X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে তিন মাসে হোটেল ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা

জসিম উদ্দিন মজুমদার, খাগড়াছড়ি
১০ জুন ২০২০, ২১:৩৬আপডেট : ১০ জুন ২০২০, ২১:৪৩

সাজেক বিলাস হোটেল কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবে খাগড়াছড়ির পর্যটন থমকে আছে। দীর্ঘদিন আবাসিক হোটেল বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তিন মাসে তাদের লোকসানের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা। চাকরি হারিয়েছেন অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

কয়েক বছর ধরে দেশের ভেতরে পর্যটকদের জনপ্রিয় গন্তব্যের তালিকায় খাগড়াছড়ি অন্যতম। সাজেকে পর্যটনের বিস্তৃতি হওয়ায় এই জেলায় ভ্রমণপিপাসুর সংখ্যা বেড়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে গেছে সব।

গত একদশকে খাগড়াছড়ি ও সাজেকে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল। পর্যটন মৌসুমে এগুলো থাকতো জমজমাট। প্রায় ৫০ হাজার লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব হোটেলের সঙ্গে যুক্ত। তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে হোটেল বন্ধ থাকায় কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার পাশাপাশি প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির। সংগঠনটির নেতারা এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি প্রণোদনা প্রত্যাশা করছেন।

খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এখানকার সব হোটেল গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ। এ কারণে হোটেল ব্যবসায়ীরা প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

সংগঠনটির সভাপতি মনে করেন, ‘হোটেলের কর্মী ছাঁটাই করা ছাড়া ভিন্ন কোনও পথ নেই ব্যবসায়ীদের। আগামী কয়েক বছরেও এখানকার পর্যটন স্বাভাবিক হবে বলে মনে হয় না। সরকারি প্রণোদনাই কেবল আমাদের বাঁচাতে পারে।’

খাগড়াছড়ির দুটি হোটেল সাজেকের হোটেল ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হক যুবরাজের একই শঙ্কা, ‘আগামী একবছরেও স্থানীয় পর্যটন আগের অবস্থায় আসতে পারবে না। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সাজেকের ১০৬টি আবাসিক হোটেল প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ। এ কারণে মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মসংস্থান হারিয়েছে। তার মন্তব্য, ‘সাজেকবাসীর আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় যে দুর্ভোগ চলছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।‘

হোটেল নূরের মালিক তারেক আহম্মেদের কথায়, ‘করোনার কারণে আমরা হোটেল ব্যবসায়ীরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। গত তিন মাস ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কর্মীদের বেতন ঠিকই দিতে হয়েছে। এমন দুরবস্থা চলতে থাকলে পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।’

পর্যটন খাত বাঁচাতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি শহরের হোটেল অরণ্য বিলাসের স্বত্বাধিকারী স্বপন চন্দ্র দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘গত তিন মাস হোটেল বন্ধ, অথচ কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক ঋণ দিয়ে যেতে হচ্ছে। ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই করা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই। সরকার অন্য খাতে প্রণোদনা দিলেও পর্যটন নিয়ে চিন্তা করছে না।’

পর্যটন নিয়ে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস পুরোপুরি আশার কথা বলেননি। তবে হোটেল মালিকদের সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভুয়া পরিচয়ে ভারতে বসবাস বাংলাদেশির, ৪ বছরের কারাদণ্ড
ভুয়া পরিচয়ে ভারতে বসবাস বাংলাদেশির, ৪ বছরের কারাদণ্ড
৫ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবস্থাপক নিখোঁজ, পূবালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তাকে বদলি
৫ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবস্থাপক নিখোঁজ, পূবালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তাকে বদলি
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
সর্বাধিক পঠিত
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি