X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘বড়’রা যেভাবে ধ্বংস করছে ‘ছোট’দের তৈরি বাংলাদেশকে

ডা. জাহেদ উর রহমান
০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৪৯আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৫০




ডা. জাহেদ উর রহমান এই যে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতির কথা বলি, সেটা কার হাত ধরে এসেছে, এটা এখন মোটামুটি খোঁজ-খবর রাখা মানুষ মাত্রই জানেন। অবশ্য অর্থনৈতিক উন্নতির প্রসঙ্গ আসলেই আমাদের সামনে আসে কিছু অনিবার্য প্রশ্ন–অর্থনৈতিক উন্নতি বলতে আমরা আসলে কী বুঝি? সরকার যতটা দাবি করে ততটা অর্থনৈতিক উন্নয়ন কি আদতে হয়েছে? যতটুকু অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে সেটার সুফল কার কাছে গেছে? অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো এই কলামের আলোচনা থেকে সরিয়ে রাখা যাক।
বলছিলাম এই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কৃতিত্ব আসলে কার? মোটা দাগে তিন দল মানুষ আসলে অর্জন ঘটিয়েছে বলে আমরা অনেকেই জানি–প্রবাসী (বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যে) কর্মী, কৃষক আর গার্মেন্টকর্মী।
এদের মধ্যে কাদের অবদান কতটুকু সেই আলোচনায় ঢুকছি না এখন, তবে সাম্প্রতিক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে কয়েকটা কথা বলে রাখা জরুরি বলে মনে করছি (কিছুটা ‘অফটপিক’ হলেও)। করোনার সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উল্লম্ফন ঘটেছে আসলে কয়েকটা কারণে। যেমন—এই অনেক দেশে জীবনযাপন এখনও স্বাভাবিক না হওয়া এবং বাংলাদেশ থেকে নানা কারণে বিদেশে যাওয়া একেবারে তলানিতে নেমে আসার কারণে হুন্ডি অনেক কমে গেছে (তাই মুদ্রা আসছে ব্যাংকিং চ্যানেলে), অনেকেই তাদের সব সঞ্চয় দেশে পাঠিয়ে দিয়ে দেশে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আর দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে আমদানি অনেক কমে যাওয়ার কারণে ব্যয় কম হচ্ছে আমাদের।

করোনার আগের সময়ে ফিরে যাওয়া যাক। এই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় নিয়ে যখনই কথা হয়, আমাদেরকে জানানো হয় একক খাত হিসাবে গার্মেন্ট রফতানি থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। গত অর্থবছরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেহেতু করোনার মধ্যে ছিল, তাই তার আগের বছরের হিসাবটা একটু জেনে নেওয়া যাক। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ রফতানি আয় করেছিল ৪০ বিলিয়ন ডলারের মতো। আর পোশাক খাতে রফতানি আয় ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার।

গার্মেন্ট রফতানির এই হিসাবের সময় আমরা দেখি না, কেউ এটা হিসাব করছেন, গার্মেন্টের মূলধনী যন্ত্রপাতি আর কাঁচামাল (যার প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর) আমদানিতে কত টাকা ব্যয় হয়। সবকিছু বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে দাবিকৃত রফতানি আয়ের এক-চতুর্থাংশ এর বেশি আসলে নিট বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন হয় না। অর্থাৎ গার্মেন্ট রফতানি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় আদতে রেমিট্যান্স থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এর অর্ধেক বা তার কিছু বেশি। আসলে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা প্রবাসীরা গার্মেন্ট মালিকদের তুলনায় একেবারেই অসংগঠিত এবং একেবারেই ‘সাব-আল্টার্ন’, তাই তাদের পক্ষে গলা উঁচু করে এসব কথা বলা এই রাষ্ট্রে অসম্ভব প্রায়।

যাক, এবার ফিরে আসা যাক মূল প্রসঙ্গে। মজার ব্যাপার দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির মূল ভূমিকার আলোচনায় আমরা ওই তিনটা ক্ষেত্রের কথা চট করে বলে ফেললেও চট করে বলে ফেলি না এসএমই অর্থাৎ ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের ‌কথা। এখন অবশ্য এই খাতের সঙ্গে কুটির শিল্পকে যুক্ত করে একে বলা হয় ‘সিএসএমই’। এই খাতের কথা আমাদের অনেকের চট করে মাথায় আসে না, অথচ পরিসংখ্যান বলছে শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের ৮০ শতাংশ এবং মোট শ্রমবাজারের ২৫ শতাংশের কর্মসংস্থান হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকারখানাগুলোতে। অর্থাৎ বৃহৎ শিল্পের তুলনায় এসএমই খাত অন্তত চার গুণ বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।

