সবকিছু ছাপিয়ে মানব সম্প্রদায়ের কাছে এই সময়ে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বিষয় করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন।
সেই প্রতিযোগিতায় সম্ভবত বাংলাদেশের প্রথম কোনও শিল্পী জয়লাভ করলেন, তিনি জনপ্রিয় সঞ্চালক-অভিনেত্রী নওশীন নাহরিন মৌ। যিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন গেল ক’বছর ধরে।
৫ জানুয়ারি নওশীন ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপ শরীরে গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে এমনটাই জানান এই শিল্পী। তবে তার স্বামী অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোল সেটি পেতে এখনও সমর্থ হননি।
নওশীন বলেন, ‘আমি টিকাটি পেয়েছি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। এখানে আমি একটি হেলথকেয়ার অর্গানাইজেশনে কাজ করি। সে হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মী বা ফ্রন্টলাইনার হিসেবে ভ্যাকসিনটি পাই। পর্যায়ক্রমে সবাই পাবে।’
ভ্যাকসিন নেওয়া বা পাওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনটি আমার হাতে পুশ করেছে। এরপর থেকে একটু ব্যথা করছে হাতটি। এটুকুই। প্রায় সাত/আট ঘণ্টা হলো, আর কোনও প্রতিক্রিয়া লক্ষ করছি না। এখন এখানে ভোর ৪টা (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা) বাজছে। সকাল ৯টায় আমার অফিস! কিন্তু না ঘুমিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রতিক্রিয়া জানাতে হচ্ছে সবাইকে!’
যোগ করেন, ‘সত্যি বলতে এই টিকা নিয়ে অনেকের মধ্যে উচ্ছ্বাস যেমন আছে তেমন শঙ্কাও আছে। আমি উচ্ছ্বসিত। কারণ, এগুলো পরীক্ষিত টিকা। বাঁচার জন্য এই টিকা খুবই জরুরি। আমি অনুরোধ করবো, যারাই টিকার সুযোগ পাবেন তারা যেন এটি আনন্দ নিয়ে গ্রহণ করেন। আমি অন্তত সেই আনন্দটা উপভোগ করছি। প্রচুর ফোন পাচ্ছি। সবাই জিজ্ঞেস করছেন কেমন লাগছে! এটা তো অন্য যেকোনও টিকা বা ইনজেকশনের মতোই। ফলে এটা নিয়ে আতঙ্কিত বা অনাস্থা প্রকাশের কিছু নেই।’
নওশীন জানান, টিকার দ্বিতীয় কিস্তি দেবেন ৩ সপ্তাহ পরে।
তিনি বেশ মজা নিয়ে বলেন, ‘জীবনে এবারই প্রথম কোনও টিকা বা ভ্যাকসিন নিয়েছি, যেটার জন্য আমি তুমুল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছি! অসংখ্য ফোন, ম্যাসেজ পাচ্ছি। সবাইকে খুব সিরিয়াসলি বুঝিয়ে বলতে হচ্ছে পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে। আসলে তো বিষয়টি সিম্পল। গেলাম, ইনজেকশন পুশ করলো। হাসতে হাসতে বাসায় চলে এলাম।’
উল্লেখ্য, নওশীন ও হিল্লোল দম্পতি স্থায়ীভাবে নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন। আর সে কারণেই অভিনয়ে তাদের কম দেখা যায়। তবে তারা দুজনই এখনও ক্যামেরার সামনে আছেন। দুজনই ইউটিউবে তাদের চ্যানেল নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেখানেও তারা বেশ জনপ্রিয়।
