X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলাম প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধ!

মো. আবুসালেহ সেকেন্দার
২০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:১০আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:১৭









মো. আবুসালেহ সেকেন্দার বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক ন্যারেটিভ বা বয়ান রয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তান তাদের নিজস্ব দৃষ্টিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ব্যাখ্যা করে। ওই দেশের ঐতিহাসিক গ্রন্থ বা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য পর্যালোচনা করলে তার স্বাদ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও মুক্তিযুদ্ধের ভিন্ন ভিন্ন বয়ান রয়েছে। ওই বয়ানগুলোর মধ্যে অনেক প্রভাবশালী বয়ানকারীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলাম ধর্মকে প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করতে সর্বদা সচেষ্ট। এর কারণ হচ্ছে, ওই বয়ান যারা তৈরি করেছেন তারা প্রায় সকলে বামপন্থী ঘরনার বুদ্ধিজীবী। ফলে তারা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইসলাম ধর্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছে। যদিও ইসলামপন্থীদের মতো বামপন্থীদের একটি অংশও বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহায়তা করে। কিন্তু একাত্তর পরবর্তী বুদ্ধিজীবীদের রচনা পড়লে মনে হবে যে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা কেবল ইসলামপন্থীরাই করেছে। বামপন্থীদের পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করার বিষয়টি তারা সচেতনভাবে এড়িয়ে যান।

অন্যদিকে কয়েকজন কট্টর বামপন্থী লেখক মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের অবদান তুলে ধরতে গিয়ে অনেক মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, চীনপন্থী, মুক্তিযুদ্ধকে ‘দুই কুকুরের লড়াই’ বলা সশস্ত্র বিপ্লবীদের কৌশলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার প্রয়াস চালিয়েছেন। কিন্তু সত্যিকারভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের মধ্যে বাম ও ডান, কট্টর বিরোধী ও কট্টর ইসলামপন্থী উভয় ঘরানার লোকই ছিলেন। তারা বেশ সচেতনভাবেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও পাকিস্তান বাহিনীকে সহায়তা করেছেন।

ইসলাম ধর্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করার ওই বয়ানের বিপরীতে ইসলামপন্থীদের শক্তিশালী কোনও বয়ান নেই। রাজনৈতিক ওলামাদের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও এ দেশের আম-জনতা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক ওলামারা আল কোরআন ও আল হাদিসের নানা আয়াত ও যুক্তি ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের ঘোষণা করা সত্ত্বেও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা দলে দলে দেশমাতৃকার স্বাধীনতায় নিজের জীবন অকাতরে উৎসর্গ করেন। ফলে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে মহান বিজয়ের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের সঙ্গে রাজনৈতিক ওলামা ও তাদের ইসলাম ধর্মের নামে দেওয়া ‘ফতোয়ার রাজনীতির’ পরাজয় ঘটে। ওই পরাজয়ের গ্লানি তারা বিগত কয়েক যুগ বয়ে বেড়িয়েছেন। তাই বিগত কয়েক যুগ একাত্তরের পরাজয়ের গ্লানি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে একাত্তরে পরাজিত রাজনৈতিক ওলামা ও তাদের উত্তরাধিকারীরা সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন।

হেফাজতে ইসলামের মতো ইসলামপন্থী সংগঠনও তাই তাদের বক্তৃতা বিবৃতিতে প্রায়ই দাবি করছেন যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সরকারকে আলেম ওলামাদের পরামর্শ মতো দেশ পরিচালনা করতে হবে। ইসলামবিরোধী কোনও আইন প্রণয়ন করা যাবে না। ইসলামের রীতি মেনে দেশ চলবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের অনেক আলেম ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলিম মুক্তিযুদ্ধের জন্য লড়েছেন, প্রাণ উৎসর্গ করেছেন এমন ইতিহাস তুলে ধরে তারা ইসলামি শরিয়ত মতে দেশ পরিচালনা করাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে দাবি করছেন।

