X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কর্ণফুলীর ওপর একসঙ্গে রেল ও সড়ক সেতু, কাজ শুরু আগামী বছর

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৭ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৩৫আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫৩

রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, আগামী বছরের প্রথমদিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সেতু নির্মিত হবে, যেখানে রেলপথ ও সড়ক একসঙ্গে থাকবে। বুধবার (৭ অক্টোবর) প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।  

মন্ত্রী বলেন, ‘এই সেতুটি আগেই নির্মাণ করা যেত। একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল যেখানে আলাদা রেলসেতু হবে নাকি রেল ও সড়ক একসঙ্গে হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেল কাম রোড সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদেশি ঋণদানকারী সংস্থা কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ)  সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।  সবকিছু এখন ঠিক করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ এর মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।’ চট্টগ্রামে রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেতু নির্মাণের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে, স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখার জন্যই আমি এসেছি। চট্টগ্রামবাসীর জন্য যেমন এ সেতুটি খুবই দরকার, তেমনি ভবিষ্যতে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি রেললাইন সংযোগ স্থাপনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা অতি জরুরি।  ২০২২ সালের মধ্যে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন চালু হয়ে যাবে। একই সময়ের মধ্যে যাতে সেতুটির নির্মাণ শেষ করা যায় সে চেষ্টা আমরা করবো।’

মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ‘বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর দর্শন নিয়ে কাজ করছে। আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা। এ অঞ্চলের মানুষের কষ্ট লাঘব হবে সেতু নির্মিত হলে।’

উল্লেখ্য, কালুরঘাট সেতুটি  ১৯৩১ সালে মিটার গেজ লাইন বিশিষ্ট রেল সেতু হিসেবে নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে সড়ক সেতু যুক্ত করে রেল- কাম সড়ক সেতুতে রূপান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

এটি নির্মিত হলে নিরবচ্ছিন্ন রেল পরিবহন সেবা নিশ্চিত করা যাবে এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের অপারেশনাল বাধা দূর করা যাবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত করা এবং আঞ্চলিক বিনিময় সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য বৃহত্তর করিডর তৈরি হবে, বাণিজ্যিক রাজধানীর যানজট হ্রাস পাবে, ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশবিশেষ হিসেবে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

মন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় চট্টগ্রাম-৮ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোসলেম উদ্দিন এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রণব কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলের  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা  উপস্থিত ছিলেন।

/এসএস/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
দুই বলের ম্যাচে জিতলো বৃষ্টি!
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টিদুই বলের ম্যাচে জিতলো বৃষ্টি!
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন