X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

নোবেলজয়ী লুইজ গ্ল্যুকের কবিতা

ভাষান্তর : অহ নওরোজ
০৮ অক্টোবর ২০২০, ২০:১৫আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২০, ০০:২৪

এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন মার্কিন কবি লুইজ গ্ল্যুক। সুইডিশ অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লুইজ গ্ল্যুককে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তার অসামান্য কাব্যকণ্ঠ ও নিরাভরণ সৌন্দর্যবোধের কারণে, যা ব্যক্তিসত্তাকে সার্বজনীন করে তোলে।

লুইজ গ্ল্যুক ১৯৪৩ সালের ২২ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে এক হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। যে কারণে তার বংশনাম ইদ্দিশ ভাষার অন্তর্গত।

লুইজ গ্ল্যুক ১৯৬৮ সালে ‘ফার্স্টবর্ন’ কবিতার বই প্রকাশের ভেতর দিয়ে কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি পেশায় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার কবিতার বই ১২টি, গদ্যের বই ২টি। তিনি ‘ওয়াইল্ড আইরিস’ কবিতার বইয়ের জন্য ১৯৯৩ সালে সাহিত্যে পুলিৎজার লাভ করেন। 

নোবেলজয়ী লুইজ গ্ল্যুকের কবিতা

ডিসেম্বরের শুরুতে ক্রোটন-অন-হাডসনে*

ম্লান রোদে হাডসনের

বরফ জমে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।

হাড়ের ভেতর শুনছি ঠনঠন শব্দ­­—

মাত্রই ঝরে যাওয়া ধূসর বরফগুলো

নদীর পশম হয়ে গেছে­­, স্থির।

গত বছর যেদিন গাড়ির চাকা অচল হয়েছিলো­

আজ ঠিক সেদিনই ছুটছি আমরা

ক্রিসমাসের উপহার বিলাতে।

প্রবল ঝড়ে তারের উপর

ভেঙে পড়েছে পাইনের ডালপালা…

 

আমি তোমাকে চাই।

*ক্রোটন-অন-হাডসন একটি স্থানের নাম।

 

ডুবে যাওয়া শিশুরা

দ্যাখো তুমি, ওদের কোনো বাছ-বিচার নেই

ওরা তো ডুববেই।

প্রথমে বরফের টানে ওরা নামবে­—

শেষমেষ ডুবে গেলে

মৃত্যু এসে ওদের নিশ্চুপ করে দেবে।

তারপর সমস্ত শীতকাল

উলের মাফলার ভেসে থাকবে পেছনে,

আর অন্ধকার হাতে পুকুর ওদের গুটিয়ে নেবে।

 

কিন্তু মরণ আসে অনেক ধারায়,

আগে থেকেই যেন ছিলো খুব কাছে।

যেহেতু সবসময় ওরা যুক্তির কাছে ঘেঁষেনি—থেকেছে নির্ভার।

তাই বাকিটা কেবল স্বপ্নের মতো­—

বাতি আর নরম সাদা কাপড়ে ঢাকা

পুরোটা টেবিল­—তাদের শরীর।

 

তবু এখনো তাদের নামগুলো শুনতে পায় তারা

যেন টোপগুলো পুকুরের ভেতরে পিছলে যাচ্ছে :

কীসের অপেক্ষায় আছো?

ঘরে ফেরো, ঘরে ফেরো,

সুস্থির এবং নীল জলের অতলে হারিয়ে যাও

 

অল হ্যালোজ

এমনকি এখন দৃশ্যগুলো মিলিয়ে যাচ্ছে

অন্ধকার নেমে পড়ছে পাহাড়ে,

ষাঁড়গুলো নুয়ে পড়ছে নীল জোয়ালে।

মাঠগুলো যেন গুছিয়ে রাখা।

নতুন দাঁতের মতো উঠছে চাঁদ

আর
চারপাশে ফুটেছে হলুদ সিঙ্কফয়েল—

তার ভেতর পথের সীমানায়

সারি সারি আটি গাদা করে বাঁধা।

 

ফসলের বিরানকাল আসে এভাবে,

যেনবা মড়ক লেগেছে।

মহিলারা জানালায় ঝুঁকে এসে বাড়াচ্ছে হাত

কিছু পাওয়ার আশায়—

আর শস্যের সোনালি রঙ ডাকছে তাদের

এদিকে এসো—এসো এদিকে 

 

গাছ থেকে তারা বেরিয়ে আসে শিরশির করে। 

//জেডএস//
সম্পর্কিত
প্রিয় দশ
প্রিয় দশ
ইচ্ছা
সর্বশেষ খবর
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে জড়ো হবেন ১০ লাখ দর্শনার্থী
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে জড়ো হবেন ১০ লাখ দর্শনার্থী
সর্বাধিক পঠিত
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!