X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

অনন্ত যুদ্ধের রাজনীতি বনাম সিরিয়ার কান্না

বাধন অধিকারী
০৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৮:৩২আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ২০:০৯

Badhan Adhikari In war, truth is the first casualty—ট্রয় যুদ্ধের পটভূমিতে হোমারের রচিত ইলিয়াড মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র অ্যাকিলিস উপলব্ধি করেছিলেন এই বাস্তবতা। এখন যুদ্ধের ধরন বদলেছে, বদলে গেছে তার ধারা-প্রবণতা। তবে,  গ্রিক পুরাণের ওই উপলব্ধি বদলায়নি। সত্যকে খুন করেই যুদ্ধের সূচনা। আমাদের মহামতি লালন উপলব্ধি করেছিলেন, 'সেকি অন্য তত্ত্ব মানে/ মানুষ তত্ত্ব সত্য হয় যার মনে।’ মানুষই হলো আমাদের পরিসরে সবচে বড় সত্য। সবচে বড় সত্য হলো মানবিকতা। যুদ্ধ প্রথম খুন করে সেই মানবিকতাকে। যুদ্ধ মাত্রই তাই অমানবিক, যুদ্ধ মাত্রই তাই মানুষের বিপরীতে ক্ষমতাশালীদের মিথ্যার বেসাতি।

আমাদর খুবই চেনাজানা ইতিহাসে ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ মানুষ নামের সত্যকে উপেক্ষা করে মার্কিন ক্ষমতাকেন্দ্র পেন্টাগন আর টুইন টাওয়ারে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এই হামলার অজুহাতে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ শুরু করেন অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডম, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধ। স্নায়ুযুদ্ধের কালের পুরনো শত্রু 'কমিউনিজম' যখন বিলুপ্ত; তখন নতুন মার্কিন জাতীয় শত্রুর জায়গা নেয় 'জঙ্গি ইসলাম' নামের 'সন্ত্রাসবাদ'। টুইন টাওয়ার হামলার অজুহাতে হামলা চালানো হয় আফগানিস্তানে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি সভ্যতা। হত্যা করা হয় লাখো মানুষকে। জর্জ বুশের সেই অনন্ত যুদ্ধ এরইমধ্যে ইরাক-সিরিয়া পরিভ্রমণ করেছে, করে যাচ্ছে। আর শত্রু খুঁজে বেড়াচ্ছে দেশে-দেশে। যেখানেই মার্কিন স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে, কিংবা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে, সেখানেই তারা সন্ত্রাসবাদের উৎস খুঁজে যাচ্ছে ‘জঙ্গি ইসলাম’কে উপজীব্য করছে আধিপত্য কায়েমের উছিলায়।

পরাশক্তির খেলায় 'কমিউনিজমের পতন'-পরবর্তী একক মার্কিন আধিপত্য আজ আর প্রশ্নাতীত নয়। বিপরীতে আবির্ভূত হয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া। ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অব্যাহত আধিপত্য আর সন্ত্রাসের বাস্তবতায় সেখানকার প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে হাজির হয়েছে নতুন সন্ত্রাসী বাহিনী আইএস। মধ্যপ্রাচ্য কাঁপিয়ে দিয়ে তারা আজ বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত হওয়ার মওকা খুঁজছে।

সিরিয়া-ইরাকে রুশ-মার্কিন দুই পরাশক্তি খেলছে সেই আইএস-কে নিয়ে। আইএসবিরোধী লড়াইয়ের কথা বলে মার্কিন আধিপত্য সেখানে বজায় ছিল আগে থেকেই। প্যারিস হামলার পর সেই যুদ্ধের সঙ্গী ফ্রান্স হামলা আরও জোরালো করে। আর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বুধবার লেবার নেতা করবিনের প্রচণ্ড যুদ্ধবিরোধী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তার দলেরই নিওলিবারাল যুদ্ধবাজ সদস্যদেরও ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বৃহস্পতিবার থেকে সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গী হয়ে। এই মার্কিন-ব্রিটিশ-ফরাসি পক্ষের বিপরীতে রয়েছে আরেক পরাশক্তি রাশিয়া। সঙ্গে মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে ইরান। দু'পক্ষই বলছে, তারা আইএস-বিরোধী লড়াই করছে। অথচ দু'পক্ষই মারছে নিজেদের স্বার্থবিরোধী গোষ্ঠীকে। আসাদ-সমর্থক রাশিয়া মারছে বিদ্রোহীদের। আর মার্কিন বাহিনী অস্ত্র নিয়ে আর অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করছে আসাদ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যদিও দুই পক্ষই আইএস-এর ধ্বংস চায়, তবে সেটা নিজেদের কৌশলগত স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে। বস্তুত দুই পক্ষেরই লড়াই স্বার্থগত।

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা মিত্র আর ইসরায়েল চায় মধ্যপ্রাচ্যের তেলের ওপর নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে। আফগানিস্তান-ইরাকে যুদ্ধের ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা নিয়েও তাই ব্রিটিশ এমপিদের দেওয়া সিরিয়ার বিমান হামলার অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা স্বার্থকে আরও নগ্ন করে সামনে এনেছে। কে না জানে, মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদের বিস্তৃতিতে যে দুদেশের ভূমিকা সবচে ভয়াবহ, সেই সৌদি আরব আর তুরস্ক পুষ্ট হয় পশ্চিমাশক্তির দ্বারা, কেননা এই দুই দেশ তাদের কৌশলগত মিত্র। খোদ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ছেলের সঙ্গে আইএস-এর অবৈধ তেল ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ কেবল নয়, কিছু স্যাটেলাইট প্রমাণও এরইমধ্যে হাজির করেছে রাশিয়া। তারপরও তুরস্কে হামলার দরকার পড়ে না, বরং আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সেখানে রুশ বিমান ভূপাতিত করার বিরুদ্ধে প্রায় নীরব ভূমিকা পালন করে পশ্চিমা বিশ্ব। কারণ, তুরস্ক ন্যাটো জোটের অংশ, যতই সন্ত্রাসবাদকে পুষ্টি দিক, তারা পুরোনো মিত্র, ভূরাজনৈতিক কারণে যাদের দরকার।

তবে কেবল তেল নয়, আলাদা করে বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে নামানোও পশ্চিমাদের লক্ষ্য। কেননা, বাশার রুশপন্থী সেক্যুলার। মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের মতো করে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এইমুহূর্তেই তাকে ক্ষমতা থেকে নামানো দরকার পশ্চিমাদের। সঙ্গে দরকার আইএস নিধন, কেননা একসময় আসাদবিরোধী বলে এদের নীরবে পুষ্ট হতে দিলেও এখন এই আইএস তাদের তেলসাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করে নিজেরাই তেলের মালিক বনে যাচ্ছে দিনকে দিন। উপরন্তু আছে সন্ত্রাসবাদী হামলার ভীতি। শরণার্থী হয়ে যারা পশ্চিমে ভিড়ছে, তাদের আবেগ থেকেই আইএস যে পুষ্ট হতে পারে, এরইমধ্যে তার নজির দেখেছে ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার সেবাকেন্দ্রে হামলার মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের গন্ধ। সবমিলিয়ে আইএস-আসাদ দুই শত্রুই পশ্চিমের জন্য বিপজ্জনক। তাই দুই শত্রুর বিরুদ্ধেই তাদের লড়াই।

এদিকে, রাশিয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের পরীক্ষিত মিত্র আসাদ। মেডিটারিয়ান সাগরে নিজেদের বিমান ঘাঁটি রক্ষা করা, আর সিরিয়া হয়ে মেডিটারিয়ান সাগরে প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন রাশিয়ার উদ্দেশ্য। গ্যাস নিয়ে আসাদের সিরিয়ার সঙ্গে পুতিনের রাশিয়ার চুক্তির কথাও আমাদের কারও অজানা নয়। আর অস্ত্র বিক্রির স্বার্থ তো রয়েছেই। এখানে তাই বিদ্রোহীরা আর আইএস দুই পক্ষই রাশিয়ার শত্রু। তাদের লড়াইও দুই শত্রুর বিপরীতে।

রুশ নেতৃত্বাধীন পরাশক্তি আর মার্কিন নেতৃত্বাধীন পরাশক্তির এই প্রক্সি যুদ্ধ নিয়ে এরইমধ্যে ভয়াবহ সব আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। প্রখ্যাত মার্কিন বুদ্ধিজীবী নোয়’ম চমস্কিসহ বিশ্ববরেণ্য অনেক বুদ্ধিজীবী এরইমধ্যে ফাঁস করে দিয়েছেন, ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের অপরিহার্য পরিণতি আকারেই জন্ম নিয়েছে আইএস। সেই আইএস তো রয়েছেই, সঙ্গে দুই পক্ষ যে যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে তা যে অনন্ত যুদ্ধ, সে যুদ্ধ যে শেষ হওয়ার নয়; সেটা বুঝতে আমাদের বাকি নেই কারও।

সিরিয়ায় চলমান এই যুদ্ধ নামের শত্রু শত্রু খেলা নিয়ে ভয়াবহ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একজন প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্মকর্তা, সিআইএ নিয়ে যিনি ৩০ বছর ধরে গবেষণা করেছেন। রে ম্যাকগভার্ন নামের সেই বিশ্লেষক বিকল্প সংবাদমাধ্যম কাউন্টার পাঞ্চে লেখা এক নিবন্ধে আশঙ্কা করেছেন, যদি এমন হয় যে পুতিন-ওবামার চেয়ে বেশি যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রনায়ক দুই দেশের ক্ষমতায় আবির্ভূত হয়, তাহলে এই যুদ্ধ পারমাণবিক যুদ্ধে মোড় নেবে। এই আশঙ্কা সত্য হলে কোনও পক্ষই যুদ্ধে জিতবে না। জিতবে ধ্বংসযজ্ঞ। আর হারবে মানুষ।