আগে উল্লিখিত তিনটি খাতের সঙ্গে এসএমই যোগ করলে যে বিপুল সংখ্যার জনগোষ্ঠী হয় তাদেরই সামষ্টিক ক্রয়ক্ষমতার কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ ভোগ অনেক বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই ভোগ্যপণ্য সরবরাহ করার জন্য আরও নতুন নতুন শিল্প-ব্যবসা তৈরি হয়েছে। আমরা জেনে রাখবো, বাংলাদেশের জিডিপিতে অভ্যন্তরীণ ভোগের অবদান ৭০ শতাংশ।

আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে করোনার শুরুর সময়ে হ্রাসকৃত সুদে যে ঋণ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল, তাতে বৃহৎ শিল্প এবং সেবা খাতের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার কোটি আর এসএমই এর জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা। অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বৃহৎ শিল্প-সেবা খাতের ঋণের ৮৬ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। অথচ এই সময়ে এসএমই এর ক্ষেত্রে বিতরণ করা হয়েছিল ৬ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রতিশ্রুত ঋণের ৩১ শতাংশ মাত্র। অবিশ্বাস্য তথ্য এখানেই শেষ নয়। বড়দের ঋণের চাহিদা এবং বিতরণের হার এতই বাড়বাড়ন্ত যে সেই ঋণ প্রণোদনা আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে এখন সর্বমোট ৪০ হাজার কোটি টাকায় ঠেকানো হয়েছে।

করোনার সময় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পেশার মধ্যে ছিল কৃষকরা। তখন কৃষকদের জন্য সরকার মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল, যার পরিমাণ অত্যন্ত অপ্রতুল বলে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে। সেই প্রণোদনা ঘোষণা করার ৫ মাস পর, সেপ্টেম্বর শেষে সবক’টি ব্যাংক মিলিয়ে কৃষকদের ১ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। সে হিসাবে এ প্যাকেজের বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৪২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় স্বল্প সুদের ঋণ পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২৬ জন কৃষক। বলা বাহুল্য, এই দেশের মোট কৃষকের বিবেচনায় এ এক অতি তুচ্ছ সংখ্যা।

যাকে যতটুকুই হোক, ঋণ তো দেওয়া হলো, এবার দেখা যাক ঋণ পরিশোধের অবস্থা কী? বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে করোনাভাইরাসের সূচনাকাল তথা জানুয়ারি থেকে মার্চ—এ তিন মাসে বড় শিল্পের মেয়াদি ঋণ আদায় কমেছে ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অথচ একই সময়ে মাঝারি শিল্পের ঋণ আদায় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং ছোট ও কুটির শিল্পের ঋণ আদায় ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছিল। এপ্রিল থেকে জুন—এ তিন মাসে বৃহৎ শিল্পের মেয়াদি ঋণ আদায় কমেছে ৫৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। করোনাভাইরাস সৃষ্ট অচলাবস্থার এ সময়েও বড়দের তুলনায় মাঝারি ও ছোটরা ব্যাংক ঋণের কিস্তি বেশি পরিশোধ করেছে। এ তিন মাসে মাঝারি শিল্পের মেয়াদি ঋণ আদায় কমেছিল ৪০ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর ছোট ও কুটির শিল্পের মেয়াদি ঋণ আদায় ৪৪ দশমিক ১৮ শতাংশ কমেছিল।

অথচ খুব সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান বলে করোনার সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ক্ষুদ্র-মাঝারি এবং কুটির শিল্পগুলোই। নতুন করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করার জন্য এদেরই সবচেয়ে বেশি ঋণের প্রয়োজন ছিল। ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে ছাড়ের দরকার ছিল এদেরই সবচেয়ে বেশি। এটা বাংলাদেশ, তাই সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান স্পষ্টভাবে বোঝা যাওয়া এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় না এই দেশে। বরং হয় উল্টোটা, সবকিছু যায় বড়দের পাতে, কারণ এটা ‘তেলা মাথায় তেল দেওয়া’র দেশ।

এই দেশের ব্যাংকগুলোর মালিকানা ঘুরেফিরে ‘বড়’দের হাতেই। ব্যাংকের মোট আমানতের তুলনায় অতি সামান্য টাকা বিনিয়োগ করেই তারা রীতিমতো ‘মালিক’ বনে গিয়ে জনগণের আমানত নিয়ে যাচ্ছেতাই করছেন দীর্ঘকাল থেকে। তাই শুধু করোনার সময় বলে কথা না, করোনার আগেও তারা নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ করে ঋণের নামে ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে গেছেন লাখ লাখ কোটি টাকা। এই দেশের খুব সাধারণ মানুষও এখন জানেন, এই তুলে নিয়ে যাওয়া ঋণের একটা বিরাট অংশ তারা ফেরত দেননি। সত্যি বলতে তারা ঋণ নেওয়ার সময় জানতেন এই ঋণ তারা ফেরত দেবেন না। অঙ্কটা কত?

