ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী শেখ রবিউল আলম তার পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়া এবং ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এজেন্টদের শারীরিকভাবে আঘাত করছে বলে অভিযোগ করেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডি হাই স্কুল কেন্দ্রে শনিবার (২১ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টার কিছু পরে ভোট দেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।
উত্তেজিত হয়ে রবি বলেন, ‘এভাবে ভোট চলতে পারে না। আমরা এখান থেকে চলে যাওয়ার পর দেখবেন কেউ নাই এখানে। ভোটারও আসতে পারবেন না। আমরা কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। একটা স্বাধীন দেশে এমন হতে পারে না। এটা কোনও ভোট ব্যবস্থাপনা? এটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’
এসময় ওই কেন্দ্রের তিন তলার ভোট কক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের এক পোলিং এজেন্ট কেন্দ্রের বারান্দায় এসে বলেন, ‘এটা বক্তৃতা ও ভাষণের জায়গা না।’
এ ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে কেন্দ্রের ভেতর ভোটার ছাড়া অতিরিক্ত কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়। এসময় পুলিশ এসে সবাইকে বের করে দেয়।
আরেক পোলিং এজেন্ট নিচে নেমে উচ্চ স্বরে কথা বলতে থাকেন। এসময় সাংবাদিকরা তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ভোটার হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু তার গলায় পোলিং এজেন্টের পরিচয়পত্র ঝুলছিল। সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে ওপরে উঠে যান।
এ ঘটনার পর প্রিজাইডিং অফিসার তার রুম থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, ‘আমি বলেছিলাম এখানে এসব না করতে।’ একথা বলে আবার রুমে ঢুকে যান তিনি।
তবে, ধানমন্ডির এই কেন্দ্রে বিএনপির কোনও পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার মনসুর আলী বলেন, ‘উত্তেজনার বিষয়ে আমি শুনেছি। তবে কী হয়েছে এখন বলতে পারবো না। আমাকে খোঁজ নিতে হবে।’