X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

মারা গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

বিনোদন ডেস্ক
১৫ নভেম্বর ২০২০, ১৩:২৭আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:১৮

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়/ ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বর্ণাঢ্য আর জ্বলজ্বলে জীবনের বাতি নিভলো। রবিবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১২টা নাগাদ এই অভিনেতা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। জানিয়েছে বেলভিউ হাসপাতাল সূত্র।
কলকাতার এই হাসপাতালে টানা ৪০ দিন লড়াই করেছেন বাংলা ছবির এই অভিনেতা-নাট্যকার-বাচিকশিল্পী-কবি ও চিত্রকর।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬ অক্টোবর বেলভিউতে ভর্তি হন সৌমিত্র। তারও আগে তিনি ক্যানসারেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুটো মিলে কখনও উন্নতি কখনও অবনতি, এই দোলাচলেই চলছিল সৌমিত্রের জীবন। এর মাঝেও প্লাজমা থেরাপি, শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচারসহ নানাভাবে অভিনেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা।
ভালোই উন্নতির দিকে যাচ্ছিলেন সৌমিত্র। তবে ১৩ নভেম্বর থেকে তার শারীরিক অবস্থার আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটে। হৃদযন্ত্র আর কিডনির জটিলতা অনেকটা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় ‘হার্ট রেট’। সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

শনিবার চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, অলৌকিক কিছু না ঘটলে সৌমিত্রের সুস্থ হয়ে ওঠা অসম্ভব।
না, অলৌকিক কিছু আর ঘটেনি। রবিবার দুপুর নাগাদ ফেরেন না ফেরার দেশে ‘বেলাশেষে’ খ্যাত এই কিংবদন্তি।

বেলা ১টা নাগাদ বেলভিউ পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌলমীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। পৌলমী বলেন, ‘দুপুর ২টায় প্রথমে গল্ফগ্রিনের বাড়িতে নিয়ে যাবো বাবাকে। তারপর টেকনিশিয়ান স্টুডিও হয়ে রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাবো। সেখান থেকে কেওড়াতলা শ্মশানের উদ্দেশে রওনা দেবো আমরা। দিদি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ আমরা। এত যত্ন করে, ভালোবেসে, সম্মানের সঙ্গে বাবাকে আগলে রেখেছিলেন সকলে। বাবা চিরকাল আমাদের মনে রয়ে যাবেন।’

বেলভিউ হাসপাতালে সৌমিত্র-কন্যা পৌলমীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও সৌমিত্রকে ধরে রাখতে পারলেন না বলে বেলভিউতে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘ফেলুদা আর নেই। অপু আমাদের বিদায় জানিয়েছেন। বিদায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। উনি একজন কিংবদন্তি। বাংলা, ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র একজন মহান অভিনেতাকে হারালো। ওকে খুব মিস করবো আমরা। বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ অভিভাবকহীন হয়ে গেলো।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজের সুবাদে সবচেয়ে বেশি পরিচিত সৌমিত্র। লিজিয়ঁ অব অনার, দাদাসাহেব ফালকে, বঙ্গভূষণ, পদ্মভূষণ এবং জাতীয় স্তরে আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ওর পরিবার, চলচ্চিত্র জগতের কলাকুশলী এবং অনুরাগীদের সমবেদনা জানাই।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকা

/এমএম/এমএমজে/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়