বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের চাঁদাবাজির কারণে পাহাড়ি-বাঙালিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির পরও পাহাড়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। এই চাঁদাবাজির বেশিরভাগ টাকাই ভারী অস্ত্র ক্রয়ে ব্যয় হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) জাফরান রেস্টুরেন্টে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ২৩ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও চুক্তির বিতর্কিত ধারাসমূহ সংস্কারপূর্বক বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ২৩ বছর আগে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য চুক্তি হয়েছিল। এ চুক্তির পরও পার্বত্য এলাকায় শান্তি ফিরে আসেনি। বরং পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে অশান্তি বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদে নির্বাচন না থাকায় যখন যে দল ক্ষমতায় আসছে তখন তারাই দখলে নিয়ে রাজত্ব কায়েম করছে। শিগগিরই এ চুক্তি সংশোধন করে পাহাড়ি-বাঙালি সবার সমান অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
এসময় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল ইসলাম, জেলার সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন মো. তারু মিয়া, জেলার সহ-সভাপতি মো. আ. শুক্কুর, জেলার সহ-সভাপতি মো. আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসিরুল আলম, প্রচার সম্পাদক মো. ইকবাল মাহমুদ তুষার, জেলার ক্রীড়া সম্পাদক মো. ইব্রাহিমসহ জেলার নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।