X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘টেকনোলজিস্ট ধার করতে হয়, ব্যয় বাড়ে প্রকল্পের’

সাদ্দিফ অভি
১৫ নভেম্বর ২০২০, ১৪:০০আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২০, ১৪:০০




 অধ্যাপক ড. এ এ মামুন

নিজেদের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞানের বোধগম্যতা থাকলে বাইরে থেকে টেকনোলজিস্ট ধার করে আনা লাগতো না। বিভিন্ন দেশ গবেষণার যন্ত্র অনুদান হিসেবে দিলেও সেগুলোর নানা জটিলতা সারাতে আমাদের পাশের দেশ ভারত থেকে প্লেন ভাড়া দিয়ে টেকনোলজিস্ট নিয়ে আসতে হয়। এ কারণে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে যায় অনেক। আমাদের দেশে টেকনোলজিস্ট নেই বলে এই অবস্থা, মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এ মামুন। সম্প্রতি তিনি বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক গবেষকদের প্রকাশিত একটি জার্নালে তালিকাভুক্ত হয়েছেন তিনি। যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার প্রায় এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩ জন বিজ্ঞানীর তালিকা করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা জার্নালে ড. এ এ মামুনের ৪১৭টি প্রকাশনা রয়েছে এবং তার গবেষণা থেকে ১৪ হাজারেরও বেশি উদ্ধৃত করা হয়েছে। পদার্থবিজ্ঞানে অবদানের জন্য এ অধ্যাপক ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সালে পদার্থবিদ্যায় অসামান্য অবদানের জন্য জার্মানির আলেকজান্ডার ভন হোমবোল্ট ফাউন্ডেশন থেকে ফ্রেড্রিক উইলিয়াম ‘ব্যাসেল রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন। ড. মামুন যুক্তরাজ্যের সেন্ট অ্যান্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি অর্জন করেছেন এবং তিনি জার্মানির হোমবোল্ট পোস্টডক ফেলো।

কৃত্রিম ছোট সূর্য তৈরি নিয়ে গবেষণা
অধ্যাপক ড. এ এ মামুন আলাপকালে বলেন, আমাদের কাজের ক্ষেত্র দুটি। একটি হচ্ছে সূর্যের ভেতর অনবরত ফিউশন রিঅ্যাকশন হচ্ছে, তা নিয়ে গবেষণা। আমাদের যে গবেষণা সেটা স্মল রিঅ্যাক্টর নিয়ে। অর্থাৎ কৃত্রিম ছোট সূর্য তৈরি করা, যেটা মানবকল্যাণে অবদান রাখবে। যেহেতু কাঠ, কয়লা এগুলো একসময় শেষ হয়ে আসবে, তখন আমাদের ফিউশন রিঅ্যাকশন নিয়ে থাকতে হবে। এর মূল উপাদান হলো পানি। আরেকটি ক্ষেত্র হচ্ছে মহাকাশ গবেষণা। এখানে আমাদের প্রচুর অজানা জিনিস রয়েছে। সেই অজানাকে জানাই আমাদের গবেষণার অংশ। এটি পুরোটাই তাত্ত্বিক। তাত্ত্বিক গবেষণার পর আমাদের পরীক্ষামূলক গবেষণাগুলো হয়ে থাকে। আমাদের মূল কাজের জায়গা প্লাজমা ফিজিক্স নিয়ে। প্লাজমা ফিজিক্স হচ্ছে পদার্থের স্থিতাবস্থা।

 অধ্যাপক ড. এ এ মামুন

দেশে হাতেগোনো গবেষক
অধ্যাপক মামুন বলেন, ভারতে প্লাজমা ফিজিক্সের ওপর প্রচুর গবেষণা হচ্ছে। আমাদের এখানে হাতেগোনা কয়েকজন করছেন। ভারতে শত শত প্লাজমা ফিজিসিস্ট রয়েছেন। আমি যখন জার্মানি ছিলাম অনেকেই আমাদের গবেষণা নিয়ে কথা বলতো। আমাদের রয়েছে চন্দ্রশেখর, সত্যেন্দ্রনাথ বোস, এনাদের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে সুনাম রয়েছে।

সত্যেন্দ্রনাথ বোস, জামাল নজরুল ইসলাম প্লাজমা ফিজিক্সের পূর্বপুরুষ
আমাদের খুব ভালো ইতিহাস আছে পদার্থ বিজ্ঞানে। সত্যেন্দ্রনাথ বোস, জামাল নজরুল ইসলাম কিন্তু প্লাজমা ফিজিক্সের পূর্বপুরুষ। ওনাদের জন্যই কিন্তু উপমহাদেশে আমাদের সুনাম রয়েছে। আমাদেরকে তো ভারতীয় উপমহাদেশের অধীনেই ধরা হয়।