পরাশক্তির কথা তাই থাক এবার। পাঠক আসুন, মানুষের দিকে তাকাই। আমরা কি মনে রেখেছি, এরইমধ্যে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ আর বহির্বিশ্বের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লাখ সিরীয়? আমরা কি মনে রেখেছি, ৬০ লাখ মানুষ ঘর ছেড়ে হয়েছেন শরণার্থী? না সিরিয়ার সরকার, না বিদ্রোহীরা, না যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-তুরস্ক, না রাশিয়া-ইরান; কেউ এ সব মানুষের কথা ভাবেনি। এই প্রক্সি যুদ্ধে যারা মেতেছেন, তাদের কারও এটা ভাবার সময় নেই যে, আসলে মানুষ মরছে।

ড. রাজমি বারুদ একজন আরব বংশোদ্ভূত আমেরিকান। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি লিখছেন মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতা নিয়ে। তিনি সিরিয়াবাসীর কান্নার ধ্বনি আমাদের শোনাতে চেয়েছেন। তাদের পরিসর থেকে। বিকল্প সংবাদমাধ্যম জি-ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক লেখায় বারুদ আমাদের নিয়ে যেতে চেয়েছেন ইদলিবের কোনও এক বাসিন্দা, অথবা দেরার কোনও এক গ্রামবাসী অথবা সিরিয়ার যেকোনও প্রান্তের একজন ডাক্তার-নার্স-জেলফেরত আসামি কিংবা অন্য কোনও পেশাজীবীর কাছে। স্পষ্ট করে তিনি দেখিয়েছেন, সিরিয়ার বাস্তবতা নিয়ে বিবিসি-সিএনএন, অথবা আলজাজিরা-রাশিয়া টুডে অথবা প্রেস টিভি যার-যার এজেন্ডা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্ষমতাশালীর পক্ষে বয়ান হাজির করে, সিরিয়াবাসীর প্রকৃত বাস্তবতার সঙ্গে, সিরিয়াবাসীর নিজস্ব বয়ানের সঙ্গে সে সবের কোনও সাযুজ্য নেই।

সিরিয়া সংক্রান্ত শত-শত রচনা পড়ে বারুদ যা দেখেছেন, তার সঙ্গে মৃত মানুষদের, কিংবা শরণার্থীদের বাস্তবতার কোনও মিল খুঁজে পাননি তিনি। প্যালেস্টাইন আর সিরিয়ার অনেক অনেক শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। দেখেছেন, যে শরণার্থী যে রাজনৈতিক পক্ষেরই হোক না কেন, যুদ্ধের বলি হয় সবাই। হয়তো, এমন যে, কোনও একজন সিরীয় চান, আসাদের পতন, কিন্তু বিদ্রোহী গ্রুপ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার শিকার হয়ে প্রাণ গেছে তারই কোনও আত্মীয়ের। যে আবার আসাদপন্থী, হয়তো রুশ বিমান হামলায় ধসে গেছে তার ঘর। তাই যুদ্ধের বাস্তবতা এই যে, যুদ্ধমাত্রই মানুষের জন্য শত্রুপক্ষ। যুদ্ধপক্ষ আর মানুষ আদতে প্রকৃত অর্থে দুই বিপরীত পক্ষ। ওই যে বলেছিলাম, যুদ্ধের প্রথম বলি সত্য। আর মানুষের চেয়ে বড় সত্য তো কিছু নেই। যুদ্ধের প্রথম বলি তাই মানুষ।

এ সব মানুষের নামেই সব পক্ষ যুদ্ধে রত, অথচ এ সব মানুষের বয়ান মিডিয়ায় কিংবা ক্ষমতাশালী বুদ্ধিবৃত্তিতে হাজির হয় না। হাজির হলেও সেটা হয় আংশিকভাবে। আসাদবাহিনীর আক্রমণের শিকার হলে মার্কিনপন্থী মিডিয়া সেই বয়ান হাজির করে কিংবা মার্কিনপন্থী-বিদ্রোহীপন্থীর আক্রমণের শিকার হলে আসাদপন্থী-রুশপন্থী-তেহরানপন্থী মিডিয়া সেই বয়ান হাজির করে। তবে আমাদের আদতে খেয়াল করা দরকার, ৩ লাখ সিরীয়’র সঙ্গে অন্তত ৩০ লাখ ইতিহাস হারিয়ে গেছে, যে ইতিহাস মানুষের। মৃত্যুর আর কষ্টের ইতিহাস। বেদনার আর হারানোর ইতিহাস।

ক্ষমতাশালীদের অনন্তে যুদ্ধে মিডিয়ায় যে ক্ষমতাশালী বয়ান নির্মিত হচ্ছে প্রতিদিন, সেখানে এ সব ইতিহাস লেখা থাকবে না। তবে কি কবরেই নীরবে ঘুমিয়ে থাকবে, অনন্ত যুদ্ধের অভিঘাত নিয়ে মানুষের সমস্ত সত্যিকারের ইতিহাস?

লেখক: সংবাদকর্মী, বাংলা ট্রিবিউন

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
৭ বছর পর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি
৭ বছর পর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
জেফারকে সিনেমায় নিয়েছে ফারুকীকন্যা ইলহাম!
জেফারকে সিনেমায় নিয়েছে ফারুকীকন্যা ইলহাম!
‘জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে’
‘জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে’
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