করোনার কারণে ঋণখেলাপি ঘোষণা করার নিয়ম শিথিল করার কারণে এই মুহূর্তে কাগজে-কলমে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেখা যাচ্ছে এক লাখ কোটি টাকার কিছু কম, যেটা করোনার আগেই ছিল সোয়া এক লাখ কোটি টাকার বেশি। এই দেশে নানাভাবে খেলাপি ঋণ লুকানোর চেষ্টা আছে, সেটা বিবেচনায় নিয়ে আইএমএফ বছরখানেক আগে দেখিয়েছিল আমাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ অন্তত আড়াই লাখ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে একাডেমিক কাজ করা অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলামের মতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা।

এই টাকা ফেরত দেন‌ই না, বরং করেন আরেকটা ভয়ঙ্কর কাজ–বিদেশে পাচার করে দেন সেই টাকা। আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি’র গবেষণার তথ্য মতে আমরা যে বলছি বছরে কমপক্ষে ৭০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়, প্রকৃত পরিমাণ আসলে তার চাইতে অনেক বেশি। এর কারণ হচ্ছে উক্ত সংস্থাটি টাকা পাচারের হিসাব করেছে ব্যাংকিং চ্যানেলে (ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং) যে টাকা বিদেশে পাচার হয়, সেটার ভিত্তিতে। এর সঙ্গে হুন্ডিতে পাচারকৃত অর্থ যোগ করলে অঙ্কটা কত হতে পারে সেটা আমাদের কাছে আশা করি বোধগম্য।

টাকা পাচারের ক্ষেত্রে বড়দের তালিকায় শুধু বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরাই না, সঙ্গে আছে বড় রাজনীতিবিদ এবং বড় আমলারা। বড় আমলাদের কথা আমরা জানতাম, কিন্তু সম্প্রতি স্বয়ং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমলাদের কথা আমাদের আলাদাভাবে জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর মাস এসেছে, বিজয়ের মাস। অন্তত আনুষ্ঠানিকতার জন্য হলেও এই মাসে আমরা আমাদের স্বাধীনতার কথা বলি, আমাদের বিজয়ের কথা বলি। একটা প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে মানুষগুলো এই দেশকে স্বাধীন করেছিল, কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে তারা মূলত ছিল এদেশের কৃষক-শ্রমিক-দিনমজুর। হ্যাঁ,  উঁচু শ্রেণিতে বসে যাদের আমরা ‘ছোট’ মনে করি তাদের হাতে জন্ম নেওয়া দেশ বাংলাদেশ।

‘ছোট’দের হাতে তৈরি হওয়া বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঠিক পরের দিন থেকেই আর ‘ছোট’দের হাতে ছিল না, চলে গিয়েছিল বড়দের হাতে। সেই বাংলাদেশে ‘ছোট’দের হাতে আসা দূরেই থাকুক, তাকে মূল্যায়ন‌ও করেনি আর কোন‌ও দিন, বরং প্রতিটা দিন সেই দেশটি চলে গেছে, এখন‌ও যাচ্ছে ‘ছোট’দের থেকে আরও দূরে। তাই স্বাভাবিক সময়ে এই ‘ছোট’দের স্বাস্থ্য শিক্ষা কিংবা সামাজিক নিরাপত্তার দিকে এই রাষ্ট্র খেয়াল রাখে না, এমনকি করোনাকালেও এই রাষ্ট্র সেসব ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে যা করেছে, সেটা স্রেফ পরিহাস।

দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, মাদকসহ নিষিদ্ধ পণ্যের ব্যবসা, রাষ্ট্রীয় নীতি নিজ স্বার্থে তৈরি করা, রেন্ট সিকিং ইত্যাদির মাধ্যমে যে বিপুল পরিমাণ টাকা বড়দের হাতে চলে যায় একেবারে বেআইনি এবং অনৈতিকভাবে, সেটা উৎপাদনের জন্য শ্রম-ঘাম দিয়েছিল ‘ছোট’রাই। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত চলে যায় দেশ থেকে সুদূর কোনও নিরাপদ জায়গায়। ‘ছোট’দের রক্তে-শ্রমে-ঘামে তৈরি দেশটি এভাবেই প্রতিদিন আরেকটু করে ধ্বংসে পথে যায়। 

লেখক: শিক্ষক ও অ্যাকটিভিস্ট

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বেচাকেনা জমজমাট, কম দামে ভালো পাঞ্জাবিতে আগ্রহ ক্রেতাদের
বেচাকেনা জমজমাট, কম দামে ভালো পাঞ্জাবিতে আগ্রহ ক্রেতাদের
‘মাঝেমধ্যে ভাবি, আইপিএল কি আদৌ ক্রিকেট’
‘মাঝেমধ্যে ভাবি, আইপিএল কি আদৌ ক্রিকেট’
ঈদে আরিয়ানের একমাত্র নির্মাণ ‘তখন যখন’
ঈদে আরিয়ানের একমাত্র নির্মাণ ‘তখন যখন’
করোনার পর মাধ্যমিকে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে
করোনার পর মাধ্যমিকে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