অর্থনৈতিক চুক্তি না থাকলে প্লাজমা গবেষণার রিস্কে বাংলাদেশের যাওয়া উচিত হবে না
বাংলাদেশ গরিব দেশ। ইউরোপিয়ান যে কমিটি আছে তারা কিন্তু অনেক দেশ মিলে একটি প্রজেক্ট দাঁড় করায়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে প্লাজমা গবেষণা প্রচণ্ড ব্যয়বহুল। যে কারণে পরীক্ষামূলক সাইডে আমরা হয়তো প্লাজমা তৈরি করতে পারবো, এটা হয়তো মানবকল্যাণে আসবে। তবে আমাদের সরকারের জন্য এর চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আছে, সেখানেই পথ দেখানো উচিত। যাদের পেটে ভাত আছে, অর্থনৈতিক চুক্তি আছে, তারা আসলে এটা করতে পারে। কারণ গবেষণা হচ্ছে এক প্রকার বিনিয়োগ। যার ফলাফল কী হবে সেটা কেউ জানে না। ধরুন, এক বিলিয়ন ডলার আপনি খরচ করলেন, হতে অনেক বড় একটা ফল এসেছে এবং মানব কল্যাণে অনেক উপকার করলো। কিন্তু আবার এমনও হতে পারে ফল শূন্য। আমার মতে, বাংলাদেশের এ ধরনের রিস্কে যাওয়া উচিত হবে না। আমরা যেটা করি সারা বিশ্বের সঙ্গে মিলে তাত্ত্বিক গবেষণা করি, যেখানে প্রয়োজন হয় হালনাগাদ তথ্য, জার্নাল, বই, মেধা, কাগজ আর কলম।

‘টেকনোলজিস্ট ধার করতে হয়, ব্যয় বাড়ে প্রকল্পের’

বিজ্ঞানের রাজা ফিজিক্স, অনেকেই ধার করে ব্যবহার করছে এখানে
ফিজিক্স হচ্ছে সায়েন্সের রাজা। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যত শিল্প আছে সেখানে সবকিছুর মূলে আছে ফিজিক্স। কম্পিউটার সায়েন্স থেকে শুরু করে যা আছে সবকিছুর ব্যাসিক আন্ডারস্ট্যান্ড কিন্তু ফিজিক্স থেকে এসেছে। এসব বিষয় কিন্তু শত বছর আগে ছিল না। তখন কিন্তু ফিজিক্সের দর্শন দিয়েই এসব নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ফিজিক্স লাগবেই। আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে যদি কাজ শুরু করতে চান, সেখানে ফিজিক্স লাগবেই। কিন্তু আমাদের এখানে আমরা ফিজিক্স ব্যবহার করছি ধার করে, অনেকে আবার বুঝে এবং না বুঝে ব্যবহার করছি। আমাদের অনেকেই কিন্তু আজকে শুধুমাত্র দেখে দেখে যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারছে। আমাদের কৃষিতে যে উন্নতি হয়েছে, এটা কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানীদের অবদান, যারা গবেষণা করেন তাদের অবদান। আমাদের এরকম সফল অনেক বিজ্ঞানী আছেন।

টেকনোলজিস্ট অন্য দেশ থেকে ধার করতে হয় বলে ব্যয় বেশি
ন্যানো টেকনোলজির ক্ষেত্রেও তাত্ত্বিক ফিজিক্স অত্যন্ত জরুরি। ন্যানো টেকনোলজি এখন শিল্পে ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে বিদেশের যে প্রযুক্তিগুলো রয়েছে সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে ফিজিক্সের যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং সেটা যদি আমরা নিজেরা শিখতে পারতাম, তাহলে আমাদের ধার করতে হতো না। আমি বর্তমানে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক। আমার যন্ত্রের যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে ভারত থেকে লোক আনতে হয়। যারা আমাদের ৫ কোটি টাকা দামের যন্ত্র দিচ্ছেন, সেটা কিন্তু দেওয়ার পর খুব সুন্দর চলে। যখনই নষ্ট হয়ে যায় সেটা নিয়ে আমরা পড়ে থাকি। আমরা ঠিক করতে পারি না। এটি হলো আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ল্যাকিংস। এই অভাব যদি আমরা দূর করতে পারতাম, আমরা নিজেরাই ঠিক করতে পারতাম। এই মেশিনগুলোকে পরিচর্যা করা, টেকসই রাখার মতো লোক নেই দেশে। যন্ত্রপাতির জন্য আমাদের বিভিন্ন দেশ অনুদান দিচ্ছে, কিন্তু এগুলো রক্ষণাবেক্ষণে টেকনোলজিস্ট আমরা দেশে পাচ্ছি না। আমাদের দেশের বাইরে থেকে টেকনোলজিস্ট নিয়ে আসতে হয়, এ কারণে ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। ছোট ছোট সমস্যার জন্য ভারত থেকে আমাদের লোক ডেকে আনতে হয়। যন্ত্র কাজ না করলে খুলে রাখা হয়, দিনের পর দিন পড়ে থাকতে থাকতে দেখা যায় ২০ কোটি টাকা দামের একটি জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে।