বিভিন্ন লেখকের লেখা বই পর্যালোচনা করেই বলা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা অংশগ্রহণ করেন। আলেম ওলামাদের সবাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানিদের সহায়তা করেছেন এমনটিও সত্য নয়। বরং রাজনৈতিক ওলামারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও সাধারণ ধার্মিক মুসলিম ও কতিপয় আলেম ওলামা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করা বা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা, এতিমখানা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস সদস্যরা জ্বালিয়ে দিয়েছে। লুট করেছে। ধ্বংস করেছে। তবে এই বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক চিত্র নয়। বরং খণ্ডিত একটি চিত্র। রাজনৈতিক ওলামাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও যুদ্ধাপরাধে জড়িত হওয়ার ইতিহাসও পাশাপাশি বলতে হবে।

অন্যদিকে উপর্যুক্ত দাবিগুলোকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে তথা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আলেম ওলামারা অনেকে অংশগ্রহণ করেছেন বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অনেক ধার্মিক মুসলিম লড়েছেন দাবি করে অনেক রাজনৈতিক ওলামা ইসলাম ধর্ম মতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে বলে যে দাবি করছেন তাও মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বা থিসিস পরিপন্থী। কারণ, ইসলাম ধর্মের অনুসারী ধার্মিক ব্যক্তিরা যেমন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তেমনি হিন্দু ধর্মের, বৌদ্ধ ধর্মের, খ্রিষ্টান ধর্মের ধার্মিক ব্যক্তিরাও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ফলে মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা, এতিমখানার মতো এ দেশের অনেক গির্জা, মন্দির, প্যাগোডা পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস সদস্যরা লুট করেছে। পুড়িয়ে দিয়েছে। মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে।

এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে, ধার্মিক মুসলিম মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেছেন বলেই বাংলাদেশকে ইসলামি শরিয়া মতো পরিচালিত করতে হবে– রাজনৈতিক ওলামাদের এমন দাবি যৌক্তিক হলে, মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের কারণে যদি কোনও ধার্মিক হিন্দু বা বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান দাবি করেন যে তাদের ধর্ম মতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে, তবে তাদের সেই দাবিও কেন যৌক্তিক হবে না? কারণ, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইসলাম ধর্মের একনিষ্ঠ অনুসারী মুসলিমদের মতো হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মের একনিষ্ঠ অনুসারীরা দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য জীবন বাজি রেখে লড়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক তাদের বাড়িঘর, ধর্মীয় উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত বাংলাদেশেরও তারাও সম-অংশীদার।

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের থিসিস বলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের দাবি মতো বাংলাদেশ যেমন তাদের ধর্মীয় আইন দ্বারা পরিচালিত হবে না বা হওয়াটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হতে পারে না। তেমনি রাজনৈতিক ওলামাদের দাবি মতে, বাংলাদেশ ইসলামি শরিয়া মতে পরিচালিত হওয়ার দাবিও যৌক্তিক নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপন্থীও নয়। উপর্যুক্ত বিষয়টি সবাইকে বুঝতে হবে। সবার মনে রাখা দরকার, মুক্তিযুদ্ধ কোনও বিশেষ ধর্মের বিধান মতো স্বাধীন বাংলাদেশকে পরিচালনা করার জন্য সংঘটিত হয়নি। তাই কোনও ধর্মীয় বিধানের নীতিকে প্রাধান্য না দিয়ে সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করতে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে চারটি মূল নীতির অন্যতম নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ, কোনও একটি ধর্মের নীতি মতে রাষ্ট্র পরিচালিত হলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অন্য ধর্মের ও মতের মানুষকে অপমান করা হয়। অবজ্ঞা করা হয়। ধর্মনিরপেক্ষতা এমন একটি নীতি যেখানে সব ধর্মের ও মতের মানুষকে সমান চোখে দেখার সুযোগ আছে।

ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। আবার যারা ধর্মে বিশ্বাসী নয় তাদের বিতাড়িত করা কোনও মন্ত্রও নয়। বরং এমন একটি ব্যবস্থা যা সব ধর্মের ও মতের মানুষেরই নিজ নিজ ধর্ম পালনের অথবা না পালনের পূর্ণ অধিকার দেয়। এমনকি যারা ধর্মে বিশ্বাস করেন না তাদের ধার্মিক ব্যক্তিদের পাশাপাশি বসবাসের সমঅধিকার থাকে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যা সব মানুষের জন্য নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সব ধর্মের মানুষকে ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করতে চায় বলেই স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের নায়করা ধর্মনিরপেক্ষতাকে অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেন। কতিপয় রাজনৈতিক ওলামার দাবি মতো বাহাত্তরের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। মুক্তিযুদ্ধের মূল থিসিস না বোঝার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ওই সব রাজনৈতিক ওলামা এমন অদ্ভুত দাবি করছেন।

