X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রসঙ্গ সৈয়দ হকের কাব্যনাট্য

মজিদ মাহমুদ
২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৪৩আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫২

সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রখ্যাত বাংলাদেশি সাহিত্যিক। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, অনুবাদ তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সোনালি সাক্ষর রাখায় তাকে 'সব্যসাচী লেখক' বলা হয়। তার লেখকজীবন প্রায় ৬২ বছর ব্যাপী বিস্তৃত। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক সহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।

প্রসঙ্গ সৈয়দ হকের কাব্যনাট্য
সৈয়দ শামসুল হকের বহুমুখী সৃষ্টিশীল সাহিত্যিক প্রতিভার অন্যতম প্রধান ফসল তার কাব্যনাট্য। বোধকরি এটি কেবল লেখকের কাব্যবৃত্ত সম্পূর্ণতার ক্ষেত্রে ক্রিয়াশীল থাকেনি; বরং বাংলানাট্যের এই শাখাটির পরিপুষ্টতার ক্ষেত্রেও দারুণ অবদান রেখেছে। এ-কথা বলা যায়, বাংলা কাব্যনাট্য-সাহিত্য তত সমৃদ্ধ নয়। যদিও বাংলা কবিতার আদিধারা কিংবা পাশ্চাত্য অনুকরণে আধুনিক বাংলা নাটকের সূত্রপাতের সঙ্গে কাব্যের একটি অবিচ্ছেদ্য আত্মীয়তা ছিল, তবু রবীন্দ্রোত্তর বাংলা নাটকে এ ধারার বিকাশ ঘটেনি তেমন।

নাটক রচনা আর কাব্যনাট্য রচনার মধ্যে প্রধান প্রভেদ কাব্যনাট্য রচয়িতাকে সর্বাগ্রে কবি হওয়া বাঞ্ছনীয়। কবি ছাড়া কাব্যনাট্য লেখা সম্ভব নয়। সেদিক দিয়ে পঞ্চাশের দশকে এমনকি সৈয়দ হকের পরবর্তী দশকের সত্যিকারের কবিরা কাব্যনাট্য লেখায় খুব একটা এগিয়ে আসেননি। তবে কবি বলে খ্যাত নন কিন্তু শক্তিমান নাট্যকারদের কেউ কেউ এ শাখায় হাত দিয়েছেন। তাদের সফলতা বিবেচনা এই লেখার প্রতিপাদ্য নয়।

তবে শুরুতে এ কথা খোলাসা করা প্রয়োজন যে, কাব্যনাটক রচয়িতার বিস্তারের সুযোগ বেশি থাকলেও আগে তাকে নাটক হতে হবে। কাব্যনাটকের ক্ষেত্রে কবিতার মান উৎকৃষ্ট হলেও নাটকের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এবং ঘটনা ও চরিত্র বিন্যাস যথাযথ না হলে তা উৎরায় না। আমার নিজের বিবেচনায়, কাব্যনাট্য রচনার ক্ষেত্রেও সৈয়দ হক বিধিবদ্ধ নাটক রচনার ধারা বিবেচনায় রাখেননি কিংবা রাখতে চাননি। আর এখানেই আধুনিক কাব্যনাটকের ধারায় তিনি সম্পূর্ণ আলাদা। আর এই আলাদা কেবল চরিত্রনির্মাণে নয়; ভাষা এবং বিষয় বর্ণনার ক্ষেত্রেও। রুশীয় লেবেদফের হাত ধরে দত্ত ও মিত্র হয়ে বাংলা নাটকের যে ধারা প্রবর্তিত হয়েছিল তার সঙ্গে হাজার বছরের বাঙালির মিল ছিল খুব সামান্যই। যদিও এই প্রবর্তিত রূপটির ভালো বা মন্দ আবিষ্কার এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। তবু একটি কথা তো স্মরণ করতেই হয়, বাংলা গদ্যের মতো বাংলা নাটকও ঔপনিবেশিক সন্তান। কিন্তু একটি প্রশ্ন তো অস্বাভাবিক নয়—লেবেদফের আগে, মধুসূদন-দীনবন্ধুর আগে কি এ দেশে দৃশ্যকাব্যের অস্তিত্ব ছিল না? গদ্যের বিকাশ ঔপনিবেশিককালে হলেও নাটকের ক্ষেত্রে এই বিবৃতি সর্বাংশে সত্য নয়। বরং নবসৃষ্ট ধারার যে নাটক নিয়ে আমরা গদগদ হয়ে থাকি—তা মূলত গণের নাট্যচেতনা—যাকে আমরা বিনোদন ও প্রতিবাদের ভাষা বলতে চাই—তা থেকে বিচ্ছিন্ন। এমনকি এর উদ্দেশ্য ছিল ঔপনিবেশিককালে গড়ে ওঠা নব্য নাগরিক তথা বাবুশ্রেণির মনোরঞ্জন। যদিও একালের নাটক একটি আকাড়া বাস্তবতা তুলে ধরতে চেয়েছে। তবুও তার প্রতিনিধিত্ব ছিল রাজধানী কলকাতা-কেন্দ্রিক বাবুশ্রেণির মধ্যে। তা মানসিংহ ভবানন্দের উপাখ্যান হোক কিংবা মনসা-চাঁদসদাগরের পূজা পাওয়ার চিরন্তন দ্বন্দ্ব হোক; নীলদর্পণ কিংবা জমিদার দর্পণ হোক।

সৈয়দ হকের নাট্যচেতনার বিশেষত্ব এখানে যে তিনি কাব্যনাটকের ভাষা ও বিষয়শৈলীর ক্ষেত্রে আধুনিক নাটকের দিকে হাত না বাড়িয়ে আবহমান যাত্রা ও পালাগান, ময়মনসিংহ গীতিকার অন্তর অনুপ্রেরণা গ্রহণ করেছেন। তার দৃষ্টিতে একজন কবি এসব কাহিনির রূপকার হলেও গণের চেতনায় কাব্য এর রয়েছে সাধারণ আশ্রয়। শ্রমজীবী মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হলো কাব্যাশ্রয়ী উপমা, চিত্রকল্প, রূপকল্প উচ্চারণ—এই সত্যটি সৈয়দ হক এ ধরনের রচনার আগে আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন। যে কারণে শ্রমশ্রেণির মানুষের জন্য নাট্য-প্রচেষ্টা কেবল গদ্য সংলাপে সম্ভব নয়। আর সে-কারণেই তার কাব্যনাট্য গুরুত্বের দাবিদার।

সৈয়দ হকের কাব্যনাট্যের মূল অভিপ্রায়, ভাব ও রস নিয়ে দু-একটি কথা বলা যাক। তার বহুল পরিচিত কাব্যনাট্যের অন্যতম ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’। এই নাটকের মূল অবলম্বন মুক্তিযুদ্ধ। মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অতি পরিচিত গল্পকে অবলম্বন করা হয়েছে। এই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র বা প্রোটাগনিস্ট চট করে আবিষ্কার করা না গেলেও এন্টাগনিস্ট হিসেবে এসেছে পীর, মাতবর, পাইক। কাহিনির মধ্যে এসেছে—ধর্মের সহযোগিতায় কীভাবে মাতবর শ্রেণি পরিপুষ্টি লাভ করে, এ ছাড়া হানাদারের দোসর মাতবর কীভাবে নিজের কন্যাকে পাক-সেনার হাতে তুলে দেয়। পরিশেষে, মাতবরের মেয়ে লজ্জায় ক্ষোভে বিষপানে প্রাণত্যাগ করেন। বলতেই হয়, কাহিনি হিসেবে এটি অতি সাদামাটা অর্থাৎ লেখকের ইমাজিনেশন এখানে কাজ করেনি। আমার মনে হয়, এই ইমাজিনেশনকে কাজে না লাগানোই এখানে নাট্যকারের ইমাজিনেশন। কারণ, লেখকের মূল প্রতিপাদ্য ছিল সমস্ত ঘটনাকে গ্রামবাসীর মধ্য দিয়ে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। কারণ, লেখক এখানে মুক্তিযুদ্ধের এই অতিপরিচিত কাহিনিকে সাধারণ মানুষের মধ্য দিয়ে সংগঠিত করতে চেয়েছেন। সুতরাং এই নাটকের নায়ক একক কোনো ব্যক্তি নন, ৬৮ হাজার গ্রামবাসীই তার প্রকাশ।