মানসিকতা পরিবর্তন না করলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যেতে পারবো না
আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, আমাদের বেসিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং দরকার, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পা রাখতে চাইলে আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং লাগবে। আমাদের মনমানসিকতা বদলাতে হবে। আমাদের যে মানসিকতা, তাতে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যেতে পারবো না। আমাদের সচরাচর মানসিকতা পরিবর্তন করে আধুনিকায়ন করতে হবে। তখনই আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশ নিতে পারবো। আমরা বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায়ে আছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যেতে হলে আমাদের একধাপ বাদ দিয়ে নিজেদের কুইক আপডেট করতে হবে।

‘টেকনোলজিস্ট ধার করতে হয়, ব্যয় বাড়ে প্রকল্পের’

হালনাগাদ শিক্ষা না দিলে জাতি ঠিক হবে না
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আমরা যদি ভালো মানের জ্ঞান দিতে চাই, আমাদের দুটি জিনিস আবশ্যক। একটি হলো–হালনাগাদ তথ্য। অর্থাৎ বিশ্বে কী ধরনের গবেষণা হচ্ছে, কী ধরনের কাজ হচ্ছে, আমাদের পাঠ্যপুস্তকে কী ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে, এই জ্ঞান আমাদের থাকা দরকার। দ্বিতীয়ত আমাদের ব্রেনকে শান্ত করতে হবে টাইম টু টাইম। ব্রেনকে শান্ত করার একটি মাত্র পথ হলো গবেষণা। শান্ত ব্রেন নিয়ে পড়ালে শিক্ষার্থীদের নানা বিষয় বোধগম্য হবে, অশান্ত ব্রেন নিয়ে পড়ালে বোধগম্য হয় না। ২০ বছর আগে যা ছিল সেই সিলেবাস নিয়ে যদি পড়াই, অনেক থিওরি ২০ বছর আগে ঠিক ছিল ১০ বছর আগে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাই হালনাগাদ তথ্য ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মানোন্নয়ন করা সম্ভব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মানোন্নয়ন না হলে জাতি ঠিক হবে না। জাতিকে ঠিক করতে হলে আমাদের শিক্ষার্থীদের হালনাগাদ শিক্ষা দিতে হবে। এই দুটি বিষয়ের জন্যই আমাদের তাত্ত্বিক বিজ্ঞান দরকার। তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বোধগম্য হলেই বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা যায়। বোধগম্য না হলে প্রয়োগ করতে গেলে অন্যের ওপর নির্ভর করতে হবে।

প্লাজমা থেকে বায়োফিজিক্স বেশি কাজে আসবে
আমি দীর্ঘদিন প্লাজমা ফিজিক্স নিয়ে কাজ করেছি। এটাতে আমি নিজে এখন খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি না। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের এমন কিছু করা উচিত, যেটাতে আমাদের জাতীয় কল্যাণ হবে। বায়োফিজিক্স আমাদের কাজে লাগবে। জীবনের সঙ্গে ফিজিক্সের কাজ করলে আমাদের মানুষের অনেক উপকার হবে। ব্ল্যাকহোল, নক্ষত্র নিয়ে গবেষণা মানব জীবনে আমাদের খুব বেশি কাজে লাগবে না। আমাদের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হবে, জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে, এজন্য আমাদের যে গবেষণা দরকার তা হচ্ছে কৃষিতে এবং জীববিজ্ঞানে। আমাদের স্বাস্থ্য খাতে আমি মনে করি ফিজিক্যাল সায়েন্স বা বায়োফিজিক্স অনেক বেশি দরকারি। আমি এখন লিখছি বায়োফিজিক্স নিয়ে, চেষ্টা করছি নিজেকে এই বিষয়ে বোধগম্য করতে।

/এসও/টিটি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ধাক্কা মেরে ফেলে চাপা দিলো কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলচালক নিহত
ধাক্কা মেরে ফেলে চাপা দিলো কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলচালক নিহত
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!