X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

আমার চাচা বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী

আনিস আলমগীর
২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:৩৯আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:২৪

আনিস আলমগীর ২০২০ সাল যেন আমার প্রিয়জনদের কেড়ে নেওয়ার ব্রত নিয়ে এসেছে। গত ২৭ এপ্রিল নিয়ে গেলো ঢাকা শহরে আমার ৩৫ বছরের সুখে-দুঃখের সবচেয়ে বেশি কাছে পাওয়া বোন আঞ্জুমান আরাকে (৬২)। আর ২৫ ডিসেম্বর নিয়ে গেলো আমার সবচেয়ে আপনজন, আমার জীবনে সবচেয়ে প্রভাব ফেলা ব্যক্তি বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরীকে, যিনি আমার চাচা, সবার কাছে যিনি পরিচিত বিশিষ্ট কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। বন্ধু মহলে যিনি ছিলেন অতি দয়ালু, বিনয়ী এবং বন্ধুপ্রাণ একজন মানুষ। জগতে একটি লোক পাইনি তার সঙ্গে কথা বলার পর প্রশংসা করেনি। কী করে তিনি মানুষের এত আপন হতে পারতেন, কী করে মানুষ আড্ডায় মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার কথা শুনতো, তার সান্নিধ্যের জন্য ব্যাকুল থাকতো- যারা তাকে কাছ থেকে দেখেছেন তারাই শুধু উপলব্ধি করতে পারবেন। ধনী আর সাধারণ মানুষ তার কাছে সবই ছিল এক। রাস্তায় ভিক্ষুক হাত পাতলে তিনি ভিক্ষা না দিয়ে ফেরাতে দেখিনি। আমি বলতাম, আসল ফকির না নকল? তিনি বলতেন, সেটা দেখার মালিক আল্লাহ, সে তো আমার কাছে হাত পেতেছে।

আমার আব্বা-আম্মা, ভাই-বোন, দুলাভাই সবার কাছে তার উপস্থিতি ছিল প্রশান্তির। তিনি ছিলেন সবার প্রিয়জন। আমার সুখ-দুঃখ, বিপদে-অসুখে সবার আগে হাজির থাকতেন চাচা। সে কারণেই আব্বার মৃত্যুর পর আমার বাবার আসনটি দখল করে নিয়েছিলেন তিনি। নব্বই দশকের শুরুতে চরম এক জণ্ডিসের শিকার হয়েছিলাম, বিলিরুবিন উঠেছিল ৩৫-এর ওপরে। শরীর ছিল যেন হলুদ মাখানো। ঢাকায় দেশসেরা একজন মেডিসিনের ডাক্তার আমার দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে ভালো হওয়ার কোনও লক্ষণ না দেখে চাচাকে আড়ালে বললেন, আমার খারাপ লাগছে এমন একটি তরতাজা তরুণ আমার হাতে মারা যাচ্ছে। চাচা সেখান থেকে স্কুটার নিয়ে চলে গিয়েছিলেন এক হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে। আমি নতুন জীবন পেয়েছিলাম। তার মৃত্যুর ১০ দিন আগেও বুকের ব্যথায় আমি বারডেম কার্ডিয়াকে চার দিন, বারডেম হাসপাতালে ছিলাম তিন দিন। চাচা নিজে অসুস্থ কিন্তু তাকে হাসপাতাল যাওয়া থেকে বিরত করতে পারিনি।

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী

২০০৩ সালে আমি বাগদাদে ছিলাম ইরাক যুদ্ধ সংবাদ সংগ্রহে। আকাশে যুদ্ধ, বোমা পড়ছে চারদিক। রাতে বোমার আলোয় ট্রাইগ্রিসের স্বচ্ছ জলও দেখা যায়। চ্যানেল আইতে লাইভ শেষে অনুরোধ করলাম আমার মা আর চাচা বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরীকে বলবেন আমার জন্য দোয়া করতে। আমার এই বিশ্বাস চিরদিন কাজ করে যে আম্মা আর চাচা যদি আমার জন্য দোয়া করেন আমার কোনও বিপদ হবে না (আব্বা ততদিনে মারা গেছেন)। চ্যানেল আই সেটাকে আলাদা করে বারবার প্রচার করেছে। লোকজন চাচাকে বলেছেন কিন্তু তিনি কান্না লুকাতে পারবেন না বলে টিভি দেখতে চাননি, নীরবে নাকি চোখের জল ফেলেছেন।

