্বের সংঘাত হয়, আবার মিটেও যায়। কখনও এই সংঘাত দুজনের পথকে আলাদা গন্তব্যেও নিয়ে যায়। কিন্তু এই যাওয়া আসার মধ্যের সময়টুকুতে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে দুলতে থাকে যে ছোট্ট প্রাণ সে প্রাণ আমাদেরই তৈরি করা। এরা আমাদের সন্তান। আমাদের ভালোবাসার আমন্ত্রণে এসে ফুল ফোটানো এই জীবনগুলো আমাদের হাতেই যেনো নিপীড়নে নিস্তব্ধ হয়ে না যায়। আমাদের সম্পর্কের সংকটের আগুনে পুড়ে যেন না যায় আমাদের সন্তানদের শৈশবের সবুজ বাগান আর হাসি আনন্দ। 

আমাদের জীবন যার যার, কিন্তু সন্তান দুজনের। যৌথযাপন কিংবা আলাদা যেভাবেই থাকিনা কেন, সন্তানের সর্বোত্তম স্বার্থ সুরক্ষাই হোক আমাদের স্বার্থ। যে কোনও পরিস্থিতিতে তার জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদেরই। সন্তানের দীর্ঘশ্বাস না জমুক আমাদের ঘাড়ে। কোনও শিশুর বিষন্ন নিঃশ্বাসের ভারে যেন অভিশপ্ত না হয় এই পৃথিবী। প্রতিটি শিশুর জীবন নিরাপদ হোক। প্রতিটি শিশুর জীবন কাটুক বাবা-মায়ের উত্তাপে।

লেখক: নারীবাদী লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
হাজারীবাগে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
হাজারীবাগে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ব্রাজিলিয়ান মিগেলের গোলে কষ্টে জিতলো কিংস
ব্রাজিলিয়ান মিগেলের গোলে কষ্টে জিতলো কিংস
তীব্র গরমে সুপার লিগে দুই দিন করে বিরতি
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগতীব্র গরমে সুপার লিগে দুই দিন করে বিরতি
ড্রিমলাইনারের কারিগরি বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বিমানকে মন্ত্রীর নির্দেশ
ড্রিমলাইনারের কারিগরি বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বিমানকে মন্ত্রীর নির্দেশ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