মনে রাখা দরকার, মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ম ছিল একটি ব্যক্তিগত বিষয়। তাই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম ধর্মের ধার্মিক ব্যক্তিরা একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলয়ে যুদ্ধ করলেও, পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে একের পর অন্যে প্রাণ উৎসর্গ করলেও ধর্ম বিষয়ে পরস্পর কোনও বিরোধে জড়াননি। ধার্মিক মুসলিমরা অন্য মুসলিমকে ইসলামি শরিয়া পালনের জন্য জোর-জবরদস্তি করেননি। তাই মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্পে ইসলামি শরিয়া অনুমোদিত অথবা অ-অনুমোদিত সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ইসলাম ধর্মের শরিয়া মতে ওই কাজ হালাল না হারাম সেই প্রশ্ন তখন উত্থাপিত হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধের অবস্থান কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে না হওয়ায় কোনও মুক্তিযোদ্ধা চাইলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধে লড়াইকালীন স্বাধীনভাবে নিজ ধর্ম পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কোনও শর্ত ছিল না যে, কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্পে তার নিজ ধর্ম পালন করতে পারবেন না। অথবা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে অবশ্যই তাকে ইসলামি শরিয়া মতে চলতে হবে। বরং মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল ধর্মীয় ক্ষেত্রে সবাই স্বাধীন। ধর্ম হবে ব্যক্তিগত বিষয়। তাই একজন মুক্তিযোদ্ধা অন্য মুক্তিযোদ্ধার ব্যক্তিগত ধর্মীয় বিশ্বাস বা কর্মকাণ্ড বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেননি। সবাই অন্যের ধর্মীয় অবস্থানকে শ্রদ্ধার চোখে দেখেছেন।

আজকের কতিপয় রাজনৈতিক ওলামাদের দাবির মতো সেদিনের মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। ইরানের ইসলামি বিপ্লবীদের মতো আল কোরআন ও আল হাদিসের বা শরিয়া আইন বাস্তবায়নের জন্য লড়েননি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোনও ইসলামি বিপ্লব ছিল না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। এই যুদ্ধে নানা ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠীর মানুষেরা অংশগ্রহণ করেছেন। ওই অংশগ্রহণকারীদের একটি ক্ষুদ্রতম অংশ ছিল আলেম ওলামা। ধার্মিক মুসলিম। তাই মুক্তিযুদ্ধের ওই একটি অংশের রেফারেন্স ব্যবহার করে বাংলাদেশ শরিয়া আইন মতে চলবে দাবি করলে তা হবে ‘কানার হাতি দেখা’র মতো। এমন দাবি মুক্তিযুদ্ধের খণ্ডিত চিত্র। মুক্তিযুদ্ধের মূল থিসিস পরিপন্থী। এ বিষয়টি বাংলাদেশের কতিপয় রাজনৈতিক ওলামারা বুঝতে পারেননি বলেই সাম্প্রতিক সময়ে তারা বাংলাদেশ শরিয়ার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে বলে দাবি করছেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে ইসলামি শরিয়ার বিধান খোঁজার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন।

পরিশেষে, শুধু ইসলাম ধর্ম নয়, অন্য কোনও ধর্মের সঙ্গেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনও বিরোধ নেই। আবার ইসলাম বা অন্য কোনও ধর্মীয় মতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যও মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। বরং সব ধর্মীয় মতকে উদারভাবে গ্রহণ করাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ওলামারা মুক্তিযুদ্ধের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি পরিত্যাগ করে সবার ওপর মানুষ সত্য এই মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে ইসলাম ধর্মের অনুসারী ধার্মিক মুক্তিযোদ্ধাদের মতো দেশ গঠনে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবেন বলে আমরা আশা করি।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
টিভিতে আজকের খেলা (২৫ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৫ এপ্রিল, ২০২৪)
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