বই ছিল তার প্রিয় সঙ্গী। টেবিলে, খাটে, বুক সেলফে সর্বত্র বই। দেশি পত্রিকা-বিদেশি ম্যাগাজিনের স্তূপ। রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ ঢলের সময় এসএটিভির একটি টকশোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম তাকে। আমি হোস্ট। অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানও অতিথি। স্টুডিওতে যাওয়ার আগে তাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলাম। সলিমুল্লাহ ভাই বললেন, আমাকে পরিচয় করাতে হবে না, আমি উনার কলামের নিয়মিত পাঠক। চাচাকে বললেন, আপনি তো অনেক বোকা লোক, আপনার লেখা পড়লেই বোঝা যায় অনেক বই পড়েন। এ দেশে লেখালেখি করার জন্য পড়ার তো দরকার হয় না, বোকারাই পড়ে এবং পরিশ্রম করে লেখে। অনেক খুশি হয়েছিলেন তিনি সলিমুল্লাহ ভাইয়ের কম্প্লিমেন্টস পেয়ে, যেখানে বাংলাদেশের সিংহভাগ লেখক আরেকজন লেখকের প্রশংসা করেন না। সলিমুল্লাহ ভাই আমার প্রিয় মানুষ, শিক্ষকতা জীবনে ইউল্যাবে সহকর্মী হিসেবে পেয়েছি। তার পছন্দে আমরা একটি লেবানিজ রেস্টুরেন্টে ডিনার করেছিলাম, একসঙ্গে সন্ধ্যাটিকে আরও উজ্জ্বল করার জন্য। চাচা অনেক খুশি হয়েছিলেন।

লেখালেখির পাশাপাশি রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে টক শোতে যেতে উনি ভালোবাসতেন কিন্তু বাংলাদেশে টক শো গেস্ট হওয়ার যে যোগাযোগ বা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া- সেই যোগাযোগ উনি রাখতেন না বলে অনিয়মিত ছিলেন। গেস্ট হিসেবে আমি উনাকে কখনো উদ্ভট, বাজারি কথাবার্তা বলতে দেখিনি, যেটা দিয়ে টক শো চলে। যা বলতেন সেখানে চিন্তার খোরাক থাকতো। সমাধানের উপায় থাকতো। ২০১৬ সালে ট্রাম্পই ক্ষমতায় আসবেন এ কথা তিনি এশিয়ান টিভির টক শোতে বলে এসেছিলেন। সেটাই সত্য হয়েছে। সেটা ভাইরাল হয়েছিল। বাংলা ট্রিবিউনেও উনি ট্রাম্প বিজয়ী হবেন সরাসরি লিখেছিলেন। আর যখন ট্রাম্প সারা বিশ্বকে অবাক করে বিজয়ী হয়েছিলেন, একাত্তর টিভি ওনার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল- কোন হিসাবে তিনি এতো নিশ্চিত করে বলেছিলেন জানতে। ২০২০ সালে ট্রাম্প হারবে আর নির্বাচন নিয়ে নজিরবিহীন গোলযোগ হবে- সেটাও নির্বাচনের আগে তিনি তার বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত কলামে স্পষ্ট করে বলেছেন কয়েক দফা।

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী'র লেখা শেষ কলাম: পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মমতার বিপর্যয় বিচিত্র নয়

লেখালেখি, টকশো- কোনোটাতেই তিনি ধরি মাছ না ছুঁই পানি- ছিলেন না। লেখক হিসেবে নিজের ইচ্ছার বাইরে এক শব্দও লিখেননি। স্পষ্ট লিখতেন, স্পষ্ট বলতেন। এমনকি নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়েও টিভিতে মুখ খুলেছেন তিনি। খালেদা জিয়ার ২০০১ সালের শাসনকালে চট্টগ্রামে অপহরণের শিকার হয়েছিলেন তিনি। ইত্তেফাক, আজকের কাগজ লিড নিউজ করেছিল। তখনও তিনি ব্যবসা করতেন। কীভাবে মুক্তিপণ দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন, সেই কাহিনি বলেছিলেন আরটিভির ‘রোড টু ডেমোক্র্যাসি’ শোতে অতিথি হয়ে। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় শুনে এটিএন নিউজের টকশোতে আমন্ত্রিত হয়ে বর্ণনা করেছিলেন কীভাবে ১৯৭১ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ শেষে আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরীর নির্দেশে দেশে এসে তার নির্দেশ মতো কাজ করার সময় এক সকালে সাকার মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছেন, কীভাবে গুডস হিলের সাকার বাবা ফকা চৌধুরী এবং মিলিশিয়া বাহিনী নির্যাতনের পর মৃত ভেবে তাকে পাহাড় থেকে নিচে ফেলে দিয়েছিল। আর রাত গভীরে হুঁশ এলে চোখ মেলে দেখেন এক রাজাকার গোপনে তার প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে তার একটি কলামও আছে—‘মৃত্যুর মুখোমুখি ফকা-সাকার বন্দিশালায়’ শিরোনামে।