আমরা জানি ব্রিটিশপূর্ব এদেশের কাব্য-নাট্য-পালাগানের বিষয় ছিল সাধারণ মানুষের অতিপরিচিত, এবং সব কবি মিলে একই কাহিনি রচনা করতেন। তাই এখানে একক কোনো কবির কল্পনাবিলাস পল্লবিত হয়ে ওঠেনি—কারণ, তখন শ্রমজীবী মানুষের বাঁচার লড়াই ও ভাষা ছিল একই রকম। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকের ক্ষেত্রেও আমরা লক্ষ করেছি, লেখক এখানে কিছুতেই কাহিনি রচনার দায়িত্ব নেননি। কারণ তিনি জানেন, এ কাহিনি একটি সত্য ইতিহাস—তা অতিক্রম করার স্পর্ধা কেউ রাখেন না। তবু নাটকটিকে একটি ট্র্যাজেডি হিসেবে উল্লেখ করা যায়। শেক্সপিয়ারীয় ট্র্যাজেডির কিছুটা ইঙ্গিত এ নাটকেও অবশিষ্ট রয়ে গেছে। বিশেষ করে, মাতবর ও তার কন্যার মৃত্যুর মধ্যে এই নাটকের চূড়ান্ত পরিণতি হলেও মাতবরের শেষ ইচ্ছার মধ্যে একটি মডার্নিস্ট চিন্তারও প্রকাশ ঘটেছে—

‘তবে শেষ অনুরোধ উপস্থিত সকলের পর

আমার গেরামে দিও আমার কবর।’

সুতরাং, বাৎসল্য ও জন্মস্থানের প্রেম হয়তো নানা উপায়ে মানুষের মধ্যে থাকে। কিন্তু লেখক এখানে নির্বস্তুক ভালোবাসার কোনো অস্তিত্ব স্বীকার করেননি। তাই একটি মার্কসীয় বীক্ষা তার রচনায় সদা সচল ছিল। এই নাটকের ক্ষেত্রে লেখক রবীন্দ্রনাথের মুক্তধারা ও রক্তকরবীর মতো পর্ব ও দৃশ্য বিভাজন মানেননি।

সৈয়দ শামসুল হকের দ্বিতীয় কাব্যনাট্য ‘নূরলদীনের সারাজীবন’—যেকোনো বিবেচনায় এটি বাংলা কাব্যনাট্যধারায় একটি অনন্য সংযোজন। এই রচনায় লেখকের পরিশ্রম ও মেধা সন্দেহাতীতভাবে লক্ষ করা যায়। একটি জনপদের সাবঅলটার্ন ইতিহাস সংগঠিত করবার এই শিল্পসম্মত প্রয়াসকে কেবল উত্তর-ঔপনিবেশিক চেতনা দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে এদেশে কতরকম আন্দোলন যে সংগঠিত হয়েছিল তার সবটা এখনও আমাদের জানা হয়নি। কিন্তু এই সব আন্দোলন ও বিদ্রোহের লক্ষ্য ছিল না মসনদ। ‘মুই নবাব না হবার চাঁও। মুই সিংহাসন না চাঁও।’ রাজা যায় রাজা আসে—তাতে শ্রমজীবী মানুষের খুব একটা মাথাব্যথা নেই। কিন্তু বেঁচে থাকার সর্বশেষ গ্রাসটুকু যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে; সভ্যের বর্বর লোভ যখন দুর্দমনীয় হয়ে পড়ে তখন রুখে না দাঁড়ানোর কোনো উপায় থাকে না। আর এই প্রতিবাদকে ক্ষমতাসীন বিশেষ করে ঔপনিবেশিক শাসকরা দস্যুগিরি, বদমায়েশি উল্লেখ করে থাকে।

ব্রিটিশের খাতায় লিপিবদ্ধ এমন একজন দস্যু নূরলদীনকে নিয়ে এই কাব্যনাট্যটি রচনা করেছেন সৈয়দ হক। নিম্নবর্গের ইতিহাস রচয়িতা রণজিৎ গুহ যেমন বলেন, ‘ঔপনিবেশিক আমলের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চেনার অন্যতম উপায় হলো সরকারি খাতায় তাদের বদমায়েশ, দস্যু ও বম্বাটে হিসেবে উল্লেখ করা।’ নূরলদীনও ছিলেন তেমন একজন স্বায়ত্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী।

