X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাহাড়ের রাজনীতিতে উত্তাপ, দায় কার?

জিয়াউল হক, রাঙামাটি ও জসিম মজুমদার, খাগড়াছড়ি
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৫০আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:২৮

পাহাড়ের রাজনীতিতে উত্তাপ, দায় কার?

চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন কারণে অহরহ লাশ পড়ছে তিন পার্বত্য জেলায়। সম্প্রতি হঠাৎ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরই হামলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় গোলাগুলিতে এক সেনাসদস্য নিহতও হয়েছেন। এছাড়া, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বেশ কয়েকটি ‘গোলাগুলি’র ঘটনা সামনে এসেছে। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাহাড়ের সাধারণ মানুষেরা। এসব ঘটনায় পাহাড়ের রাজনীতিতে ক্রিয়াশীল চারটি আঞ্চলিক সংগঠনের তিনটিরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অঙ্গুলি নির্দেশ আরেক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বিরুদ্ধে। আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার ও অন্তর্দ্বন্দ্ব ছাপিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিতে ইউপিডিএফ আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও। পাহাড়কে সংঘাতময় রাজনীতির পথে যাওয়া থেকে বাঁচাতে তারা সরকারকে এখানে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কোনও পক্ষকে দায়ী না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

গত ১৮ আগস্ট রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় গোলাগুলিতে এক সেনাসদস্য নিহত হন। এ ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় গত ২৩ আগস্ট রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথিত গোলাগুলিতে সুমন চাকমা নামে ইউপিডিএফের সশস্ত্র কর্মী নিহত হয়। বাঘাইছড়িতে সেনা টহলে ফের হামলার পর গত ২৬ আগস্ট খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বড়াদম এলাকায় ‘গোলাগুলি’তে ইউপিডিএফের তিন সশস্ত্র কর্মী নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক থাকা নিয়ে। এদিকে, দীঘিনালার ঘটনার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র ইউপিডিএফ’কে দায়ী করেছে। আর ইউপিডিএফ ‘গোলাগুলি’তে নিহতদের নিজেদের কর্মী স্বীকার করেছে। একইসঙ্গে তারা দাবি করেছে, দীঘিনালায় তাদের তিন সদস্যকে ‘গ্রেফতারের পর ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা’ করা হয়েছে।

ফিরে দেখা পাহাড়ের রাজনীতি

দুই দশক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর হয়; যা পরবর্তীতে শান্তিচুক্তি নামে পরিচিতি লাভ করে। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমার সঙ্গে এই চুক্তি সই হয়। সেই সময় গেরিলা বাহিনীর নেতা ও তার সব সদস্যরা অস্ত্র জমা দেয় সরকারের কাছে। চুক্তি পরবর্তী সময়ে পাহাড়ের মানুষের মধ্যে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করে। কিন্তু চুক্তি বিরোধিতা করে সন্তু লারমার সংগঠন থেকে বের হয়ে ১৯৯৮ সালে ২৬ জুন ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) আত্মপ্রকাশ করে।

অভিযোগ রয়েছে, ২০০১ সালে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা থেকে তিন বিদেশিকে অপহরণের মাধ্যমে ইউপিডিএফ ‘অপহরণের রাজনীতি’ শুরু করে। এ ঘটনায় শান্ত পাহাড় ফের অশান্ত হয়ে উঠতে থাকে। শুরু হয় নতুন করে খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের খেলা। এই সংঘাতে প্রাণ হারান কয়েক শ’ মানুষ।

২০১০ সালে আবারও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমতি (জেএসএস) ভেঙে নতুন সংগঠন জেএসএস-এমএন লারমা আত্মপ্রকাশ করে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের নভেম্বরে খাগড়াছড়ি জেলায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ভেঙে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নামের নতুন সংগঠন জন্ম নেয়। এ নিয়ে বর্তমানে পাহাড়ে চারটি আঞ্চলিক দলের তৎপরতা চলছে।

আঞ্চলিক দলগুলোর বিভিন্ন সূত্র জানায়, সম্প্রতি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও প্রসীত বিকাশ খীসার ইউপিডিএফ এক হয়ে সুধাসিন্ধু খীসার নেতৃত্বাধীন জেএসএস (এমএনলারমা) ও শ্যামল কান্তি চাকমার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ’কে (গণতান্ত্রিক) চাপে ফেলতে কাজ করছে।

গত দু’বছরের সব হত্যাকাণ্ড  ইউপিডিএফ ‘নিয়ন্ত্রিত’ এলাকায়

২০১৭ সালের ৩ মে জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) সহ-সভাপতি ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পরদিন ৪ মে শক্তিমানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) প্রতিষ্ঠাতা তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ব্রাশফায়ারে পাঁচজন নিহত হন। এই আলোচিত দুই হত্যাকাণ্ড ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হওয়ায় এর জন্য এই সংগঠনটিকে দায়ী করা হয়। জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এ ঘটনার জন্য অভিযোগের তীর তুলে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে। তবে ইউপিডিএফ এ অভিযোগ অস্বীকার করে।

