পল স্টার্লিং খেললেন ১২৮ রানের অসাধারণ ইনিংস। কিন্তু তার এই ইনিংসও কাজে এলো না। ম্লান হয়ে গেল রহমত শাহর সেঞ্চুরিতে। এই ব্যাটসম্যানের হার না মানা ১০৩ রানের ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও নিশ্চিত করেছে আফগানরা।
আবুধাবির দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্টার্লিংয়ের সেঞ্চুরির ওপর ভর দিয়ে আইরিশরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে করে ২৫৯ রান। রহমতের অপরাজিত শতকে ৪৫.২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০তে জিতে নিয়েছে তারা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ডকে বলতে গেলে একাই টেনেছেন স্টার্লিং। মিডল অর্ডারে সঙ্গ পেয়েছেন কার্টিস ক্যাম্পারের (৪৭) কাছ থেকে। এছাড়া পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে টপ অর্ডার। আরেক ওপেনার কেভিন ও’ব্রাইন (১) ও অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নির (৫) কেউই কিছু করতে পারেননি।
চাপের মধ্যে একা হাতে লড়াই চালিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন স্টার্লিং। আউট হওয়ার আগে ১৩২ বলে খেলা ১২৮ রানের ইনিংসটি তিনি সাজান ১২ চার ও ৪ ছক্কায়।
আফগানদের সবচেয়ে সফল বোলার নাভিদ-উল-হক। ৪২ রান খরচায় তার শিকার ৪ উইকেট। মুজিব উর রহমান ৪৬ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর রশিদ খান ও গুলবাদিন নাইবের শিকার একটি করে উইকেট।
২৬০ রানের লক্ষ্যে আফগানিস্তান উদ্বোধনী জুটি থেকে পায় ৪৪ রান। ১৬ রান করে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জাভেদ আহমাদি (১৬)। খানিক পর ফিরে যান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রহমতউল্লাহ গুরবাজ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩১ রান।
দ্রুত ২ উইকেট হারালেও দলের ওপর কোনও চাপ পড়তে দেননি রহমত ও হাশমতউল্লাহ শহিদি। তৃতীয় উইকেট তারা গড়েন ১৮৪ রানের বড় জুটি। হাশমত ১০০ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৮২ রান করে আউট হলেও সেঞ্চুরি পূরণ করতে ভুল করেননি রহমত। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ১০৯ বলে খেলা ১০৩ রানের ইনিংসটি তিনি সাজান ১০ চার ও ২ ছক্কায়। তার সঙ্গে ইনিংস শেষ করা আসগর আফগান অপরাজিত থাকেন ২১ রানে।
আয়ারল্যান্ডের তিন বোলার- সিমি সিং, ব্যারি ম্যাকার্থি ও ক্যাম্পার প্রত্যেকে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।