বিশ্বের কোনও বড় শহর হিসেবে সবার আগে আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন ইংরেজি বছর ২০২১ সালকে স্বাগত জানিয়েছে নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ড। স্থানীয় সময় মধ্যরাতে ঘড়ির কাটা ১২ টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও দেশটিতে ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানানোর আয়োজন ছিল স্বাভাবিক সময়ের মতোই। তবে সবার আগে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসগারীয় দ্বীপপুঞ্জ সামোয়া। এখবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর।
আন্তর্জাতিক মান সময়ের তারতম্যের কারণে নতুন বছরকে আগে বরণ করার সুযোগ পায় এমন দেশগুলোর একটি নিউ জিল্যান্ড। নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানানোর উৎসবে মেতে ওঠার ক্ষেত্রে বড় শহরগুলোর মধ্যে অকল্যান্ডের সুযোগ আসে সবার আগে। তবে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে নববর্ষ শুরু হয় সামোয়াতে। দেশটি নিউ জিল্যান্ডের কাছাকাছি অবস্থিত। এক ঘণ্টা আগে সেখানে নতুন বছরের আগমন হয়।
সামেয়া সরকার ফেসবুকে একটি বার্তায় দেশটির ও বিশ্ব নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে নতুন বছরের। একই সঙ্গে আতশবাজির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
নতুন বছরকে বরণ করতে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলের ১ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতার স্কাই টাওয়ারে ঝুলন্ত একটি বিশাল ঘড়ির সময় দেখে রাত ১২টা বাজার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে সেখানে জড়ো হওয়া মানুষ। শুরু হয় কাউন্টডাউন। আর ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে দেখা যায় আতশবাজির বর্ণিল ছটা।
নিউ জিল্যান্ডের পর অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগত জানানো হবে নতুন ইংরেজি বছরকে। সিডনি হারবারে আতশবাজি দেখার জন্য জড়ো হয়েছেন অনেক মানুষ।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ধীরে ধীরে ২০২০ সালকে বিদায় এবং ২০২১ সালকে বরণ করে নেবে পুরো বিশ্ব। প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলো থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ এবং সর্বশেষ আমেরিকার দেশগুলো নতুন বছরকে বরণ করবে।