ছাত্রজীবনে তিনি চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরীর সংস্পর্শে এসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান আর ১৯৭১ সালের যুদ্ধে জড়ান। তখন তিনি নগর ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার যে ঘোষণা দেন জহুর আহমেদ চৌধুরীর নির্দেশে সেটা তারা গভীর রাতে মাইকিং করে প্রচার করেন। স্বাধীনতার পর জাতীয় রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সর্বশেষ পুরোপুরি লেখালেখিতে জড়িত হয়ে পড়েন। লেখালেখি ছাত্রজীবন থেকেই করেছেন কিন্তু সবকিছু ছেড়ে শুধু লেখক হবেন ভাবেননি। তার কলামের নিজস্ব কিছু ভক্ত আছে, তার কিছু শ্রোতা আছে, কলাম লেখকরাও তার কলামের ভক্ত- সেটা তিনি এনজয় করতেন। ‘কলামিস্ট বখতিয়ার’, বা ‘টকশোর বখতিয়ার সাহেব’ বলে তাকে লোকে সম্বোধন করলে সেটাও এনজয় করতে দেখতাম।

নব্বই দশকের শুরুতে তুলনামূলক কম বয়সেই আমি যখন রিপোর্টিংয়ের পাশাপাশি কলাম লেখাও শুরু করি, শুধু বাংলাদেশ ইস্যুতে লিখতাম। তিনি আমাকে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে লিখতে প্রেরণা দিতেন। যখনই কোনও তথ্যের সংকটে পড়েছি, তিনি তথ্যভাণ্ডার হিসেবে সহায়তা করেছেন। তিনি উপমহাদেশের রাজনীতির ইতিহাস, সামাজিক পরিস্থিতি যতটা জানতেন, তার চেয়ে বেশি জানা লোকের সঙ্গে আমার আজও দেখা হয়নি। তিনি বিশ্ব পরিস্থিতি, ইসলামের ইতিহাস, ইউরোপের ইতিহাস, আমেরিকার ইতিহাস, সমসাময়িক ঘটনা যেভাবে বর্ণনা করতেন, মুখস্থ নাম, সাল-তারিখ ঘটনা বলতেন, তার তুল্য আমি কাউকে বাংলাদেশে পাইনি। ১৯৯৭ সালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মশতবার্ষিকী ছিল। উপমহাদেশের রাজনীতিটা চাচা সবচেয়ে বেশি জানতেন বলে তাকে অনুরোধ করি আজকের কাগজের জন্য সুভাষ বসুকে নিয়ে লিখতে।

প্রথম লেখাতেই বাজিমাত। আজকের কাগজ সম্পাদক কাজী শাহেদ আহমেদ তার লেখা পছন্দ করতেন। তারপর আজকের কাগজ বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ‘ক্ষমতার খেলা’ নামে প্রতি সপ্তাহে কলাম চালিয়ে গেছেন। সেসব লেখা দিয়ে তার একটি কলামের বইও প্রকাশিত হয়েছিল। বিচ্ছিন্নভাবে জাতীয় পত্রিকাগুলোতে, এবং বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে লিখেছেন তিনি, তবে বাংলা ট্রিবিউনের প্রায় শুরু থেকে নিরবচ্ছিন্ন লিখে এসেছেন। এমনকি মৃত্যুর আগের দিনও তিনি তার নির্ধারিত কলামটি লিখেছেন, যা মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১০টায় আমাকে ফোন করেন তার এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে। দুপুরে একজন চিকিৎসকের কাছে দেখা করার কথা ছিল, যার কাছে এক মাস আগে গিয়েছিলেন। আমারও যাওয়ার কথা সেখানে। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাই সারা দিন। তিনি যাননি। আর রাতে জানালেন যে ফোনের ব্যাটারিতে সমস্যা হচ্ছে। ডাক্তারের কাছে না যাওয়া প্রসঙ্গে বললেন, শরীর ভালো ছিল না। মৃত্যুর পরে জানতে পেরেছি সন্ধ্যায় তোপখানা রোডে গিয়েছিলেন, যেখানে নানা শ্রেণি পেশার মানুষদের মধ্যমণি হয়ে আড্ডা দেন তিনি। সেখানে অনেকের কাছ থেকে শেষ বিদায় নিয়ে আসেন। বাসায় ফিরে ফোন করেন।

আমি হাসপাতাল থেকে ফেরার পর রাত জাগছি না। কিন্তু ঢাকা ট্রিবিউনের একটা লেখা লিখতে গিয়ে রাত ১টা বেজে যায়। শেষ করতেই তিনি আবার ফোন করেন। বললেন, শরীর খারাপ লাগছে, কেমন অস্বস্তি লাগছে বর্ণনাও করতে পারছেন না। আমি হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আসছি বলায় বললেন, আরেকটু দেখি। একটু পরে আবার জানতে চাই এবং পরিস্থিতি খারাপ শুনে আমি রওনা হই বাসা থেকে। ফোনে মৃত্যুর পর তার লাশ কোথায় দাফন করবো সে নির্দেশনা দিলেন। ২০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাই, পথে অ্যাম্বুলেন্সও মিলে। তিনি লিফটে নিচে নামেন কাজের ছেলের কাঁধে ভর করে। অ্যাম্বুলেন্সে তুলি। কিন্তু একটু পরেই কথা বন্ধ হয়ে যায় তার। বুঝতে পারছি তিনি আমাদের ছেড়ে চিরতরে চলে যাচ্ছেন। ৫ মিনিটের মধ্যে বারডেমে পৌঁছলে ডাক্তার পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন, মৃত্যুর কারণ লিখেন অজ্ঞাত। ডাক্তাররা ধারণা করছেন হার্ট অ্যাটাক, যদিও তিনি মূলত ডায়াবেটিস, কিডনির রোগী ছিলেন। আমি তখন দিশেহারা। স্তব্ধ। বাকরুদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে পড়লে যাকে সবার আগে জানাতাম, তিনি নিজেই আমার জন্য সে পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, কাকে জানাবো সেটা! আমাকে শেষ দেখার জন্যই কী অপেক্ষা করছিলেন চাচা!

চাচা জীবনে কারও মুখাপেক্ষী হয়ে, বিছানায় পড়ে কষ্ট পেতে চাননি, একটি স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণ মৃত্যু চেয়েছিলেন। সব সময় বলতেন আমি প্রস্তুত হয়ে আছি পরপারে যাওয়ার জন্য। শুক্রবারের প্রথম প্রহরে আল্লাহ তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করেছেন। ইচ্ছে ছিল হজ করার। কিন্তু দুর্বল শরীরে একা একা সেটা করা সম্ভব ছিল না। আল্লাহ তার সেই ইচ্ছেও পূরণ করেছেন। ২০১৮ সালে আকস্মিকভাবে সৌদি বাদশাহের আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা দু’জন হজ করে আসি। আমার ২০০২ সালে হজ করা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার যাওয়াটা মনে হয় অসুস্থ অবস্থায় চাচাকে হজ পালনে সহায়তা করার জন্য আল্লাহ মনজুর করেছেন।

মৃত্যুকালে চাচার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৭ আগস্ট চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জন্মগ্রহণ করেন। ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ আসর জানাজা শেষে তাকে হাটহাজারী উপজেলার নাঙ্গলমোড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আমরা এই পারে কাঁদছি তাকে হারিয়ে, সেই পারে তিনি নিশ্চয়ই মা-বাবা, পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেয়ে আনন্দ করছেন।

সবাইকে অনুরোধ করছি দোয়া করতে, আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নিশ্চিত করেন।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট। ইরাক ও আফগান যুদ্ধ-সংবাদ সংগ্রহের জন্য খ্যাত।
[email protected]

 

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী'র আরও কলাম পড়ুন: 

 

 

 

 



/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
কাঁচা আম দিয়ে টক ডাল রান্না করবেন যেভাবে
কাঁচা আম দিয়ে টক ডাল রান্না করবেন যেভাবে
অবৈধ অটোরিকশা-ইজিবাইককে লাইসেন্সের আওতায় আনার দাবি
অবৈধ অটোরিকশা-ইজিবাইককে লাইসেন্সের আওতায় আনার দাবি
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি এবং ৫টি সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি এবং ৫টি সমঝোতা স্মারক সই
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পার্সেলে তরুণদের কাছে আসছে কোটি টাকার মাদক
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পার্সেলে তরুণদের কাছে আসছে কোটি টাকার মাদক
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