এই নাটকটি রচনার ক্ষেত্রে সৈয়দ হক ইতিহাসের এমন এক জায়গায় কাজ করেছেন—যাকে রীতিমতো রিভাইভালিজম বলা যায়। ব্রিটিশবিরোধী এক গণনায়ককে তিনি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। নূরলদীনের সংগ্রাম বিস্তার লাভ করে একাত্তরের মহাসংগ্রাম হয়ে আজকের ও ভবিষ্যতের দিন পর্যন্ত। নূরলদীন এমন একজন ভূমিপুত্র—যার বাবা মহাজনের খাজনা পরিশোধ করতে হালের বলদ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। নিজের ঘাড়ে জোয়াল নিয়ে জমি চাষ করতে গিয়ে মারা যায়। মরণকালে তার কণ্ঠেও মানুষের বদলে গরুর হাম্বা ডাক শোনা যায়। ঔপনিবেশিক আমলে ভূমিপুত্রদের মর্যাদা যে পশুস্তরে নামিয়ে আনা হয়, তাদের দায়িত্ব যে কেবল ঔপনিবেশিক প্রভুদের অর্থ জোগান দেওয়া—লেখক এ-নাটকে তার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এই নাটকটি রচনার ক্ষেত্রেও সৈয়দ হক আধুনিক ধারার মঞ্চনাটকের ধারণার মধ্য থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন। প্রাচীন নাট্যাভিনয়ের উন্মুক্ত মঞ্চকে তিনি নির্বাচন করেন। এই নাটকের ক্ষেত্রেও লেখকের স্থায়িভাব সংগ্রাম ও স্বাধীনতা এবং পরিণামে অর্থনৈতিক মুক্তি। নূরলদীন এ-নাটকের মূল চরিত্র হলেও তার জীবন বর্ণনা এ-নাটকের লক্ষ্য নয়। বরং সময়ের প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের মধ্যে কীভাবে একজন নূরলদীন সংগঠিত হয়, আত্মপ্রকাশ করে—লেখক তা-ই দেখাতে চেয়েছেন। লেখক এই নাটকের পরিসমাপ্তি করেছেন—বাঙালির চিরন্তন মানবিক আবেদনের ভেতর। ঈশ্বর পাটনি যেমন অন্নদার কাছে বর চান—তার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে। তেমনি নূরলদীন নবাব হতে চান না; সোনাদানার আকাঙ্ক্ষা নেই; তার আকাঙ্ক্ষা—‘হামার গাভীন গাই অবিরাম দুধ ঢালিতেছে... হামার পুত্রের হাতে ভবিষ্যৎ আছে।’ এভাবে বাঙালির সব ঘরের মধ্যেই নূরলদীন তার স্বপ্ন বিস্তার করে চলেন। আমার মনে হয়, ভাষা, বিষয় এবং কাহিনির বিস্তার বিবেচনা করলে সৈয়দ হকের অন্য কোনো রচনা নয়—না কবিতা না তার কথাসাহিত্য—কেবল তার কাব্যনাট্যের অবস্থান হবে সাম্প্রতিক সময়ে সর্বাধিক আলোড়িত সাহিত্যিক-তত্ত্ব উত্তর-ঔপনিবেশিক তথা প্রকৃত নিম্নবর্গের সাহিত্য-চেতনার ভেতর।

সর্বজনবিদিত, সৈয়দ শামসুল হক কবি। তার এই নাট্য কেবল শিল্প-সৃষ্টির নিমিত্তে রচিত হয়নি। তিনি তার এ ধারার শিল্পকর্মকে গণমানুষের আন্দোলনের হাতিয়ার করতে চেয়েছেন—সেদিক দিয়ে এর উদ্দেশ্যবাদিতার মধ্যে একটি মহত ইচ্ছা লুকিয়ে আছে। সেই সঙ্গে লেখক তার প্রতিভার শক্তিমত্ততারও স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন তার কাব্যনাট্যে।

 

 

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
‘আ.লীগকে বর্জন করলেই অন্য পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না’
‘আ.লীগকে বর্জন করলেই অন্য পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না’
বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা, শাহরিয়ার নতুন প্যানেল নেতা
বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা, শাহরিয়ার নতুন প্যানেল নেতা
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!