এর আগে গত ১৮ মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফেরার পথে ব্রাশফায়ারে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ আটজন নিহত হন। এ ঘটনার জন্যও ইউপিডিএফ’কে দায়ী করে অন্যান্য সংগঠনগুলো। তবে ব্রাশফায়ারের ঘটনাটিও নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হওয়ার পরও যথারীতি এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করে ইউপিডিএফ। আর গত ২৩ ও ২৬ আগস্ট সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘গোলাগুলি’তে ইউপিডিএফের চার কর্মী নিহত হলে সংগঠনটি এবারও দাবি করে, ‘গোলাগুলির নাটক সাজিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় তাদের কর্মীদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।

আগের ঘটনাগুলো এড়িয়ে গেলেও সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত চার ব্যক্তিকে নিজেদের সদস্য দাবি করে  ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘গত ২৩ আগস্ট নিহত সুমন আমাদের সাবেক কর্মী এবং গত ২৬ আগস্ট নিহত ভুজেন্দ্র লাল চাকমা, নবীন জ্যোতি চাকমা ও রমিল চাকমাকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। যদি তারা অপরাধী হয়ে থাকে, দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচারের ব্যবস্থা না করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হচ্ছে।’

এসব বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা) তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘অস্ত্র হাতে থাকলে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির আশা করা যায় না। আমরা মনে করি, ইউপিডিএফের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে এবং তারা সন্তু লারমার জেএসএস-এর সঙ্গে মিলে আমাদের কর্মীদের হত্যার মিশনে নেমেছে। এ বছরের ১৮ মার্চ নির্বাচনি দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে সরকারি দায়িত্বরতদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় সন্তু লারমার জেএসএস ও প্রসীত গ্রুপের ইউপিডিএফ জড়িত। সম্প্রতি তারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনাও ঘটিয়েছে; যা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি। প্রসীত গ্রুপের ইউপিডিএফ কখনও পাহাড়ে শান্তি চাইনি বলে চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) কোনও দায়িত্বশীল নেতা কথা বলতে রাজি হননি।

যা বলছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা

রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে গহীন অরণ্য রয়েছে; যা যেকোনও অপরাধ করে লুকিয়ে থাকার সুযোগ। সন্ত্রাসীদের কাছে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ অনেক। তারা সরকারকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে বলে আমি মনে করি। সরকারকে নতুন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবতে হবে।’

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর আলম মুন্না বলেন, ‘বিনাযুদ্ধে বিনাকারণে সেনাবাহিনীর একজন সৈনিককে জীবন দিতে হলো। গত ১৮ মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের ওপর ব্রাশফায়ার করলো। সেই ঘটনায় আটজনের প্রাণহানির ঘটনার পরই আশঙ্কা করেছিলাম, এর চেয়ে বড় ধরনের হামলা হবে; এটা ( সেনাসদস্য হত্যা) তারই বহিঃপ্রকাশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারকে এখনই এই বিষয়ে ভাবতে হবে নতুন করে; যাতে আর একটি প্রাণও অকালে ঝরে না যায়।’

রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দীক হোসেন কবির বলেন, ‘এখানে যত আঞ্চলিক সংগঠন আছে, তাদের মধ্যে আদর্শিক কোনও দ্বন্দ্ব নেই। বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীরা আইনের আওতায় আসলেও যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় তারা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে। এসব বিষয়ে সরকারকে যথেষ্ট খেয়াল দেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। পরে এমন একটা অবস্থা তৈরি হবে, যাতে পার্বত্য চুক্তি ব্যাহত হবে।’

এ ব্যাপারে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ছুফি উল্লাহ বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিছু ঘটনা ঘটছে, মামলা হচ্ছে। আমরা আপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনায় এটাই প্রমাণিত হয় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীদের হাতে ভারী অস্ত্রও আছে। এখানকার একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী স্বায়ত্তশাসনের স্বপ্ন দেখে। সন্ত্রাস আর সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে কোনও স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয় না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বশক্তি দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও চাঁদাবাজ, কোনও অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে দেওয়া হবে না। সব নিরাপত্তা বাহিনী মিলে সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করবে, প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী সংগঠন যেহেতু আছে, অস্ত্র থাকাও অস্বাভাবিক নয়। সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা, গোলাগুলি, অস্ত্র উদ্ধারই প্রমাণ করে সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্ত্রমুক্ত করতে, এখানে রক্ত ঝরানো বন্ধ করতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি হয়। সেই চুক্তির দুই দশক পরও যখন রক্ত ঝরছে, লাশ পড়ছে, শক্ত হাতে সন্ত্রাসীদের দমন করা হবে।’ পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে শক্তহাতে দমন করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে, জনগণকে জিম্মি করে উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।’


এ সংক্রান্ত আরও খবর:  পাহাড়ের রাজনীতি: বিরোধ আদর্শের নাকি স্বার্থের? 

/এমএ/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক রকেট হামলা হিজবুল্লাহর
ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক রকেট হামলা হিজবুল্লাহর
হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেফতার ৫
হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেফতার ৫
ন্যাটোর কোনও দেশ আক্রমণের পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার: পুতিন
ন্যাটোর কোনও দেশ আক্রমণের পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার: পুতিন
বাস-সিএনজির সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ ৩ জন নিহত
বাস-সিএনজির সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ ৩ জন নিহত
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
‘বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো’
বিএনপির নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী‘বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো’