X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনি ফলাফলে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে: ওবামা

বিদেশ ডেস্ক
১৭ নভেম্বর ২০২০, ০২:০৫আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২০, ১৭:২২
image

সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশে গভীর বিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, এই নির্বাচনে দুই প্রার্থীর প্রত্যেকেই সাত কোটির বেশি ভোট পেয়েছেন, যা বিভাজনকে স্পষ্ট করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভীত হয়ে পড়ছেন বলেও জানান তিনি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা

নিজের স্মৃতিকথার প্রথম খণ্ড ‘এ প্রমিজড ল্যান্ড’ প্রকাশ উপলক্ষে সম্প্রতি বেশ কিছু সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। ১৭ নভেম্বর স্মৃতিকথাটির প্রকাশ সামনে রেখে ‘সিবিএস সানডে মর্নিং’ অনুষ্ঠানে সম্প্রচার হয় ওবামার সাক্ষাৎকার। এতে সম্প্রচারমাধ্যমটির উপস্থাপক গেইল কিং-কে সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ জানানোর পাশাপাশি বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

২০০৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা বারাক ওবামা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এখনও গভীর বিভাজন থেকে গেছে। দুই পক্ষের নীতি ও কৌশল সংবাদমাধ্যমে  যেভাবে উপস্থাপন হয়েছে তাতে মনে হয়েছে দুটি বিকল্প শক্তি এবং ভোটাররাও সেটি গ্রহণ করেছেন। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।’ এ নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ভীত কিনা জানতে চাইলে ওবামা বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়, তাহলে  গণতান্ত্রিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া খুব কঠিন।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টরা সাধারণত সরাসরি কোনও প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে প্রচারণা চালান না। তবে এবারে ব্যতিক্রম ছিলেন ওবামা। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের পক্ষে বেশ জোরালোভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।

সেই প্রসঙ্গে ওবামা বলেন, ‘আমি ইচ্ছাকৃতভাবেই এর বাইরে থাকতে পারিনি। আমার বিশ্বাস, এবারের নির্বাচনে আমরা এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম যেখানে চরম গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম এবং প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছিল। সেগুলো আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি মানুষকে বলতে চেয়েছি (যা চলছে) এটা স্বাভাবিক নয়।’

/জেজে/এমওএফ/
সম্পর্কিত
যুক্তরাষ্ট্র বড় শক্তি, তাদের পরোয়া করতে হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন, ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পার্সেলে তরুণদের কাছে আসছে কোটি টাকার মাদক
সর্বশেষ খবর
স্টয়নিস ঝড়ে পাত্তা পেলো না মোস্তাফিজরা
স্টয়নিস ঝড়ে পাত্তা পেলো না মোস্তাফিজরা
রানা প্লাজা ধস: ১১ বছরেও শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
রানা প্লাজা ধস: ১১ বছরেও শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: মন্ত্রী
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: মন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট