ঢাকা
ধুলোর ভিতর অফ হয়ে আছে এই ওড়া।
সমস্ত বাড়ি থেমে গেছে
ছাদের সিগন্যালে।
কী আছে আমাদের জীবনে
ঢাকা খুলে দিয়েছি।
কথার দিকে তাতানো ভারি জ্যাম,
যেন ছেড়ে দিলে
কলরবে ডুবে যাবে শহর
আর বাক্যের ভেতর সাঁতার কাটতে কাটতে
আমার একটি কথা কখনোই কূল পাবে না।
কলোনি
ইঁদুর ধরতে না পারার ক্ষোভে বিড়ালটা বছরের পর বছর মন খারাপ করে থাকল।
একদিন খুব তাড়া করে প্রায় ধরেই ফেলছিলো। হুট করে কই যে লুকিয়ে গেলো ইদুরটা,
আর খুঁজে পেলো না। পরে জানা গেলো ইদুরটা বিড়ালের পেটের ভেতর বাস করে
এবং ওটাই তার একমাত্র লুকানোর ঘর। এটি জানতে পারার পর বিড়ালটা
নিজেকেই নিজে খেয়ে ফেললো এবং নিজের পেটের ভেতর হৃদপিণ্ড থেকে সমস্ত রক্তনালীতে ইদুরকে তাড়া করে বেড়ালো।
**
একদিন সব হবে, কথাটি ভাবতেই মনে হয় একটা দিন আমার জন্য ঘাপটি মেরে
বসে আছে অথচ আসছে না, এরকম মনে হলে ভাবি তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে
আসবো কিংবা ভুলিয়ে ভালিয়ে। কিন্তু কোথায় বসাব তাকে, খাওয়াব কী! আমার তো
ঘর নেই, খাওয়ার পয়সা নেই, রোগ হলে ওষুধও তো নেই। ভাই একদিন এভাবে
এসো না এ গরীবরে ঘরে, লজ্জা দিয়ো না। একদিন শব হবে নিশ্চিত, ওইদিন এসো।
**
বুক নয়, মুখ নয়
দুনিয়া পকেটে থাকে
তোমার হাসির ভেতরে কিছু নাই
চাঁদে নাই কিছু
কিংবা অন্য গ্রহে
হৃদয়ের ছাদে উঠে
শরীর দেখো
শরীরে কিছু নাই
মনে নাই কিছু
শরীরই শব হয়
সব হয় শব
সব কথা শব নয়
সবার ভেতর থেকে আলাদা কথা নাই।
আলাদা মন নাই শুধুই মানুষের।
পুরুষের মতো এই পৃথিবী ধনযোগী।
তুমি-আমি-আমরা ব্যথার মতো নরম
একটা আসল গাধা নাই।
সাগরের ভাব নিয়ে যতদূর নদী
কোথাও সমুদ্র নাই।
অথচ আমি আছি
সকল মেঘের উপরে
আকাশের মগডালে
শিউলি ফুল খুলে
কোথাও ঝরে পড়ছে এই রাত।
**
বিকেল কি নারিকেল
কদবেল আমড়া
বিকেলের গায়ে থাকে
সকালের চামড়া।
দুপুর কি নুপুরের
টুপুরের তোয়ালে
দুপুরকে টানে রোজ
তিনমুখো বোয়ালে।
সকাল কি মহাকাল
অকালে পাকে রোজ
সকালের পিছু লেগে
দুপুরের ভুরিভোজ।
রজনী কি সজনীর
গজনীর মহারাজ
রজনীর বাম বুকে
লুকানো সে কারুকাজ।