X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে দুই কন্যা...

সুধাময় সরকার
২০ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০২আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:০৫

মাহমুদুন্নবী (১৬ ডিসেম্বর১৯৬৩-২০ ডিসেম্বর ১৯৯০) আজ, ২০ ডিসেম্বর কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।
এ উপলক্ষে তার যোগ্য উত্তরসূরি দুই কন্যা ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী গানে গানে স্মরণ করবেন বাবাকে। ফাহমিদা নবী জানান, চ্যানেল আইয়ের আজকের (২০ ডিসেম্বর) বিশেষ আয়োজনে উপস্থিত থেকে বাবার গান পরিবেশন করবেন তারা।
গানের পাশাপাশি এই কিংবদন্তিকে নিয়ে স্মৃতিচারণও করবেন তার এই নন্দিত দুই সন্তান। কথা বলবেন তার জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, জানা অজানা তথ্য নিয়ে। এতে দুই বোন মোট ১০টি গান পরিবেশন করবেন। এরমধ্যে রয়েছে ‘ওগো মোর মধুমিতা’, ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘তুমি কখন এসে’, ‘সুরের ভুবনে’, ‘বড় একা একা লাগে’ প্রভৃতি।
‘প্রিয় যত গান’ নামের বিশেষ এই অনুষ্ঠানটি রবিবার বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আইয়ের পর্দায় সম্প্রচার হবে। এমনটাই জানিয়েছেন অনুষ্ঠানটির নির্মাতা ইজাজ খান স্বপন। এটি উপস্থাপনা করবেন সাফি আহমেদ।
বাবা সম্পর্কে খানিক অভিমানী ফাহমিদা নবী। তার ভাষায়, ‘‘বড় পুরস্কার আসলে শ্রোতার ভালোবাসা। সবচেয়ে বড় কথা, উনার গান প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আজও গেয়ে চলেছে। একজন শিল্পীর জন্য এরচেয়ে বড় পুরস্কার আর কিই বা হতে পারে। এখনও মানুষ আমাদের বলেন, ‘তিনি বড় ভালো মানুষ ছিলেন’। এটাও তো কম প্রাপ্তি নয়। এই কথাগুলো সন্তান হিসেবে নয়, শ্রোতা হিসেবে বললাম। আর সন্তান হিসেবে আব্বার কথা ভাবি যখন, তখন অভিমানের বাষ্প জমে চোখে। একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে বলি, আব্বার গানগুলো তরুণ প্রজন্ম গাইলে খুব চর্চিত কণ্ঠ তৈরি করতে পারবে।’’
এদিকে মাহমুদুন্নবীর আরেক যোগ্য কন্যা সামিনা চৌধুরীর ভাষ্য, ‘আব্বার মতো বিশাল সমুদ্রসম কণ্ঠের পরিধি নিয়ে কথা বলার ভাষা অন্তত আমার জানা নেই। আমার শোনা একটি কণ্ঠ, যার কথা বলা ও গাইবার আওয়াজ একই! তাই তার গায়কীতে ফুটে উঠতো সহজ সারল্যে ভরা অন্য এক চিত্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পক ও পরিচালক ইজাজ খান স্বপনের প্রতি। তিনি একজন কিংবদন্তিকে সত্যিকারের সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে।’
ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী প্রসঙ্গত, মাহমুদুন্নবী ছিলেন সহজ-সরল, মিষ্টভাষী এবং গানপাগল অভিমানী এক মানুষ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কেবল গানই লালন করেছেন তার হৃদয়ে। গাওয়ার পাশাপাশি সুরকার হিসেবেও তিনি ছিলেন অনন্য। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছো’, ‘ও গো মোর মধুমিতা, ‘সালাম পৃথিবী তোমাকে সালাম’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’, ‘সুরের ভুবনে আমি আজও পথচারী’ প্রভৃতি।
১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বর্তমান ভারতের বর্ধমান জেলার কেতু নামক এক গ্রামে মাহমুদুন্নবীর জন্ম। তার চার সন্তান। তারা হলেন সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, রিদওয়ান নবী পঞ্চম ও ফ্যাশন ডিজাইনার তানজিদা নবী।

/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং
পুষ্পা: আসবে তৃতীয় কিস্তি!
পুষ্পা: আসবে তৃতীয় কিস্তি!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
যুক্তরাষ্ট্রে নোমান রবিনের ‘ছাই থেকে ফুল’
যুক্তরাষ্ট্রে নোমান রবিনের ‘ছাই থেকে ফুল’